তৃতীয় ঈঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধ ও মারাঠা শক্তির পতন

Submitted by avimanyu pramanik on Fri, 04/20/2012 - 21:32

তৃতীয় ঈঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধ ও মারাঠা শক্তির পতন (Third Anglo-Maratha War and Downfall of the Maratha Power)

দ্বিতীয় ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধে চূড়ান্তভাবে পরাজিত হওয়ার পরও পেশোয়া দ্বিতীয় বাজীরাও ইংরেজ বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকায় গভর্নর লর্ড হেস্টিংস পেশোয়া দ্বিতীয় বাজিরাও-কে এক নতুন অপমানজনক সন্ধি স্বাক্ষর করার জন্য বাধ্য করলে তিনি বিদ্রোহী হন । এই সময় লর্ড হেস্টিংস উত্তর ভারতে পিন্ডারী দমনে ব্যস্ত থাকলে সেই সুযোগে পুনার পেশোয়া বাহিনী ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে কির্কির ব্রিটিশ সেনানিবাস আক্রমণ করে । ফলে তৃতীয় ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধ [Third Anglo-Maratha War] শুরু হয় । ব্রিটিশ সেনা মারাঠা বাহিনীকে সহজেই পরাজিত করে পুনা অধিকার করে নেয় । পেশোয়ার দৃষ্টান্তে অনুপ্রাণিত হয়ে সিন্ধিয়া, ভোঁসলে এবং হোলকার পেশোয়ারের সঙ্গে যোগ দেয় । ইংরেজ বাহিনী নাগপুরের অনতিদূরে সিতাবলদীর যুদ্ধে ভোঁসলে এবং মাহিদপুরের যুদ্ধে হোলকারকে পরাজিত করেন । এর পরেও পেশোয়া দ্বিতীয় বাজীরাও ইংরেজদের বিরুদ্ধে পুনরায় অভিযান চালালে কোরেগাঁও এবং অস্টির যুদ্ধে চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয়ে ইংরেজদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন । এই সঙ্গে ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে তৃতীয় ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধের অবসান ঘটে । 

এই যুদ্ধের ফলশ্রুতিতে

(১) লর্ড হেস্টিংস পেশোয়া পদের বিলোপ সাধন করেন ।

(২) দ্বিতীয় বাজিরাওকে বার্ষিক আট লাখ টাকা বৃত্তি দিয়ে উত্তরপ্রদেশের কানপুরের নিকটবর্তী বিঠুরে নির্বাসিতের জীবনযাপনে বাধ্য করা হয় ।

(৩) ইংরেজদের তত্বাবধানে শিবাজীর বংশধর প্রতাপসিংহ সাতারার সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত হন ।

(৪) সিন্ধিয়া, ভোঁসলে, হোলকার নিজ নিজ অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদে ইংরেজদের সঙ্গে অধীনতামূলক মিত্রতায় আবদ্ধ হন ।

(৫) মারাঠা যুক্তরাষ্ট্র সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়,

(৬) পেশোয়ার রাজ্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত হয় ।

****

 

 

 

 

 

Related Items

বহু বিকল্পীয় প্রশ্নোত্তর (M.C.Q) - উত্তর ঔপনিবেশিক ভারত (১৯৪৭-১৯৬৪)

বহু বিকল্পীয় প্রশ্নোত্তর (M.C.Q) - উত্তর ঔপনিবেশিক ভারত:-

মাধ্যমিকের নমুনা প্রশ্ন:-

১. ভারতের রাজনীতিতে 'লৌহ মানব' বলে পরিচিত ছিলেন—        [মাধ্যমিক-২০১৭]

বহু বিকল্পীয় প্রশ্নোত্তর (M.C.Q) - বিশ শতকের ভারতের নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন

বহু বিকল্পীয় প্রশ্নোত্তর (M.C.Q) - বিশ শতকের ভারতের নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন:-

মাধ্যমিকের নমুনা প্রশ্ন:-

১. দীপালি সংঘ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন—          [মাধ্যমিক-২০১৭]

বহু বিকল্পীয় প্রশ্নোত্তর (M.C.Q) - বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন

বহু বিকল্পীয় প্রশ্নোত্তর (M.C.Q) - বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন:-

মাধ্যমিকের নমুনা প্রশ্ন:-

১. একা আন্দোলনের নেতা ছিলেন—     [মাধ্যমিক-২০১৭]

স্যাডলার কমিশন (Sadler Commission)

১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাশ হবার পর দেশে উচ্চশিক্ষার প্রসার ক্রমশ বৃদ্ধি পায় । উচ্চশিক্ষাকে আরও ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে বড়লাট চেমসফোর্ডের সময় স্যার মাইকেল স্যাডলারের সভাপতিত্বে 'স্যাডলার কমিশন' গঠন করা হয় । স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় এই কমিশনের সদস্য ছিলেন ...