ছোট প্রশ্ন ও উত্তর : জারণ ও বিজারণ

Submitted by arpita pramanik on Mon, 11/12/2012 - 12:23

ছোট প্রশ্ন ও উত্তর : জারণ ও বিজারণ (Oxidation and Reduction)

প্রশ্ন:-  একটি জারক গ্যাসের নাম কী ?

উত্তর:-  একটি জারক গ্যাসের নাম হল অক্সিজেন (O2) ।

 

প্রশ্ন:-  একটি বিজারক গ্যাসের নাম কী ?

উত্তর:-  একটি বিজারক গ্যাসের নাম হল হাইড্রোজেন (H2) ।

 

প্রশ্ন:-  জারক এবং বিজারক দুই হিসেবে কাজ করে এমন দুটি পদার্থের নাম কী ?

উত্তর:-  জারক এবং বিজারক উভয় রূপে কাজ সালফার ডাই-অক্সাইড (SO2) এবং হাইড্রোজেন পারক্সাইড (H2O2) ।

 

প্রশ্ন:-  জারণ ও বিজারণে আয়নের যোজ্যতার কী পরিবর্তন ঘটে ?

উত্তর:-  জারণ ক্রিয়ায় আয়নের যোজ্যতা বাড়ে এবং  বিজারণ ক্রিয়ায় আয়নের যোজ্যতা কমে

 

প্রশ্ন:-  একটি তরল জারক পদার্থের নাম কী ?

উত্তর:-  একটি তরল জারক পদার্থের নাম হল ব্রোমিন (Br2)  ।

 

প্রশ্ন:- একটি তরল বিজারক পদার্থের নাম কী ?

উত্তর:-  একটি তরল বিজারক পদার্থের নাম হল হাইড্রোব্রোমিক অ্যাসিড (HBr) ।

 

প্রশ্ন:-  A + B+  → A+ + B  —এই বিক্রিয়ায় কোনটি জারক এবং কোনটি বিজারক ?

উত্তর:- A + B+  → A+ + B  —এই বিক্রিয়ায় B জারক এবং A বিজারক পদার্থ ।

 

প্রশ্ন:-  অক্সিজেন নেই এমন একটি জারক পদার্থের নাম কী ? 

উত্তর:-  অক্সিজেন নেই এমন একটি জারক পদার্থের নাম হল ক্লোরিন (Cl2) ।

 

প্রশ্ন:-  হাইড্রোজেন নেই এমন একটি বিজারক পদার্থের নাম কী ?

উত্তর:-  হাইড্রোজেন নেই এমন একটি বিজারক পদার্থের নাম হল সোডিয়াম (Na) ।

 

প্রশ্ন:-  Fe+2 → Fe+3 একটি জারণ না বিজারণ বিক্রিয়া ?

উত্তর:-  এখানে  Fe+2 - e → Fe+3 অর্থাৎ এটি একটি জারণ প্রক্রিয়া ।

 

প্রশ্ন:-  H2S + Cl2 = 2HCl + S —বিক্রিয়াটিতে কোনটি জারিত এবং কোনটি বিজরিত হয়েছে ?

উত্তর:-  H2S + Cl2 = 2HCl + S —বিক্রিয়াটিতে H2S জারিত এবং Cl2 বিজরিত হয়েছে ।

 

প্রশ্ন:-  দুটি জারক দ্রব্যের নাম লেখো  ?

উত্তর:-  দুটি জারক দ্রব্যের নাম হল নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO3) এবং ব্রোমিন (Br2) ।

 

প্রশ্ন:-  দুটি বিজারক দ্রব্যের নাম লেখো ?

উত্তর:-  দুটি বিজারক দ্রব্যের নাম হল কার্বন (C) এবং হাইড্রোজেন (H2) ।

 

প্রশ্ন:-  HI এবং HNO3 অ্যাসিড দুটির মধ্যে কোনটি জারক এবং কোনটি বিজারক ?

উত্তর:-  HI এবং HNO3 অ্যাসিড দুটির মধ্যে HNO3 জারক এবং HI বিজারক পদার্থ ।

 

প্রশ্ন:-  একটি কঠিন বিজারক অধাতুর নাম লেখো ।

উত্তর:-  একটি কঠিন বিজারক অধাতুর নাম হল কার্বন (C) ।

 

প্রশ্ন:- জারক দ্রব্য হিসাবে ব্যবহৃত হতে পারে এমন একটি অনুঘটকের নাম কি ?

উত্তর:- জারক দ্রব্য হিসাবে ব্যবহৃত হতে পারে এমন একটি অনুঘটকের নাম হল ম্যাঙ্গানিজ ডাই-অক্সাইড (MnO2) ।

 

প্রশ্ন:-  CO এবং CO2 মধ্যে কোনটি জারক এবং কোনটি বিজারক ?

উত্তর:-  CO এবং CO2 মধ্যে CO2 জারক এবং CO বিজারক  ।

 

প্রশ্ন:-  একটি পরমাণুর জারণের ফলে কি উত্পন্ন হয় ?

উত্তর:- একটি পরমাণুর জারণের (এক বা একাধিক ইলেকট্রন বর্জনের ) ফলে উত্পন্ন হয়, ক্যাটায়ন

যথা:  Na – e → Na+ (জারণ ) ।

 

প্রশ্ন:-  একটি পরমাণুর বিজারণের ফলে কি উত্পন্ন হয় ?

উত্তর:- একটি পরমাণুর বিজারণের (এক বা একাধিক ইলেকট্রন গ্রহনের ) ফলে উত্পন্ন হয়,  অ্যানায়ন

যথা:  Cl + e → Cl-  (বিজারণ) ।

*****

Related Items

তড়িৎ-বিশ্লেষণের প্রয়োগ

তীব্র তড়িৎ-ধনাত্মক ধাতুগুলি যেমন - সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম প্রভৃতি ধাতুগুলিকে তাদের আকরিক থেকে নিষ্কাশিত করা হয় । আবার কতকগুলি ধাতু যেমন - কপার, জিঙ্ক, অ্যালুমিনিয়াম প্রভৃতির তড়িৎ-বিশ্লেষণ পদ্ধতি প্রয়োগ করে বিশোধন করা হয় । ...

কপার সালফেটের জলীয় দ্রবণের তড়িৎ বিশ্লেষণ

কপার সালফেট জলে আয়নিত হয়ে কপার (+) এবং সালফেট (-) আয়ন উত্পন্ন করে । সুতরাং, জলীয় দ্রবণে চার প্রকার আয়ন থাকে, দুধরনের ক্যাটায়ান H (+) ও Cu (+) এবং দু ধরনের অ্যানায়ন OH (-) ও সালফেট (-) ।

জলের তড়িৎ-বিশ্লেষণ

বিশুদ্ধ জল তড়িতের কুপরিবাহী, কিন্তু সামান্য অ্যাসিড কিংবা ক্ষার জলে মেশালে ওই জল তড়িতের সুপরিবাহী হয় । এর কারণ হল বিশুদ্ধ জলে খুব কম সংখ্যক অণু H+ এবং OH- আয়নে বিশ্লেষিত অবস্থায় থাকে । ওই জলে সামান্য অ্যাসিড কিংবা ক্ষার যোগ করলে এদের আয়ন ...

তড়িৎ-বিশ্লেষ্য ও তড়িৎ-অবিশ্লেষ্য পদার্থ

যেসব পদার্থ জলে দ্রবীভূত বা গলিত অবস্থায় আয়নে বিশ্লিষ্ট হয়ে তড়িৎ পরিবহন করে এবং তড়িৎ পরিবহনের ফলে নিজেরা রাসায়নিকভাবে বিশ্লিষ্ট হয়ে নতুন ধর্মবিশিষ্ট পদার্থ উত্পন্ন হয়, সেই সব পদার্থকে তড়িৎ-বিশ্লেষ্য পদার্থ বলে ।

তড়িৎ-পরিবাহী এবং তড়িৎ-অপরিবাহী

যে সব পদার্থের মধ্য দিয়ে তড়িৎ-প্রবাহিত করলে তা তড়িৎ-পরিবহনে সক্ষম হয়, তাদের তড়িৎ-পরিবাহী পদার্থ বলে । যেমন; সোনা, রুপো, তামা, প্রভৃতি ধাতু, গ্রাফাইট, সোডিয়াম ক্লোরাইড দ্রবণ ইত্যাদি । তড়িৎ-পরিবহনে সক্ষম এমন পদার্থগুলিকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় --