কয়েকটি বিশিষ্ট ধাতু-সংকর ও তার ব্যবহার

Submitted by arpita pramanik on Tue, 04/09/2013 - 12:30

ধাতু-সংকরের নাম, উপাদান, এবং ব্যবহার :

(1) পিতল (Brass) :- তামা (Cu) 60-80% এবং দস্তা (Zn) 40-20 % -এর মিশ্রিত ধাতু সংকর ।

ব্যবহার : বাসনপত্র, নল, টেলিস্কোপ, মূর্তি, ব্যারোমিটার, বিভিন্ন যন্ত্রের অংশ, জলের কল প্রভৃতি প্রস্তুতিতে পিতলের ব্যবহার হয়  ।

(2) কাঁসা (Bell Metal):- তামা (Cu) 80% এবং টিন (Sn) 20% -এর মিশ্রিত ধাতু সংকর । 

ব্যবহার : থালা, গ্লাস, মুদ্রা, বাটি, মূর্তি, ঘন্টা প্রভৃতি প্রস্তুতিতে কাঁসার ব্যবহার হয়  ।

(3) ব্রোঞ্জ (Bronze):- তামা (Cu) 75-90% এবং টিন (Sn) 25-10% -এর মিশ্রিত ধাতু সংকর । 
ব্যবহার : মূর্তি, থালা, যন্ত্রের বিভিন্ন অংশ, বাসনপত্র, মেডেল, মুদ্রা প্রভৃতি প্রস্তুতিতে ব্রোঞ্জের ব্যবহার হয় ।

(4) অ্যালুমিনিয়াম-ব্রোঞ্জ (Aluminium-Bronze):- তামা (Cu) 90% এবং অ্যালুমিনিয়াম (Al) 10% -এর মিশ্রিত ধাতু সংকর । 
ব্যবহার : মূর্তি, থালা, ফটোফ্রেম শৌখিন দ্রব্য প্রভৃতি প্রস্তুতিতে অ্যালুমিনিয়াম-ব্রোঞ্জের ব্যবহার হয় ।

(5) জার্মান সিলভার (German Silver) :- তামা (Cu) 50%, দস্তা (Zn) 30% এবং নিকেল (Ni) 20% -এর মিশ্রিত ধাতু সংকর । 
ব্যবহার : বাসনপত্র, ফুলদানি ও নানা রকম শৌখিন দ্রব্য প্রস্তুতিতে জার্মান সিলভারের ব্যবহার হয় ।

(6) ডুরালুমিন (Duralumin):-  অ্যালুমিনিয়াম (Al) 95%, তামা (Cu) 4%, ম্যাগনেসিয়াম (Mg) 0.5% এবং ম্যাঙ্গানিজ (Mn) 0.5% -এর মিশ্রিত ধাতু সংকর ।
ব্যবহার :মোটর গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, বিমানের কাঠামো নানা রকম যন্ত্রাংশ প্রস্তুতিতে ডুরালুমিন ব্যবহার হয় ।

(7) ম্যাগনেলিয়াম (Magnelium) :- অ্যালুমিনিয়াম (Al) 98% এবং ম্যাগনেসিয়াম (Mg) 2% -এর মিশ্রিত ধাতু সংকর ।
ব্যবহার : তুলাদন্ড, বিমানের কাঠামো এবং নানা রকম যন্ত্রাংশ নির্মাণে ম্যাগনেলিয়াম ব্যবহার হয় ।

(8) স্টেইনলেস স্টিল (Stainless Steel):-  লোহা (Fe) 80-90% এবং ক্রোমিয়াম (Cr) 10-20% -এর মিশ্রিত ধাতু সংকর ।
ব্যবহার : ট্যাপ, বাসনপত্র, সাইকেলের যন্ত্রাংশ, সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি ইত্যাদি নির্মাণে স্টেইনলেস স্টিল ব্যবহার হয় ।

*****

Related Items

গ্যাসের ধর্ম ও গ্যাসের চাপ

গ্যাসীয় পদার্থের কোনো নির্দিষ্ট আকার বা আয়তন নেই । যে পাত্রে রাখা হয় সেই পাত্রের সমগ্র আয়তন জুড়ে থাকে । গ্যাস অণুর ধর্মই হল চারিদিকে ক্রমাগত ছড়িয়ে পড়া । অণুগুলির গতির জন্যই গ্যাসের প্রবাহী ধর্ম দেখা যায় । স্থির উষ্ণতায় গ্যাসের ওপর চাপ প্রয়োগ করলে কিংবা ...

আয়ন ও ক্যাটায়ন

সাধারণ অবস্থায় যে-কোনো পরমাণু নিস্তড়িৎ । অর্থাৎ পরমাণুর মধ্যে প্রোটন সংখ্যা = ইলেকট্রন সংখ্যা । যখন কোনো পরমাণুর সবচেয়ে বাইরের কক্ষ থেকে এক বা একাধিক ইলেকট্রন গৃহিত হয়, তখন ওই পরমাণুটি তড়িৎগ্রস্থ কণায় পরিণত হয় । ...

নিউক্লাইড (Nuclide)

শুধুমাত্র পারমাণবিক সংখ্যা (বা প্রোটন সংখ্যা) জানা থাকলে মৌলটিকে শনাক্ত করা যায়, কিন্তু ওই মৌলের সমস্থানিক থাকলে তার নিউক্লিয়াসকে শনাক্ত করা যায় না । কারণ একই মৌলের সমস্থানিক পরমাণুগুলির নিউক্লিয়াসগুলিতে প্রোটন সংখ্যা একই থাকলেও ...

আইসোটোপ বা সমস্থানিক (Isotope)

একটি মৌলের বিভিন্ন পরমাণু যাদের পারমাণবিক সংখ্যা অর্থাৎ, প্রোটন সংখ্যা একই কিন্তু নিউক্লিয়াসে বিভিন্ন সংখ্যক নিউট্রন থাকার জন্য পারমাণবিক ভর অর্থাৎ ভর-সংখ্যা বিভিন্ন হয়, তাদের আইসোটোপ বা সমস্থানিক বলে । সমস্থানিক পরমাণুগুলির মধ্যে সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য ...

পারমাণবিক সংখ্যা এবং ভর সংখ্যা

কোনো মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে অবস্থিত ধনাত্মক তড়িতের মোট একক সংখ্যাকে ওই মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা বা পরমাণু-ক্রমাঙ্ক বলে । যেহেতু, প্রত্যেক প্রোটনে ধনাত্মক তড়িতের পরিমাণ এক একক ; সুতরাং, কোনো পরমাণুর নিউক্লিয়াসে অবস্থিত প্রোটনগুলির মোট সংখ্যাই হল ...