কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং উচ্চশিক্ষার বিকাশ

Submitted by avimanyu pramanik on Thu, 12/03/2020 - 22:17

১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বোর্ড অব কন্ট্রোলের সভাপতি স্যার চার্লস উড শিক্ষানীতির ওপর একটি পরিকল্পনা পেশ করেন যা 'উডের ডেসপ্যাচ' নামে পরিচিত । এই শিক্ষা পরিকল্পনায় যে সমস্ত সুপারিশগুলি করা হয় সেগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল কলকাতা, বোম্বাই ও মাদ্রাজে একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিা করা । উডের ডেসপ্যাচের সুপারিশের ভিত্তিতে লর্ড ক্যানিং -এর শাসনকালে ভারতে উচ্চ শিক্ষাবিস্তারের উদ্দেশ্যে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৪ জানুয়ারি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় । দ্বারভাঙার মহারাজা মহেশ্বর সিং বাহাদুর এই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য জমি দান করেন । কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম আচার্য ছিলেন লর্ড ক্যানিং এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি স্যার জেমস উইলিয়াম কোলভিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য নিযুক্ত হন । স্যার গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভারতীয় উপাচার্য ছিলেন । ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রথম প্রবেশিকা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় । ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে প্রথম বিএ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় । এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এবং যদুনাথ বসু দ্বিতীয় বিভাগে স্নাতক হন । ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দের ইউনিভার্সিটি আইন -এর ধারা অনুসারে ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স কলেজ স্থাপিত হয় । বাঙালি অভিজাত তারকনাথ পালিত এবং রাসবিহারী ঘোষ বিজ্ঞান বিষয়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিপুল অর্থদান করেন । রসিকলাল দত্ত ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম ডক্টরেট ডিগ্রী (D Sc) প্রাপ্ত বিজ্ঞানী । ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিশিরকুমার মিত্রের নেতৃত্বে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রেডিয়ো ফিজিক্স বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয় । এই কলেজের অধ্যাপক হিসেবে প্রশান্তচন্দ্র মহালনবিশ পরিসংখ্যান বিদ্যাচর্চার প্রসার ঘটান । বোম্বাইয়ের একজন ধনী ব্যবসায়ী প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার উন্নতির জন্য দু-লক্ষ টাকা দান করেন । কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তির প্রথম প্রাপক ছিলেন আশুতোষ মুখোপাধ্যায় । এ ছাড়াও প্রসন্নকুমার ঠাকুর, ঈশানচন্দ্র বসু, হরিশচন্দ্র চৌধুরী প্রমুখ  বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতিকল্পে অর্থ দান করেন ।

******

Related Items

আজাদ হিন্দ ফৌজের ভারত অভিযান সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ । কী কারণে শেষ পর্যন্ত আজাদ হিন্দ ফৌজ আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়ে ছিল ?

প্রশ্ন:-  আজাদ হিন্দ ফৌজের ভারত অভিযান সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ । কী কারণে শেষ পর্যন্ত আজাদ হিন্দ ফৌজ আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়ে ছিল ?

আজাদ হিন্দ ফৌজের ভারত অভিযান—

’করেঙ্গা ইয়া মরেঙ্গে’ -কোন আন্দোলনের রণধ্বনি ছিল ? এই আন্দোলনে কৃষক ও শ্রমিকরা কীরূপ ভূমিকা নিয়েছিল ?

প্রশ্ন:-  ’করেঙ্গা ইয়া মরেঙ্গে’ -কোন আন্দোলনের রণধ্বনি ছিল ? এই আন্দোলনে কৃষক ও শ্রমিকরা কীরূপ ভূমিকা নিয়েছিল ?

১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ভারত ছাড়ো আন্দোলনের রণধ্বনি ছিল 'করেঙ্গা ইয়া মরেঙ্গে' ।

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রসার আলোচনা কর ।

প্রশ্ন:- ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রসার আলোচনা কর ।

১৯৪২ সালের ৮ই আগষ্ট ‘ভারত-ছাড়ো প্রস্তাব’ গৃহীত হলে পরদিন অর্থাৎ ৯ই আগষ্ট, ১৯৪২ এর ভোর থেকেই আন্দোলন শুরু হয়, যেমন—

১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে কোন ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে স্যার স্ট্যাস্ট্যাস্ট্যাফোর্ড ক্রিপ্‌স ভারতে এসেছিলেন ?

প্রশ্ন:-  ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে কোন ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে স্যার স্ট্যাফোর্ড ক্রিপ্‌স ভারতে এসেছিলেন ?

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে মাতঙ্গিনী হাজরার অবদান আলোচনা কর ।

প্রশ্ন:- ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে মাতঙ্গিনী হাজরার অবদান আলোচনা কর ।

ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে মাতঙ্গিনী হাজরার অবদান বিশেষভাবে স্মরনীয় ।