বিভিন্ন রাশির ব্যবহারিক এবং SI একক

Submitted by arpita pramanik on Fri, 01/18/2013 - 10:01

তড়িৎ সম্পর্কীয় বিভিন্ন রাশির ব্যবহারিক এবং SI একক (Practical and SI units of different electrical quantities)

[1] তড়িৎ-পরিমাণের একক :- তড়িৎ পরিমাণের ব্যবহারিক এবং SI একক ‘কুলম্ব’ [coulomb] । যে পরিমাণ তড়িৎ সিলভার নাইট্রেট দ্রবণে পাঠালে রাসায়নিক ক্রিয়ার ফলে ক্যাথোডে 0.001118 গ্রাম সিলভার জমা হয়, সেই পরিমাণ তড়িৎকে 1 কুলম্ব [coulomb] ধরা হয় । এর প্রতীক C ।

[2] তড়িৎ-প্রবাহমাত্রার একক :- তড়িৎ-প্রবাহ মাত্রার ব্যবহারিক এবং SI একক ‘অ্যাম্পিয়ার’ [Ampere] । পরিবাহীর কোনো বিন্দু দিয়ে যদি 1 সেকেন্ডে 1 কুলম্ব তড়িৎ অতিক্রম করে, তবে পরিবাহীর প্রবাহমাত্রাকে 1 অ্যাম্পিয়ার ধরা যায় । এর প্রতীক A । 1 আন্তর্জাতিক অ্যাম্পিয়ার = 0.999835 অ্যাম্পিয়ার [Ampere] ।

[3] বিভব-প্রভেদ এবং তড়িচ্চালক বলের একক :- উভয়েরই ব্যবহারিক এবং SI একক ‘ভোল্ট’ [Volt] । কোনো পরিবাহীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে 1 কুলম্ব তড়িৎ পাঠাতে যদি 1 জুল কার্য করতে হয়, তবে ওই পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব-প্রভেদ 1 ভোল্ট ধরা হয় । এর প্রতীক V । 1 আন্তর্জাতিক ভোল্ট = 1.00033 ভোল্ট ।

[4] রোধের একক :- রোধের ব্যবহারিক এবং SI একক ‘ওহম’ [ohm] । কোনো পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব-প্রভেদ 1 ভোল্ট রাখা হলে, যদি ওই পরিবাহীতে 1 অ্যাম্পিয়ার তড়িৎ প্রবাহিত হয়, তাহলে ওই পরিবাহীর রোধকে 1 ওহম বলে ।

ওহমের প্রতীক Ω (ওমেগা) এবং বর্তনীতে Fig-A চিত্ররুপে দেখানো হয় । 1 আন্তর্জাতিক ওহম = 1.000495 ওহম । এছাড়াও বৃহত্তর একক যেমন কিলোওহম (=103 ওহম), মেগাওহম  (= 106 ওহম) এবং ক্ষুদ্রতর একক মাইক্রোওহম  (1µ ওহম = 10-6 ওহম) -এদেরও ব্যবহার আছে ।

Resistor

*****

Comments

Related Items

জীবনক্রিয়ায় জৈব যৌগের ভুমিকা

প্রাণী বা উদ্ভিদের দেহের বেশির ভাগ অংশ জৈব যৌগ দিয়ে গঠিত । তাই জীব জগতে জৈব যৌগের দান অতুলনীয় । জীবন ক্রিয়ার সঙ্গে জৈব যৌগ গভীর ভাবে জড়িত । জীবদেহের জীবনক্রিয়া অব্যাহত রাখার জন্য জৈব যৌগের ভূমিকা অপরিসীম । জীবজগতে প্রত্যেক জৈবিক ক্রিয়ার কারণ ...

জৈব যৌগ ও জৈব রসায়ন

কার্বনের যে সমস্ত যৌগ প্রধানত জীবজগতে উত্পন্ন হয় এবং যে সমস্ত যৌগে কার্বন পরমাণুগুলি পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত এবং বৃত্তাকার শৃঙ্খলে যুক্ত থেকে বিভিন্ন সমধর্মী যৌগের শ্রেণি গঠন করতে পারে, সেই সমস্ত যৌগকে সামগ্রিকভাবে জৈব যৌগ বলে ...

কয়েকটি বিশিষ্ট ধাতু-সংকর ও তার ব্যবহার

পিতল, কাঁসা, ব্রোঞ্জ, অ্যালুমিনিয়াম-ব্রোঞ্জ, জার্মান সিলভার, ডুরালুমিন, ম্যাগনেলিয়াম, স্টেইনলেস স্টিল, বাসনপত্র, নল, টেলিস্কোপ, মূর্তি, ব্যারোমিটার, বিভিন্ন যন্ত্রের অংশ, তুলাদন্ড, বিমানের কাঠামো, জলের কল প্রভৃতি প্রস্তুতিতে ব্যবহার হয় । ...

ধাতু সংকর (Alloy)

দুই বা ততোধিক ধাতু পরস্পর মিশে যে সমসত্ত্ব বা অসমসত্ত্ব মিশ্রণ উত্পন্ন করে, সেই কঠিন ধাতব পদার্থকে ধাতু সংকর বা সংকর ধাতু বলে । যেমন - তামা ও টিনের মিশ্রণে উত্পন্ন কাঁসা হল একটি সংকর ধাতু । অনেক ক্ষেত্রে ধাতু-সংকরে অধাতু থাকতে পারে । ...

তামা বা কপার (Copper)

অতি প্রাচীন কাল থেকে তামা বা কপারের ব্যবহার চলে আসছে । কানাডার লেক সুপিরিয়রের কাছে এবং সাইবেরিয়ার পর্বতে মুক্ত অবস্থায় তামা বা কপার পাওয়া যায় । বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কপারকে বিভিন্ন যৌগরূপে প্রকৃতিতে পাওয়া যায় । কপারের প্রধান আকরিকগুলি হল ...