Submitted by avimanyu pramanik on Mon, 04/23/2012 - 21:56

ইটালির আবিসিনিয়া দখল :

সাম্রাজ্যবাদী লক্ষ্য পূরণে মুসোলিনীর প্রথম প্রয়াস হল আবিসিনিয়া দখল করা । ইটালিতে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় স্থান অনুসন্ধান, খাদ্য সংস্থান, শিল্পের জন্য কাঁচামাল সংগ্রহ ও উৎপাদিত দ্রব্য সামগ্রী বিপণনের উপযুক্ত বাজার ইত্যাদির জন্য ইথিউপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবা বা আবিসিনিয়া দখল করার জন্য ইটালি সচেষ্ট ছিল । এর আগে ইটালি লিবিয়া, সোমালিল্যান্ড ও ইরিত্রিয়া জয় করে মুসোলিনী তাঁর আধিপত্য বিস্তার করেছিল । সোমালিল্যান্ড ও ইরিত্রিয়ার মধ্যবর্তী আবিসিনিয়া দখল করতে পারলে মুসোলিনীর পূর্ব আফ্রিকায় আধিপত্য বিস্তারের বাসনা চরিতার্থ হবে । এই অভিপ্রায়ে ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের ৩রা অক্টোবর ইটালীয় বাহিনী ইথিউপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবা বা আবিসিনিয়া আক্রমণ করে । ইটালীয় আক্রমণ প্রতিরোধে ব্যর্থ আবিসিনীয় সম্রাট হেইলে সেলাসি দেশ ত্যাগ করেন । জাতিসংঘ এক্ষেত্রে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে । ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে ইটালি আবিসিনিয়া দখল করে পূর্ব আফ্রিকায় আধিপত্য বিস্তারের বাসনা চরিতার্থ করে ।

*****

Related Items

প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ (Resistance and Rebellion) : ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩শে জুন নবাব সিরাজদ্দৌলাকে পলাশির যুদ্ধে পরাজিত করার পর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতে তাদের ক্ষমতা বিস্তার করতে শুরু করে । এদিকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অপশাসনের বিরুদ্ধে ভারতের বি

উনিশ শতকের বাংলার 'নবজাগরণ' ধারণার ব্যবহার বিষয়ক বিতর্ক

পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রভাবে উনিশ শতকে বাংলার সমাজ, সংস্কৃতি, ধর্ম, শিক্ষা প্রভৃতি ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায় কেউ কেউ তাকে 'নবজাগরণ' বলে অভিহিত করেছেন । প্রকৃত অর্থে এই অগ্রগতিকে নবজাগরণ বলা যায় কি না তা নিয়ে ঐতিহাসিক ও পন্ডিতমহলে বিতর্কের শেষ নেই । ঐতিহাসিক যদুনাথ

বাংলার নবজাগরণ -এর চরিত্র ও পর্যালোচনা

ঊনিশ শতকে বাংলায় আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রভাবে বাংলার শিক্ষা, সংস্কৃতি, শিল্পকলা, রাজনীতি, ধর্ম, সমাজ প্রভৃতি ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায় । এই অগ্রগতি সাধারণভাবে 'ঊনিশ শতকে বাংলার নবজাগরণ' নামে পরিচিত । রেনেসাঁস (Renaissance) কথাটির আক্

লালন ফকির

ঊনিশ শতকে বাংলায় সর্বধর্মসমন্বয়ের ক্ষেত্রে যাঁরা গুরুত্বপূর্ন অবদান রেখেছিলেন লালন ফকির বা লালন সাঁই হলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম আধ্যাত্মিক বাউলসাধক । তিনি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ও বাংলাদেশের বাউলগানের শ্রেষ্ঠতম রচয়িতা ছিলেন । তিনি সাধারণ মানুষের কাছে লালন ফকির ...

স্বামী বিবেকানন্দের ধর্মসংস্কারের অভিমুখ : নব্য বেদান্ত — বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

ভারতের প্রাচীন অদ্বৈত বেদান্ত দর্শনের ব্যাখ্যাকর্তা ছিলেন আদি জগৎগুরু 'শঙ্করাচার্য' । 'বেদান্ত' শব্দের অর্থ হল বেদের অন্ত বা শেষ, আর বেদের অন্ত হল উপনিষদসমূহ । ব্রহ্ম হল বেদান্ত দর্শনের মূল আলোচ্য বিষয় । উপনিষদ, ভগবতগীতা এবং ব্রহ্ম সূত্র ও তার ভাষ্য বি