Submitted by avimanyu pramanik on Thu, 04/26/2012 - 15:47

মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister)

মুখ্যমন্ত্রী প্রাদেশিক সরকারের সর্বময় কর্তা । ভারতীয় সংবিধানের ১৬৪(১) ধারা অনুসারে রাজ্যপাল সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়োগ করেন । বিধানসভায় সংখ্যা গরিষ্ঠ দলের নেতা বা নেত্রীকে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী নিযুক্ত করেন ও তাঁকে মন্ত্রিসভা গঠনের দায়িত্ব দেন । সাধারণত তাঁর কার্যকালের সময়সীমা পাঁচ বছর । তিনি রাজ্যপালের প্রধান পরামর্শদাতা ।

মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর যোগ্যতাবলী :

(ক) মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীকে অবশ্যই ভারতের নাগরিক হতে হবে ।

(খ) মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্য বিধানসভার সদস্য হতে হবে । রাজ্য বিধানসভার সদস্য না হয়েও কোনো ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন, সেক্ষেত্রে ছ-মাসের মধ্যেই তাঁকে রাজ্য বিধানসভার সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে ।

(গ) মুখ্যমন্ত্রীর বয়স অন্তত ২৫ বছর বা তার বেশি হতে হবে ।

*****

Related Items

ক্যাবিনেট মিশন বা মন্ত্রী মিশন (Cabinet Mission)

১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডের নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী ক্লিমেন্ট এটলি বরাবরই ভারতকে স্বাধীনতা দানের পক্ষপাতী ছিলেন । ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে নৌ-বিদ্রোহের অগ্রগতি লক্ষ্য করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্লিমেন্ট এটলি ভারতের রাজনৈতিক সংকট মোচনের জন্য ক্ষমতা হস্তান্তরের উদ্যোগ নেন ...

লাহোর অধিবেশন - ১৯৪০ (Lahore Resolution)

১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের ২৩ শে মার্চ লাহোরে মুসলিম লিগের অধিবেশন বসে । এই অধিবেশনে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে অবিভক্ত ভারতবর্ষের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশগুলিকে নিয়ে ভারতীয় মুসলমানদের জন্য মুসলিম নেতৃবৃন্দ একটি পৃথক সার্বভৌম মুসলিম রাষ্ট্রগঠনের দাবি করে প্রস্তাব গ্রহণ করেন ...

ভারতে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির পটভূমি - প্রথম পর্যায়

ভারতবর্ষে ইংরেজ রাজত্ব শুরু হওয়ার পর থেকেই বৃহত্তর মুসলিম সম্প্রদায় ব্রিটিশ সরকারের প্রতি মোটামুটি মিত্রভাবাপন্ন ছিলেন । ইংরেজ সরকারও ভারতে তাদের সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখার জন্য এই মৈত্রীকে জোরদার করে তুলতে তত্পর ছিল । ভারতবাসীর স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে ভারতে ...

ছাত্র আন্দোলন (Student Movement)

ভারতের জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে ছাত্রদল সব সময়ই পুরোভাগে ছিলেন । বিশ্বযুদ্ধের অবসানের পর ভারতবর্ষ এক সংকটময় পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন ও যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ক্রমবর্ধমান খাদ্যাভাব, দুর্ভিক্ষ, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অভাব, মজুতদারি, কালোবাজারি, শিল্পে মন্দা, ...

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর ভারতে গণ আন্দোলন

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে নানা গণসংগঠন অত্যাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে বিভিন্নমুখী আন্দোলন গড়ে তোলে । এই সব আন্দোলনগুলির মধ্যে ১৯৪৬-৪৭ খ্রিস্টাব্দের তেভাগা আন্দোলন অন্যতম । ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত Floud Commission -এর সুপারিশ অনুযায়ী ...