ছোট প্রশ্ন ও উত্তর : তড়িৎ-বিশ্লেষণ

Submitted by arpita pramanik on Tue, 11/13/2012 - 09:13

ছোট প্রশ্ন ও উত্তর : তড়িৎ বিশ্লেষণ (Electrolysis) :

প্রশ্ন:-  নীচের কোনগুলি তড়িৎ বিশ্লেষ্য  ?

         পেট্রোল, কস্টিক সোডার জলীয় দ্রবণ,  গ্লুকোজের জলীয় দ্রবণ, গ্রাফাইট, গলিত সোডিয়াম ক্লোরাইড ।

উত্তর:-  কস্টিক সোডার জলীয় দ্রবণ, গলিত সোডিয়াম ক্লোরাইড —হল তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ ।

 

প্রশ্ন:- তড়িৎ -এর পরিবাহী এমন দুটি অধাতুর নাম কী ?

উত্তর:- তড়িৎ -এর পরিবাহী এমন দুটি অধাতুর নাম হল গ্রাফাইট এবং গ্যাস কার্বন

 

প্রশ্ন:-  দুটি তড়িৎ-পরিবাহী পদার্থের নাম কী ?

উত্তর:-  দুটি তড়িৎ-পরিবাহী পদার্থের নাম হল তামা অ্যালুমিনিয়াম

 

প্রশ্ন:-  দুটি তড়িৎ-অপরিবাহী পদার্থের নাম কী ?

উত্তর:-  দুটি তড়িৎ-অপরিবাহী পদার্থের নাম হল রবারশুকনো কাঠ

 

প্রশ্ন:-  দুটি তড়িৎ-বিশ্লেষ্য পদার্থের নাম কী  ?

উত্তর:- দুটি তড়িৎ-বিশ্লেষ্য পদার্থের নাম হল গলিত সোডিয়াম ক্লোরাইডসামান্য অ্যাসিড মিশ্রিত জল

 

প্রশ্ন:-  দুটি তড়িৎ-অবিশ্লেষ্য পদার্থের নাম কী ?

উত্তর:-  দুটি তড়িৎ-অবিশ্লেষ্য পদার্থের নাম গ্লিসারিনচিনির জলীয় দ্রবণ

 

প্রশ্ন:- স্বর্ণ, পারদ, খাদ্যলবণ —এদের মধ্যে কোনটি তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ ?

উত্তর:-  স্বর্ণ, পারদ, খাদ্যলবণ —এদের মধ্যে খাদ্যলবণ হল তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ ।

 

প্রশ্ন:-  লোহা, কাঠ, রবার, লবণ, তামা, ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড —এদের মধ্যে কোনটি তড়িৎ পরিবাহী ?

উত্তর:-  লোহা, কাঠ, রবার, লবণ, তামা, ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড —এদের মধ্যে লোহাতামা হল তড়িৎ পরিবাহী ।

 

প্রশ্ন:-  লোহা, কাঠ, রবার, লবণ, তামা, ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড —এদের মধ্যে কোনটি তড়িৎ অপরিবাহী ?

উত্তর:- লোহা, কাঠ, রবার, লবণ, তামা, ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড —এদের মধ্যে রবার কাঠ হল তড়িৎ অপরিবাহী ।

 

প্রশ্ন:-  লোহা, কাঠ, রবার, লবণ, তামা, ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড —এদের মধ্যে কোনটি তড়িৎ বিশ্লেষ্য  ?

উত্তর:-  লোহা, কাঠ, রবার, লবণ, তামা, ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড —এদের মধ্যে লবণক্যালসিয়াম ক্লোরাইড হল তড়িৎ বিশ্লেষ্য ।

 

প্রশ্ন:-  কাচ, রুপা,  অ্যাসিডযুক্ত জল, পলিথিন —এই পদার্থগুলির মধ্যে তড়িৎ পরিবাহীগুলিকে চিহ্নিত করো  এবং ওই পরিবাহীগুলির মধ্যে তড়িতাধানের বাহকগুলির নাম লেখো ।

উত্তর:-  কাচ, রুপা,  অ্যাসিডযুক্ত জল, পলিথিন —এই পদার্থগুলির মধ্যে রুপাঅ্যাসিডযুক্ত জল হল তড়িৎ পরিবাহী । রুপায় যুক্ত ইলেকট্রন এবং অ্যাসিডযুক্ত জলে আয়ন (H+ ও OH-) তড়িতাধানের বাহক হিসেবে কাজ করে ।

 

প্রশ্ন:-  CL এবং CL- -এর পার্থক্য কী ?

উত্তর:-   (i)  CL হল নিস্তড়িৎ ক্লোরিন পরমাণু । CL- হল ক্লোরিন আয়ন, যা একটা অ্যানায়ন এবং এটি নেগেটিভ তড়িৎ-গ্রস্ত কণা ।

           (ii)  CL প্রকৃতিতে মুক্ত অবস্থায় থাকতে পারে না । কিন্তু CL-  দ্রবণে মুক্ত অবস্থায় থাকতে পারে ।

          (iii)  CL  অপেক্ষা CL-  অধিকতর সুস্থিত ।

 

প্রশ্ন:-  গ্লুকোজ, সাধারণ লবন, পটাসিয়াম হাইড্রক্সাইড এবং ইথিলিন —এই পদার্থ গুলির মধ্যে কোনগুলি তড়িৎ বিশ্লেষ্য ?

উত্তর:-  সাধারণ লবন এবং পটাসিয়াম হাইড্রক্সাইড হল তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ ।

 

প্রশ্ন:-  তড়িৎ বিশ্লেষণে কোন শক্তি,  কোন শক্তিতে রূপান্তরিত হয় ?

উত্তর:- তড়িৎ বিশ্লেষণে তড়িৎশক্তিরাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয় ।

 

প্রশ্ন:-  তীব্র তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ কাকে বলে ?

উত্তর:-  গলিত অবস্থায় বা জলীয় দ্রবণে যে তড়িৎ বিশ্লেষ্যের বেশি সংখ্যক অণু আয়নে বিয়োজিত হয়, তাকে তীব্র তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ বলে ।  যেমন : হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড, সোডিয়াম ক্লোরাইড,  সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড ইত্যাদি ।

 

প্রশ্ন:-  মৃদু তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ কাকে বলে ?

উত্তর:-  গলিত অবস্থায় বা জলীয় দ্রবণে যে তড়িৎ বিশ্লেষ্যের খুব কম সংখ্যক অণু আয়নে বিয়োজিত হয়, তাকে মৃদু তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ বলে ।  যেমন : কার্বনিক অ্যাসিড (H2CO3), অ্যামোনিয়াম হাইড্রক্সাইড ইত্যাদি ।  

 

প্রশ্ন:-  নীচের তালিকা থেকে তড়িৎ বিশ্লেষ্য ও তড়িৎ অবিশ্লেষ্য চিহ্নিত করো ।

         কেরোসিন, গলিত পটাসিয়াম ক্লোরাইড, চিনির জলীয় দ্রবণ, খাদ্য লবণের জলীয় দ্রবণ ।

উত্তর:- (i) গলিত পটাসিয়াম ক্লোরাইড এবং খাদ্য লবণের জলীয় দ্রবণ হল তড়িৎ বিশ্লেষ্য ।

          (ii) কেরোসিন এবং চিনির জলীয় দ্রবণ হল তড়িৎ অবিশ্লেষ্য ।

 

প্রশ্ন:- H+ এবং Cu++ আয়ন দুটির মধ্যে কে আগে ক্যাথোডে মুক্ত হবে ?

উত্তর:- তড়িৎ রাসায়নিক শ্রেণিতে Cu++ আয়নটির স্থান H+ আয়নের নীচে । তাই Cu++ আয়নটি  H+ আয়নের আগে ক্যাথোডে মুক্ত হবে  ।

 

প্রশ্ন:-  একযোজী, দ্বিযোজী এবং ত্রিযোজী মৌল বা মুলকের আধানে কত একক তড়িৎ বর্তমান ?

উত্তর:-  একযোজী, দ্বিযোজী এবং ত্রিযোজী মৌল বা মুলকের আধানে যথাক্রমে এক একক, দুই একক এবং তিন একক তড়িৎ বর্তমান থাকে ।

 

প্রশ্ন:- অ্যানোড মাড কী ?

উত্তর:-  তামার তড়িৎ বিশোধনে অবিশুদ্ধ কপার তড়িৎ অ্যানোডের চারদিক মসলিনের থলি দিয়ে ঘেরা থাকে । এই থলিতে অ্যানোডে থাকা গোল্ড, সিলভার, প্লাটিনাম প্রভৃতি দামি ধাতু কাদার আকারে জমা হয় ।  একে অ্যানোড মাড বলে ।

 

প্রশ্ন:-  অ্যানোড মাড থেকে কী ধাতু পাওয়া যায় ।

উত্তর:- অ্যানোড মাড থেকে  গোল্ড, সিলভার প্লাটিনাম প্রভৃতি ধাতু পাওয়া যায় ।

 

প্রশ্ন:- অ্যালুমিনিয়াম নিষ্কাশনে ব্যবহৃত ক্যাথোড ও অ্যানোডের উপাদান কী ?

উত্তর:-  অ্যালুমিনিয়াম নিষ্কাশনে লোহার ট্যাঙ্কের ভেতরের দেওয়ালে গ্যাসকার্বনের পুরু আস্তরণ থাকে । এটি ক্যাথোড হিসাবে কাজ করে । ট্যাঙ্কের উপর থেকে ঝোলানো কয়েকটি গ্রাফাইট দন্ডকে তড়িৎ বিশ্লেষ্যের মধ্যে আংশিক ডুবিয়ে রাখা হয় । এরা অ্যানোড রূপে কাজ করে ।

*****

Related Items

জারণ ও বিজারণ একসঙ্গে ঘটে

রাসায়নিক বিক্রিয়ায় জারণ ও বিজারণ প্রক্রিয়া একই সঙ্গে ঘটে । অর্থাৎ, জারণ ও বিজারণ ক্রিয়া পরস্পরের পরিপূরক । কোনো বিক্রিয়ায় জারণ-ক্রিয়া ঘটলেই বিজারণ ক্রিয়াও ঘটবে । এই রকম রাসায়নিক বিক্রিয়াকে রেডক্স বিক্রিয়া বলা হয় । ...

কয়েকটি জারক ও বিজারক পদার্থ

কয়েকটি জারক পদার্থ - ম্যাঙ্গানিজ ডাইঅক্সাইড, নাইট্রিক অ্যাসিড, অক্সিজেন, পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট, গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিড, ওজোন, পটাশিয়াম ডাই-ক্রোমেট, হাইড্রোজেন পারক্সাইড, ফ্লুওরিন, রেড লেড, তরল ব্রোমিন, ক্লোরিন, কয়েকটি বিজারকের বিজারণ ক্ষমতার উদাহরণ ...

জারণ বিজারণের ইলেক্ট্রনীয় মতবাদ

জারণ ও বিজারণ রসায়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিক্রিয়া । সাধারণত কোনো মৌলে বা যৌগে অক্সিজেনের সংযুক্তি বা কোনো যৌগ থেকে হাইড্রোজেনের বিযুক্তিকে জারণ এবং কোনো মৌলে বা যৌগে হাইড্রোজেনের সংযুক্তি বা কোনো যৌগ থেকে অক্সিজেনের বিযুক্তিকে বিজারণ বলা হয় । ...

সমযোজী যৌগগুলির বৈশিষ্ট্য

সাধারণ তাপমাত্রায় বেশির ভাগ সমযোজী যৌগ সাধারণত তরল কিংবা গ্যাসীয় অবস্থায় থাকে কিন্তু বেশি আণবিক গুরুত্ববিশিষ্ট সমযোজী মৌল বা যৌগগুলি কঠিন বা তরল হয় । সমযোজী যৌগে সমযোজী বন্ধন দৃঢ় প্রকৃতির, তার ফলে অণুগুলি স্থায়ী হয় । ...

ইলেক্ট্রনীয় যোজ্যতা বা তড়িৎ-যোজ্যতা

সাধারণ অবস্থায় পরমাণুর মধ্যে ইলেকট্রন এবং প্রোটন সংখ্যা সমান হওয়ার জন্য পরমাণু নিস্তড়িৎ হয় । সাধারণ নিয়মে পরমাণুর সংযোগ হওয়ার সময় ধাতুর পরমাণু ইলেকট্রন বর্জন এবং অধাতুর পরমাণু ইলেকট্রন গ্রহণ করে । ফলে কোনো পরমাণু ইলেকট্রন বর্জন করে ধনাত্মক আয়নে পরিণত হয় ...