পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারে ডেভিড হেয়ার ও জন এলিয়ট ড্রিঙ্কওয়াটার বিটন -এর ভূমিকা

Submitted by avimanyu pramanik on Thu, 12/03/2020 - 11:28

উনিশ শতকে যে সব মানুষ বাংলায় পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন ডেভিড হেয়ার । ১৭৭৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি স্কটল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন । ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় এসে ঘড়ির ব্যবসা করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন । ঔপনিবেশিক শাসনে এদেশের মানুষের দুর্দশা দেখে তিনি ব্যাথিত হন । ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দের ২০ জানুয়ারি সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি স্যার হাইড ইস্ট -এর সমর্থনে এবং ডেভিড হেয়ার -এর সক্রিয় অংশ গ্রহণে কলকাতায় 'হিন্দু কলেজ' বর্তমানে 'প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়' প্রতিষ্ঠিত হয় । ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে ডেভিড হেয়ার কলকাতায় ইংরেজি বিদ্যালয় 'পটলডাঙা অ্যাকাডেমি' প্রতিষ্ঠা করেন, যার পরে নাম হয় হেয়ার স্কুল । এদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় পাঠ্যপুস্তক রচনার উদ্দেশ্যে তিনি ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে 'ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি' ও ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে 'ক্যালকাটা স্কুল সোসাইটি' প্রতিষ্ঠা করেন ।

উনবিংশ শতকে বাংলায় পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে জন এলিয়ট ড্রিঙ্কওয়াটার বিটন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন । তিনি বেথুন সাহেব নামে খ্যাত । নারীদের মধ্যে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের উদ্দেশ্যে ১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দের ৭ মে কোম্পানির শিক্ষা কাউন্সিলের সভাপতি জন এলিয়ট ড্রিঙ্কওয়াটার বিটন 'হিন্দু ফিমেল স্কুল' প্রতিষ্ঠা করেন । এই বিদ্যালয়ের পরে নাম হয় 'বেথুন স্কুল' । এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় বিটনকে সাহায্য করেন বিদ্যাসাগর ও মদনমোহন তর্কালংকার । বাংলার নারীদের আধুনিক উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার উদ্দেশ্যে বেথুন সাহেব কলকাতায় একটি মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন । এটি বর্তমানে 'বেথুন কলেজ' নামে পরিচিত । ভারতে নারীশিক্ষার পথিকৃৎ বেথুন সাহেব মৃত্যুর আগে তাঁর যাবতীয় অস্থাবর সম্পত্তি 'হিন্দু ফিমেল স্কুল' এর নামে দান করে যান ।  

*******

Comments

Related Items

আজাদ হিন্দ ফৌজের ভারত অভিযান সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ । কী কারণে শেষ পর্যন্ত আজাদ হিন্দ ফৌজ আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়ে ছিল ?

প্রশ্ন:-  আজাদ হিন্দ ফৌজের ভারত অভিযান সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ । কী কারণে শেষ পর্যন্ত আজাদ হিন্দ ফৌজ আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়ে ছিল ?

আজাদ হিন্দ ফৌজের ভারত অভিযান—

’করেঙ্গা ইয়া মরেঙ্গে’ -কোন আন্দোলনের রণধ্বনি ছিল ? এই আন্দোলনে কৃষক ও শ্রমিকরা কীরূপ ভূমিকা নিয়েছিল ?

প্রশ্ন:-  ’করেঙ্গা ইয়া মরেঙ্গে’ -কোন আন্দোলনের রণধ্বনি ছিল ? এই আন্দোলনে কৃষক ও শ্রমিকরা কীরূপ ভূমিকা নিয়েছিল ?

১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ভারত ছাড়ো আন্দোলনের রণধ্বনি ছিল 'করেঙ্গা ইয়া মরেঙ্গে' ।

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রসার আলোচনা কর ।

প্রশ্ন:- ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রসার আলোচনা কর ।

১৯৪২ সালের ৮ই আগষ্ট ‘ভারত-ছাড়ো প্রস্তাব’ গৃহীত হলে পরদিন অর্থাৎ ৯ই আগষ্ট, ১৯৪২ এর ভোর থেকেই আন্দোলন শুরু হয়, যেমন—

১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে কোন ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে স্যার স্ট্যাস্ট্যাস্ট্যাফোর্ড ক্রিপ্‌স ভারতে এসেছিলেন ?

প্রশ্ন:-  ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে কোন ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে স্যার স্ট্যাফোর্ড ক্রিপ্‌স ভারতে এসেছিলেন ?

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে মাতঙ্গিনী হাজরার অবদান আলোচনা কর ।

প্রশ্ন:- ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে মাতঙ্গিনী হাজরার অবদান আলোচনা কর ।

ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে মাতঙ্গিনী হাজরার অবদান বিশেষভাবে স্মরনীয় ।