ছোট প্রশ্ন ও উত্তর : হাইড্রোক্লোরিক, নাইট্রিক এবং সালফিউরিক অ্যাসিড

Submitted by arpita pramanik on Sat, 11/17/2012 - 07:41

ছোট প্রশ্ন ও উত্তর : হাইড্রোক্লোরিক, নাইট্রিক এবং সালফিউরিক অ্যাসিড :

প্রশ্ন:-  চিনিতে গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিড যোগ করলে যে কালো রং -এর পদার্থ উৎপন্ন হয় তার নাম কী ?

উত্তর:-  চিনিতে গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিড (H2SO4) যোগ করলে সালফিউরিক অ্যাসিড চিনির সব জলীয় উপাদান শোষণ করে চিনিকে কালো কার্বনে পরিণত করে ।

 

প্রশ্ন:-  স্বর্ণকারের কারখানা থেকে কোন গ্যাস নির্গত হয়ে বায়ুমন্ডলকে দুষিত করে ?

উত্তর:- স্বর্ণকারের কারখানা থেকে বায়ুদূষক নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (NO2) গ্যাস নির্গত হয়ে বায়ুমন্ডলকে দুষিত করে ।

 

প্রশ্ন:- ধুমায়মান সালফিউরিক অ্যাসিডে ধুমায়িত গ্যাসটির নাম কী ?

উত্তর:- ধুমায়মান সালফিউরিক অ্যাসিডে ধুমায়িত গ্যাসটির নাম হল সালফার ট্রাই-অক্সাইড (SO3) ।

 

প্রশ্ন:-  অ্যাকোয়া রিজিয়া বা অম্লরাজ কী ?

উত্তর:- তিন আয়তন গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCl) এবং এক আয়তন গাঢ় নাইট্রিক অ্যাসিডের (HNO3) মিশ্রণকে অ্যাকোয়া রিজিয়া বা অম্লরাজ বলে ।

 

প্রশ্ন:-  মিউরিয়াটিক অ্যাসিডের রাসায়নিক নাম ও সংকেত লেখো ।

উত্তর:-  মিউরিয়াটিক অ্যাসিডের রাসায়নিক নাম হল হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড এবং সংকেত হল HCl

 

প্রশ্ন:-  অয়েল অফ ভিট্রিয়ল -এর রাসায়নিক নাম ও সংকেত লেখো ।

উত্তর:-  অয়েল অফ ভিট্রিয়ল -এর রাসায়নিক নাম হল সালফিউরিক অ্যাসিড এবং এর সংকেত হল H2SO4

 

প্রশ্ন:-  অ্যাকোয়াফরটিস -এর রাসায়নিক নাম ও সংকেত লেখো ।

উত্তর:- অ্যাকোয়াফরটিস -এর রাসায়নিক নাম হল নাইট্রিক অ্যাসিড এবং এর সংকেত হল HNO3  ।

 

প্রশ্ন:-  দুটি বায়ু দূষক গ্যাসের নাম লেখো ?

উত্তর:-  দুটি বায়ু দূষক গ্যাসের নাম  হল  (i) সালফার ডাই-অক্সাইড (SO2) ও (ii) নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (NO2) ।

 

প্রশ্ন:- গোল্ড, প্লাটিনাম প্রভৃতি বরধাতু কিসে দ্রবীভূত হয় ?

উত্তর:- গোল্ড, প্লাটিনাম প্রভৃতি বরধাতু অম্লরাজে দ্রবীভূত হয় ।

 

প্রশ্ন:- একটি জারক অ্যাসিডের নাম কী ?

উত্তর:- একটি জারক অ্যাসিডের নাম হল নাইট্রিক অ্যাসিড

 

প্রশ্ন:- একটি অজারক অ্যাসিডের নাম কী  ?

উত্তর:- একটি অজারক অ্যাসিডের নাম হল হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড

 

প্রশ্ন:-  AgNO3 দ্রবণ দ্বারা কোন অ্যাসিড শনাক্ত করা যায় ?

উত্তর:- AgNO3 দ্রবণ দ্বারা হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড শনাক্ত করা যায় ।

 

প্রশ্ন:-  কোন দুটি ধাতু নাইট্রিক অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়ায় হাইড্রোজেন উৎপন্ন করে ?

উত্তর:- ম্যাগনেসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ ধাতু দুটি শীতল ও অতিলঘু নাইট্রিক অ্যাসিডের (HNO3) সঙ্গে বিক্রিয়ায় হাইড্রোজেন উৎপন্ন করে ।

 

প্রশ্ন:-  নাইট্রিক অ্যাসিডের শিল্প প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত অনুঘটকের নাম কী ?

উত্তর:- নাইট্রিক অ্যাসিডের শিল্প প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত অনুঘটক —প্লাটিনিয়াম তারজালি বা প্লাটিনিয়াম রেডিয়াম (Pt-Rh) তারজালি ।

 

প্রশ্ন:-  বায়ুমন্ডলে কোন কোন গ্যাসের উপস্থিতি অম্লবৃষ্টির জন্য দায়ী ?

উত্তর:-  বায়ুমন্ডলে নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (NO2) এবং সালফার ডাই-অক্সাইড (SO2) গ্যাসের উপস্থিতি অম্লবৃষ্টির জন্য দায়ী ।

 

প্রশ্ন:-  কোন অ্যাসিডের বিজারণ ক্ষমতা নেই ?

উত্তর:-  নাইট্রিক অ্যাসিডের (HNO3) বিজারণ ক্ষমতা নেই ।

 

প্রশ্ন:- কোন অ্যাসিড তীব্র জল শোষক ?

উত্তর:-  গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিড (H2SO4) তীব্র জল শোষক ।

 

প্রশ্ন:- এমন দুটি ধাতুর নাম করো যাদের নিষ্কাশনের সময় সালফার ডাই-অক্সাইড (SO2) গ্যাস বায়ুমন্ডলে মেশে ।

উত্তর:- জিঙ্কব্লেন্ড (ZnS) আকরিক থেকে দস্তা এবং গ্যালেনা (PbS) আকরিক থেকে সীসা নিষ্কাশনের সময় বায়ুদূষক সালফার ডাই-অক্সাইড (SO2) গ্যাস নির্গত হয়ে বায়ুমন্ডলে মেশে ।

 

প্রশ্ন:-  পেট্রোলিয়াম শোধনাগার থেকে নির্গত কী কী গ্যাস বায়ু দুষণ ঘটায়  ?

উত্তর:-  পেট্রোলিয়াম শোধনাগার থেকে সালফার ডাই-অক্সাইড (SO2) গ্যাস, কার্বন মনোক্সাইড (CO) এবং নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (NO2) ইত্যাদি গ্যাস নির্গত হয়ে বায়ু দুষণ ঘটায় ।

 

প্রশ্ন:- মোটরগাড়ির ইঞ্জিন থেকে নির্গত ধোঁয়া বায়ুতে নির্গত হবার আগে কীভাবে ওকে দুষণ মুক্ত করা যায় ?

উত্তর:-  মোটরগাড়ির ইঞ্জিন থেকে নির্গত ধোঁয়া বায়ুতে নির্গত হবার আগে তাকে অ্যালুমিনার (Al2O3) ওপর সূক্ষ্ম ভাবে প্লাটিনাম বা প্যালাডিয়াম অনুঘটকের ওপর দিয়ে সালফার ডাই-অক্সাইড (SO2) ইত্যাদি বায়ু দূষক গ্যাসগুলিকে দুষণ মুক্ত গ্যাসে পরিনত করা হয় ।

 

প্রশ্ন:- ধুমায়মান নাইট্রিক অ্যাসিড কী  ?

উত্তর:-  গাঢ় নাইট্রিক অ্যাসিডের মধ্যে বেশি পরিমাণে নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (NO2) দ্রবীভূত থেকে বাদামি রঙের যে তরল উৎপন্ন করে, তাকে ধুমায়মান নাইট্রিক অ্যাসিড বলে ।

 

প্রশ্ন:- বাথরুম পরিষ্কার করার জন্য কোন অ্যাসিড ব্যবহার করা হয় ?

উত্তর:-  বাথরুম পরিষ্কার করার জন্য মিউরিয়াটিক অ্যাসিড (HCl) ব্যবহার করা হয় ।

 

প্রশ্ন:-  স্বর্ণকারের কারখানা থেকে নির্গত একটি পদার্থের নাম করো যা জল দুষণ ঘটায় ।

উত্তর:- স্বর্ণকারের কারখানা থেকে নির্গত কিউপ্রিক নাইট্রেট [Cu(CO3)2] বা সিলভার নাইট্রেট (AgNO3) জল দুষণ ঘটায় ।

 

প্রশ্ন:-  দুটি হাইড্রাসিডের নাম কী ?

উত্তর:-  দুটি হাইড্রাসিড হল (i) হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCl) ও (ii) হাইড্রোব্রোমিন অ্যাসিড (HBr) ।

 

প্রশ্ন:-  সালফান কী ?

উত্তর:-  100%  সালফিউরিক অ্যাসিডের মধ্যে 100% মুক্ত সালফারট্রাই-অক্সাইড শোষিত হয়ে 100% ওলিয়াম উৎপন্ন করে । তরলীকৃত 100% ওলিয়ামকে সালফান বলে ।

 

প্রশ্ন:-  তামা নিষ্কাশন কারখানার কাছাকাছি বায়ুতে কোন বায়ু দূষক গ্যাসের পরিমাণ অস্বাভাবিক বেড়ে যায় ?

উত্তর:- তামা নিষ্কাশন কারখানার কাছাকাছি বায়ুতে সালফার ডাই-অক্সাইডের (SO2) -এর পরিমাণ অস্বাভাবিক বেড়ে যায় ।

 

প্রশ্ন:- কী ভাবে পরিবর্তিত করবে ?  SO2 → SO3 .

উত্তর :-  SO2 কে অতিরিক্ত পরিমাণ ধুলিকণা মুক্ত বায়ুর সাথে মিশিয়ে 450oC উষ্ণতায় প্লাটিনাম চুর্ণাবৃত অ্যাসবেস্টস বা ভ্যানাডিয়াম পেন্টাক্সাইড অনুঘটকের উপর দিয়ে পাঠালে সালফার ডাই-অক্সাইড (SO2) বায়ুর অক্সিজেন দ্বারা জারিত হয়ে সালফার ট্রাই-অক্সাইড (SO3) গ্যাস উৎপন্ন করে ।

[tex] 2S{O_2} + {O_2} \rightleftharpoons 2S{O_3} + 45000 [/tex] ক্যালরি  ।

*****

Related Items

তড়িৎ-বিশ্লেষণের প্রয়োগ

তীব্র তড়িৎ-ধনাত্মক ধাতুগুলি যেমন - সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম প্রভৃতি ধাতুগুলিকে তাদের আকরিক থেকে নিষ্কাশিত করা হয় । আবার কতকগুলি ধাতু যেমন - কপার, জিঙ্ক, অ্যালুমিনিয়াম প্রভৃতির তড়িৎ-বিশ্লেষণ পদ্ধতি প্রয়োগ করে বিশোধন করা হয় । ...

কপার সালফেটের জলীয় দ্রবণের তড়িৎ বিশ্লেষণ

কপার সালফেট জলে আয়নিত হয়ে কপার (+) এবং সালফেট (-) আয়ন উত্পন্ন করে । সুতরাং, জলীয় দ্রবণে চার প্রকার আয়ন থাকে, দুধরনের ক্যাটায়ান H (+) ও Cu (+) এবং দু ধরনের অ্যানায়ন OH (-) ও সালফেট (-) ।

জলের তড়িৎ-বিশ্লেষণ

বিশুদ্ধ জল তড়িতের কুপরিবাহী, কিন্তু সামান্য অ্যাসিড কিংবা ক্ষার জলে মেশালে ওই জল তড়িতের সুপরিবাহী হয় । এর কারণ হল বিশুদ্ধ জলে খুব কম সংখ্যক অণু H+ এবং OH- আয়নে বিশ্লেষিত অবস্থায় থাকে । ওই জলে সামান্য অ্যাসিড কিংবা ক্ষার যোগ করলে এদের আয়ন ...

তড়িৎ-বিশ্লেষ্য ও তড়িৎ-অবিশ্লেষ্য পদার্থ

যেসব পদার্থ জলে দ্রবীভূত বা গলিত অবস্থায় আয়নে বিশ্লিষ্ট হয়ে তড়িৎ পরিবহন করে এবং তড়িৎ পরিবহনের ফলে নিজেরা রাসায়নিকভাবে বিশ্লিষ্ট হয়ে নতুন ধর্মবিশিষ্ট পদার্থ উত্পন্ন হয়, সেই সব পদার্থকে তড়িৎ-বিশ্লেষ্য পদার্থ বলে ।

তড়িৎ-পরিবাহী এবং তড়িৎ-অপরিবাহী

যে সব পদার্থের মধ্য দিয়ে তড়িৎ-প্রবাহিত করলে তা তড়িৎ-পরিবহনে সক্ষম হয়, তাদের তড়িৎ-পরিবাহী পদার্থ বলে । যেমন; সোনা, রুপো, তামা, প্রভৃতি ধাতু, গ্রাফাইট, সোডিয়াম ক্লোরাইড দ্রবণ ইত্যাদি । তড়িৎ-পরিবহনে সক্ষম এমন পদার্থগুলিকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় --