কীভাবে ভারতে কমিউনিস্ট পার্টি গঠিত হয় ? আইন অমান্য আন্দোলনে শ্রমিক শ্রেণি কী ভূমিকা গ্রহণ করে ?

Submitted by avimanyu pramanik on Fri, 01/14/2022 - 09:28

প্রশ্ন:- কীভাবে ভারতে কমিউনিস্ট পার্টি গঠিত হয় ? আইন অমান্য আন্দোলনে শ্রমিক শ্রেণি কী ভূমিকা গ্রহণ করে ?

রুশ বিপ্লবের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মানবেন্দ্রনাথ রায়, অবনী মুখার্জি, মহম্মদ আলি সহ ২৪ জন প্রবাসী ভারতীয় বিপ্লবীদের নিয়ে রাশিয়ার তাসখন্দে ১৯২০ খ্রিস্টাব্দের ১৭ই অক্টোবর 'ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি' গড়ে ওঠে । এর সম্পাদক হন মহম্মদ সিদ্দিকি । ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে তাসখন্দে ‘ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি' প্রতিষ্ঠা হলেও ভারতে ঐক্যবদ্ধ কমিউনিস্ট আন্দোলন গড়ে ওঠেনি । ভারতে ঐক্যবদ্ধ কমিউনিস্ট আন্দোলন গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দের ২৬শে ডিসেম্বর উত্তর প্রদেশের কানপুর শহরে অনুষ্ঠিত সন্মেলনে বিশিষ্ঠ কমিউনিস্ট নেতা সিঙ্গায়াভেলু চেট্টিয়ার -এর সভাপতিত্বে ‘ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি’ প্রতিষ্ঠিত হয় । সম্পাদক হন সচিদানন্দ বিষ্ণু ঘাটে ।

আইন অমান্য আন্দোলনে শ্রমিক শ্রেণির ভূমিকা :

আইন অমান্য আন্দোলনে ভারতের শ্রমিকশ্রেণি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, যেমন—

(১) আইন অমান্য আন্দোলন চলাকালীন সময়ে বোম্বাই বন্দরে শ্রমিক আন্দোলনের ফলে প্রায় ৩০ কোটি টাকা মূল্যের বিদেশি পণ্য বন্দরে আটকে পড়ে ।

(২) দেশের আমদানির পরিমাণ হ্রাস পেয়ে এক-তৃতীয়াংশে নেমে আসে ।

(৩) বোম্বাইয়ে অনেকগুলি ব্রিটিশ পরিচালিত সুতাকল বন্ধ হয়ে যায় ।

(৪) সর্বোপরি স্বদেশি খাদি বস্ত্রের উৎপাদন ও বিক্রি অভাবনীয়ভাবে বৃদ্ধি পায় ।

অপর দিকে বলা যায়, অসহযোগ আন্দোলনের সময় ভারতে শ্রমিক আন্দোলনের যে স্বতঃস্ফূর্ত চেহারা দেখা গিয়েছিল, বিশেষ কিছু স্থান ও সময় ছাড়া আইন অমান্য আন্দোলনের সময়ে তা দেখা যায়নি ।

*****

Comments

Related Items

আজাদ হিন্দ ফৌজের ভারত অভিযান সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ । কী কারণে শেষ পর্যন্ত আজাদ হিন্দ ফৌজ আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়ে ছিল ?

প্রশ্ন:-  আজাদ হিন্দ ফৌজের ভারত অভিযান সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ । কী কারণে শেষ পর্যন্ত আজাদ হিন্দ ফৌজ আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়ে ছিল ?

আজাদ হিন্দ ফৌজের ভারত অভিযান—

’করেঙ্গা ইয়া মরেঙ্গে’ -কোন আন্দোলনের রণধ্বনি ছিল ? এই আন্দোলনে কৃষক ও শ্রমিকরা কীরূপ ভূমিকা নিয়েছিল ?

প্রশ্ন:-  ’করেঙ্গা ইয়া মরেঙ্গে’ -কোন আন্দোলনের রণধ্বনি ছিল ? এই আন্দোলনে কৃষক ও শ্রমিকরা কীরূপ ভূমিকা নিয়েছিল ?

১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ভারত ছাড়ো আন্দোলনের রণধ্বনি ছিল 'করেঙ্গা ইয়া মরেঙ্গে' ।

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রসার আলোচনা কর ।

প্রশ্ন:- ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রসার আলোচনা কর ।

১৯৪২ সালের ৮ই আগষ্ট ‘ভারত-ছাড়ো প্রস্তাব’ গৃহীত হলে পরদিন অর্থাৎ ৯ই আগষ্ট, ১৯৪২ এর ভোর থেকেই আন্দোলন শুরু হয়, যেমন—

১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে কোন ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে স্যার স্ট্যাস্ট্যাস্ট্যাফোর্ড ক্রিপ্‌স ভারতে এসেছিলেন ?

প্রশ্ন:-  ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে কোন ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে স্যার স্ট্যাফোর্ড ক্রিপ্‌স ভারতে এসেছিলেন ?

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে মাতঙ্গিনী হাজরার অবদান আলোচনা কর ।

প্রশ্ন:- ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে মাতঙ্গিনী হাজরার অবদান আলোচনা কর ।

ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে মাতঙ্গিনী হাজরার অবদান বিশেষভাবে স্মরনীয় ।