Submitted by avimanyu pramanik on Sat, 07/24/2021 - 22:52

হিমশৈল (Iceberg) :  মহাদেশীয় হিমবাহের হিমরেখা সমুদ্রপৃষ্ঠ হওয়ায় কখনো কখনো হিমাবাহের বিশালাকার বরফের অংশ ভেঙে সমুদ্রের জলে এসে পড়ে ও জলে ভাসতে থাকে । এইরূপ সমুদ্রের জলে ভাসমান ও গতিশীল বিশালাকার বরফের স্তুপকে হিমশৈল বলে । হিমশৈল মিষ্টি জল দিয়ে তৈরি হয় । হিমশৈলের মাত্র [tex] {1 \over 9}[/tex] অংশ জলের উপরে ভেসে থাকে এবং [tex] {8 \over 9}[/tex] অংশ জলে ডুবে থাকে । হিমশৈলে প্রচুর পরিমাণে পলি, বালি, কাদা ও আবর্জনা থাকে এবং পরে তা গলে গিয়ে অগভীর সমুদ্রবক্ষে সঞ্চিত হয়ে মগ্নচড়া গড়ে তোলে, যা বাণিজ্যিক মৎস্য ক্ষেত্র গড়ে উঠতে সহায়ক হয় । হিমশৈল অনেক ক্ষেত্রেই জাহাজ চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে ।

আন্টার্কটিকা ও গ্রিনল্যান্ড হল হিমশৈলের প্রধান উৎস ।

এই রকম একটি হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে টাইটানিক জাহাজ তার প্রথম যাত্রাতেই সাউদাম্পটন থেকে নিউ ইয়র্ক যাওয়ার পথে ১৯১২ খ্রিস্টাব্দের ১৫ই এপ্রিল উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে গভীর সমুদ্রে ডুবে যায় ।

*****

Comments

Related Items

বায়ুর উষ্ণতা (Air Temperature)

বায়ুর উষ্ণতা (Air Temperature) : বায়ুর উষ্ণতা বলতে বায়ুর তাপমাত্রাকে বোঝায় । বায়ুর উষ্ণ এবং শীতল অবস্থার তুলনামূলক পরিমাপকেই বায়ুর উষ্ণতা বলা হয় । সূর্যকিরণ হল বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতার প্রধান উৎস । সূর্যের তাপ গ্রহণ বা তার প্রতিফলন ঘটিয়ে বায়ু উষ্ণ বা শ

ওজোন স্তর (Ozone Layer)

ওজোন স্তর (Ozone Layer) : বায়ুমণ্ডলের দ্বিতীয় স্তরে অর্থাৎ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরের মধ্যে ২০ - ৩৫ কিমি.

ম্যাগনেটোস্ফিয়ার (Magnetosphere)

ম্যাগনেটোস্ফিয়ার (Magnetosphere) : এক্সোস্ফিয়ার স্তরের ওপরে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল বেষ্টনকারী চৌম্বকক্ষেত্রটি হল ম্যাগনেটোস্ফিয়ার স্তর । এটি বায়ুমণ্ডলের সর্বশেষ স্তর । এক্সোস্ফিয়ার স্তরের ওপর ১,৫০০ কিমি.

এক্সোস্ফিয়ার (Exosphere)

এক্সোস্ফিয়ার (Exosphere) : এক্সোস্ফিয়ার হল বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে দূরবর্তী স্তর । এই স্তরটি আয়নোস্ফিয়ারের ওপরে প্রায় ৭০০ কিমি. উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত ।

আয়োনোস্ফিয়ার বা থার্মোস্ফিয়ার (Ionosphere or Thermosphere)

আয়োনোস্ফিয়ার (Ionosphere) : মেসোস্ফিয়ার স্তরের শেষ সীমা হল মেসোপজ । আর এই মেসোপজের ওপরে প্রায় ৫০০ কিমি.