Submitted by arpita pramanik on Sat, 04/06/2013 - 10:16

খনিজ ও আকরিক (Minerals and Ores) :

সোনা, রুপো, তামা, মার্কারি, প্লাটিনাম প্রভৃতি কয়েকটি ধাতু প্রকৃতিতে মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় । এই ধাতুগুলি ছাড়া অন্যান্য ধাতুগুলিকে কখনও প্রকৃতির মধ্যে মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় না । ওই গুলিকে যৌগরূপে ভূপৃষ্ঠে বালি, মাটি ইত্যাদির সঙ্গে মিশ্রিত অবস্থায় প্রকৃতির মধ্যে পাওয়া যায় । মিশ্রিত বালি, মাটি ইত্যাদি অশুদ্ধি বা অপদ্রব্যকে খনিজমল (Gangue) বলে ।  

খনিজ (Minerals) : প্রকৃতির মধ্যে বিভিন্ন ধাতব যৌগকে পাথরের মতো কঠিন অবস্থায় কখনও ভূগর্ভের নিচে বা ভূপৃষ্ঠে, বালি, মাটি এবং কাদার সঙ্গে মিশ্রিত অবস্থায় পাওয়া যায় । প্রকৃতিজাত এইসব অজৈব পদার্থগুলিকে খনিজ পদার্থ বলে । যেমন— রেড হেমাটাইট (Fe2O3) হল লোহার একটি খনিজ ।

আকরিক (Ores) : যেসব খনিজ থেকে সহজে ও সুলভে প্রয়োজনীয় ধাতু নিষ্কাশন করা যায়, তাদের ওই ধাতুর আকরিক বলে । কোনো ধাতুর সব খনিজই খরচ ও সহজ লভ্যতার প্রেক্ষিতে ধাতু নিষ্কাশনের উপযুক্ত নাও হতে পারে । যে কারণে বলা হয়—  কোনো ধাতুর আকরিকগুলি এর খনিজ, কিন্তু যেকোনো খনিজই এর আকরিক নাও হতে পারে । যেমন— রেড হেমাটাইট (Fe2O3) থেকে সহজে ও কম ব্যয়ে লোহার নিষ্কাশন করা যায় । তাই রেড হেমাটাইট লোহার আকরিক বলে । কিন্তু আয়রন পাইরাইটিস (FeS2) থেকে সহজে ও কম ব্যয়ে লোহা নিষ্কাশন সম্ভব হয় না । তাই আয়রন পাইরাইটিস লোহার খনিজ হলেও একে আকরিক বলা যায় না ।  

আকরিক থেকে বিভিন্ন সহজ এবং সুলভ প্রক্রিয়ার সাহায্যে ধাতু-নিষ্কাশন করার পদ্ধতিকে বলা হয় ধাতু বিদ্যা (Metallurgy) ।        

*****

Comments

Related Items

বিভিন্ন রাশির ব্যবহারিক এবং SI একক

তড়িৎ পরিমাণের ব্যবহারিক এবং SI একক ‘কুলম্ব’ [coulomb] । যে পরিমাণ তড়িৎ সিলভার নাইট্রেট দ্রবণে পাঠালে রাসায়নিক ক্রিয়ার ফলে ক্যাথোডে 0.001118 গ্রাম সিলভার জমা হয়, সেই পরিমাণ তড়িৎকে 1 কুলম্ব [coulomb] ধরা হয় । এর প্রতীক C ।

ওহমের সূত্র (Ohm’s Law)

ওহমের সূত্র থেকে রোধের সংজ্ঞা পাই, কোনো পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব-প্রভেদ এবং ওই পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহমাত্রার অনুপাতকে ওই পরিবাহীর রোধ বলে । যেসব পরিবাহী ওহম-সূত্র মেনে চলে তাদের ওহমীয় পরিবাহী বলে । যেমন— তামা, অ্যালুমিনিয়াম, লোহা প্রভৃতি বেশির ...

তড়িচ্চালক বল ও বিভব-প্রভেদ

যে বাহ্যিক কারণ স্থির বস্তুকে গতিশীল করতে পারে বলবিজ্ঞানে তাকে বল বলা হয় । এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তড়িৎ-কোশের তড়িতাধান চালনা করার ক্ষমতাকে বলা হয় তার 'তড়িচ্চালক বল' । যার প্রভাবে বা যে কারণে তড়িৎ-বর্তনীর কোনো অংশে রাসায়নিক কিংবা অন্য কোনো রকম ...

তড়িৎ-বিভব এবং বিভব-প্রভেদ

কোনো তড়িৎগ্রস্থ বস্তুর তড়িৎ-বিভব বলতে ওই বস্তুর এমন এক তড়িৎ-অবস্থা বোঝায়, যার দ্বারা বোঝা যায় ওই বস্তু অন্য কোনো বস্তুকে তড়িৎ দেবে কিংবা অন্য কোনো বস্তু থেকে তড়িৎ নেবে । অসীম দুরত্ব থেকে একক ধনাত্মক আধানকে তড়িৎ ক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে আনতে যে ...

তড়িতাধানের প্রবাহ - তড়িৎপ্রবাহ

কোনো পরিবাহী দিয়ে তড়িতাধানের প্রবাহ হলে তাকে তড়িৎপ্রবাহ বলা হয় । কিন্তু আধান ধনাত্মক ও ঋণাত্মক উভয় প্রকার হতে পারে । সুতরাং, কোন প্রকার আধানের প্রবাহ হলে তড়িৎপ্রবাহের সৃষ্টি হয় তা বোঝা দরকার । প্রচলিত নিয়ম হল, পরিবাহী দিয়ে ধনাত্মক আধানের প্রবাহ হলে ...