Submitted by arpita pramanik on Tue, 01/22/2013 - 18:27

স্থির উষ্ণতায় কোনো তারের রোধের উপর বিভিন্ন বিষয়ের প্রভাব - রোধাঙ্ক

Factor affecting resistance of a wire at a constant temperature - resistivity

যে কোনো স্থির উষ্ণতায় কোনো তারের রোধ (R) তারটির— [i] দৈর্ঘ্য (l),   [ii] প্রস্থচ্ছেদ (A) এবং  [iii] উপাদানের ওপর নির্ভর করে ।

[i] দৈর্ঘ্যের ওপর নির্ভরশীলতা : প্রস্থচ্ছেদ সুষম হলে একই উপাদান ও একই প্রস্থচ্ছেদবিশিষ্ট তারের রোধ তারের দৈর্ঘ্যের সমানুপাতিক হয় ।

অর্থাৎ,[tex]R \propto l[/tex], যখন A ধ্রুবক ।

[ii] প্রস্থচ্ছেদের ওপর নির্ভরশীলতা : একই উপাদান এবং একই দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট বিভিন্ন তারের রোধ তারের প্রস্থচ্ছেদের ব্যাস্তানুপাতিক হয় ।

অর্থাৎ,[tex]R \propto \frac {1}{A}[/tex],যখন  l ধ্রুবক ।

অতএব একই দৈর্ঘ্যের সরু তারের রোধ মোটা তারের রোধ অপেক্ষা বেশি হয় ।

[iii] উপাদানের ওপর নির্ভরশীলতা : একই প্রস্থচ্ছেদ এবং একই দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট বিভিন্ন তারের রোধ তারের উপাদানের ওপর নির্ভর করে । যেমন, একই প্রস্থচ্ছেদ এবং একই দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট তামার ও রুপোর তারের রোধ কম । 

(i) নং ও (ii) নং সূত্রকে একত্রে প্রকাশ করে লেখা যায়,

রোধ [tex]R \propto \frac {1}{A}[/tex] বা ; [tex]R = p \frac {1}{A}[/tex]; যেখানে p (রো) = ধ্রুবক ।

p -কে তারের উপাদানের রোধাঙ্ক (resistivity) বা আপেক্ষিক রোধ (specific resistance) বলে । এর মান দৈর্ঘ্য ও প্রস্থচ্ছেদের উপর নির্ভর করে না । নির্দিষ্ট তারের ক্ষেত্রে রোধাঙ্কের মান ওই তারের উপাদান ও উষ্ণতার ওপর নির্ভর করে

রোধাঙ্কের (resistivity) সংজ্ঞা : [tex]R = p \frac {1}{A}[/tex] সমীকরণে যদি  l = 1 এবং A = 1 হয়, তাহলে R = p হয় । তাই,

কোনো পদার্থের একক দৈর্ঘ্য এবং একক প্রস্থচ্ছেদবিশিষ্ট তারের রোধকে রোধাঙ্ক বলে । আবার একক প্রস্থচ্ছেদ ও একক দৈর্ঘ্য বললে একটি একক বাহু বিশিষ্ট ঘনকও বোঝায় । তাই অন্য ভাবে বলা যায়, কোনো পদার্থের একক ঘনকের দুটি বিপরীত তলের মধ্যেকার রোধকে পদার্থটির রোধাঙ্ক বলে । 

SI পদ্ধতিতে রোধাঙ্কের একক : এখন সমীকরণটি সাজিয়ে লিখলে

[tex]p = \frac{{R(ohm) \times A(metr{e^2})}}{{l(metre)}} = \frac{{RA}}{l}ohm - metre(\Omega  - m)[/tex]

CGS পদ্ধতিতে রোধাঙ্কের একক : ওহম-সেন্টিমিটার (Ω - cm) ।

রোধাঙ্কের মাত্র = (রোধ x ক্ষেত্রফল) ÷ দৈর্ঘ্য = [tex]\frac{{[M{L^2}{T^{ - 3}}{A^{ - 2}}][{L^2}]}}{{[L]}} = [M{L^3}{T^{ - 3}}{A^{ - 2}}][/tex]

*****

Related Items

গ্যাসের ধর্ম ও গ্যাসের চাপ

গ্যাসীয় পদার্থের কোনো নির্দিষ্ট আকার বা আয়তন নেই । যে পাত্রে রাখা হয় সেই পাত্রের সমগ্র আয়তন জুড়ে থাকে । গ্যাস অণুর ধর্মই হল চারিদিকে ক্রমাগত ছড়িয়ে পড়া । অণুগুলির গতির জন্যই গ্যাসের প্রবাহী ধর্ম দেখা যায় । স্থির উষ্ণতায় গ্যাসের ওপর চাপ প্রয়োগ করলে কিংবা ...

আয়ন ও ক্যাটায়ন

সাধারণ অবস্থায় যে-কোনো পরমাণু নিস্তড়িৎ । অর্থাৎ পরমাণুর মধ্যে প্রোটন সংখ্যা = ইলেকট্রন সংখ্যা । যখন কোনো পরমাণুর সবচেয়ে বাইরের কক্ষ থেকে এক বা একাধিক ইলেকট্রন গৃহিত হয়, তখন ওই পরমাণুটি তড়িৎগ্রস্থ কণায় পরিণত হয় । ...

নিউক্লাইড (Nuclide)

শুধুমাত্র পারমাণবিক সংখ্যা (বা প্রোটন সংখ্যা) জানা থাকলে মৌলটিকে শনাক্ত করা যায়, কিন্তু ওই মৌলের সমস্থানিক থাকলে তার নিউক্লিয়াসকে শনাক্ত করা যায় না । কারণ একই মৌলের সমস্থানিক পরমাণুগুলির নিউক্লিয়াসগুলিতে প্রোটন সংখ্যা একই থাকলেও ...

আইসোটোপ বা সমস্থানিক (Isotope)

একটি মৌলের বিভিন্ন পরমাণু যাদের পারমাণবিক সংখ্যা অর্থাৎ, প্রোটন সংখ্যা একই কিন্তু নিউক্লিয়াসে বিভিন্ন সংখ্যক নিউট্রন থাকার জন্য পারমাণবিক ভর অর্থাৎ ভর-সংখ্যা বিভিন্ন হয়, তাদের আইসোটোপ বা সমস্থানিক বলে । সমস্থানিক পরমাণুগুলির মধ্যে সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য ...

পারমাণবিক সংখ্যা এবং ভর সংখ্যা

কোনো মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে অবস্থিত ধনাত্মক তড়িতের মোট একক সংখ্যাকে ওই মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা বা পরমাণু-ক্রমাঙ্ক বলে । যেহেতু, প্রত্যেক প্রোটনে ধনাত্মক তড়িতের পরিমাণ এক একক ; সুতরাং, কোনো পরমাণুর নিউক্লিয়াসে অবস্থিত প্রোটনগুলির মোট সংখ্যাই হল ...