‘সেফটি ভালভ তত্ত্ব’ কী ? এই তত্ত্ব কী মেনে নেওয়া যায় ?

Submitted by avimanyu pramanik on Sun, 01/09/2022 - 15:01

প্রশ্ন:- ‘সেফটি ভালভ তত্ত্ব’ কী ? এই তত্ত্ব কী মেনে নেওয়া যায় ?

অনেকে অ্যালান অক্টোভিয়ান হিউম নামে একজন অবসরপ্রাপ্ত ইংরেজ কর্মচারীকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রকৃত উদ্যোক্তা বলে মনে করেন । জাতীয় কংগ্রেস গঠনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে হিউম বলেছিলেন, ‘সেই সময় ভারতে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে এক ষড়যন্ত্র চলছিল । অবিলম্বে যদি কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হত, তাহলে ভারতে হিংসাত্মক বিপ্লব ছিল অনিবার্য’। ধ্বংসাত্মক শক্তির প্রতিরোধক সেফটি ভালভ (Safety Valve) হিসাবে তিনি জাতীয় কংগ্রেস গঠন করার পরিকল্পনা করেন, একেই ‘সেফটি ভালভ তত্ত্ব’ বলা হয় । তিনি মনে করেছিলেন যে, একমাত্র ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের মতো কোনো প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারলে হিংসাত্মক অভ্যুত্থান নিবারণ করা সম্ভব হবে ।

হিউমের ‘সেফটি ভালভ তত্ত্ব’ই যে জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠার মূল কারণ তা বলা যায় না । জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠার মূলে ছিল স্বদেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য রাজনৈতিক চেতনাসম্পন্ন ভারতীয় নেতাদের প্রবল আকাঙ্খা । যে সব ভারতীয় নেতা হিউমের সঙ্গে সহযোগিতা করেছিলেন, তাঁরা ছিলেন উন্নত চরিত্রের দেশপ্রেমিক এবং তাঁদের উদ্যোগেই জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ।

*****

Comments

Related Items

ক্যাবিনেট মিশন বা মন্ত্রী মিশন (Cabinet Mission)

১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডের নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী ক্লিমেন্ট এটলি বরাবরই ভারতকে স্বাধীনতা দানের পক্ষপাতী ছিলেন । ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে নৌ-বিদ্রোহের অগ্রগতি লক্ষ্য করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্লিমেন্ট এটলি ভারতের রাজনৈতিক সংকট মোচনের জন্য ক্ষমতা হস্তান্তরের উদ্যোগ নেন ...

লাহোর অধিবেশন - ১৯৪০ (Lahore Resolution)

১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের ২৩ শে মার্চ লাহোরে মুসলিম লিগের অধিবেশন বসে । এই অধিবেশনে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে অবিভক্ত ভারতবর্ষের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশগুলিকে নিয়ে ভারতীয় মুসলমানদের জন্য মুসলিম নেতৃবৃন্দ একটি পৃথক সার্বভৌম মুসলিম রাষ্ট্রগঠনের দাবি করে প্রস্তাব গ্রহণ করেন ...

ভারতে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির পটভূমি - প্রথম পর্যায়

ভারতবর্ষে ইংরেজ রাজত্ব শুরু হওয়ার পর থেকেই বৃহত্তর মুসলিম সম্প্রদায় ব্রিটিশ সরকারের প্রতি মোটামুটি মিত্রভাবাপন্ন ছিলেন । ইংরেজ সরকারও ভারতে তাদের সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখার জন্য এই মৈত্রীকে জোরদার করে তুলতে তত্পর ছিল । ভারতবাসীর স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে ভারতে ...

ছাত্র আন্দোলন (Student Movement)

ভারতের জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে ছাত্রদল সব সময়ই পুরোভাগে ছিলেন । বিশ্বযুদ্ধের অবসানের পর ভারতবর্ষ এক সংকটময় পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন ও যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ক্রমবর্ধমান খাদ্যাভাব, দুর্ভিক্ষ, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অভাব, মজুতদারি, কালোবাজারি, শিল্পে মন্দা, ...

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর ভারতে গণ আন্দোলন

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে নানা গণসংগঠন অত্যাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে বিভিন্নমুখী আন্দোলন গড়ে তোলে । এই সব আন্দোলনগুলির মধ্যে ১৯৪৬-৪৭ খ্রিস্টাব্দের তেভাগা আন্দোলন অন্যতম । ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত Floud Commission -এর সুপারিশ অনুযায়ী ...