Submitted by avimanyu pramanik on Sun, 06/27/2021 - 18:30

স্বাভাবিক বাঁধ (Natural Levee) : সমভূমি প্রবাহে ও বদ্বীপ প্রবাহে নদীর সঞ্চয়কাজের ফলে যে সমস্ত ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, তাদের মধ্যে অন্যতম একটি ভূমিরূপ হল স্বাভাবিক বাঁধ । সমভূমি প্রবাহে নদীর বহন ক্ষমতা একেবারে কমে যায় বলে নদীবাহিত পলি, বালি, কাদা, কাঁকর প্রভৃতি নদী আর বহন করতে পারে না । তখন নদীবাহিত পলি, বালি, কাদা, কাঁকর প্রভৃতি নদীর দুই তীরে সঞ্চিত হয় । এর ফলে নদীর দুই তীরে ক্রমশ সঞ্চিত হতে হতে কালক্রমে উঁচু হয়ে উঠে দীর্ঘ বাঁধের আকার ধারণ করে । এই ভূমিরূপ স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় গঠিত হয় বলে একে স্বাভাবিক বাঁধ বলে । আবার প্লাবনভূমি গঠনের সময় বন্যার জলের সঙ্গে বাহিত পলি, বালি, কাদা, প্রভৃতি নদীর দুই তীরে সঞ্চিত হয়ে স্বাভাবিক বাঁধের সৃষ্টি করে ।

*****

Comments

Related Items

অধঃক্ষেপণ (Precipitation)

অধঃক্ষেপণ (Precipitation) : সূর্যের উত্তাপে ভূপৃষ্ঠের সমুদ্র, হ্রদ, নদী, পুকুর, খাল, বিল প্রভৃতি জলরাশি থেকে জল জলীয়বাষ্পে পরিণত হয় । জলীয়বাষ্পপূর্ণ বাতাস হাল্কা হওয়ার দরুন ঊর্ধগামী হয় । উপরের বায়ুমণ্ডলের প্রবল শৈত্যের সংস্পর্শে এলে ঘনিভবনের ফলে জলীয়বাষ

ঘনীভবন (Condensation)

ঘনীভবন (Condensation) : যে প্রক্রিয়ায় বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্প জলকণায় পরিণত হয়, তাকে ঘনীভবন বলে । আর্দ্র বায়ুর উষ্ণতা শিশিরাঙ্কের নীচে নেমে গেলে বায়ুমণ্ডলে অবস্থিত জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলকণায় পরিণত হয় । এই জলকণাসমূহ বিভিন্ন

বায়ুর আর্দ্রতা (Humidity)

বায়ুর আর্দ্রতা (Humidity) : বায়ুতে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতিকে বা জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাসকে বায়ুর আর্দ্রতা বলে । বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকলে তাকে আর্দ্র বায়ু এবং কম থাকলে তাকে শুষ্ক বায়ু বলে । বায়ুর জলীয় বাষ্প ধারণ ক্ষমতা প্রধানত বায়ুর উষ

বায়ুর আর্দ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (Humidity and Precipitation)

বায়ুর আর্দ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (Humidity and Precipitation):

বায়ুপ্রবাহের পরিমাপ

বায়ুপ্রবাহের পরিমাপ : বায়ু কোনদিক থেকে প্রবাহিত হচ্ছে, তা বাতপতাকার (Windvane)-এর সাহায্যে সহজেই নির্ণয় করা যায় । অ্যানিমোমিটার (Anemometer) নামক যন্ত্রের সাহায্যে বায়ুপ্রবাহের গতিবেগ পরিমাপ করা হয় । বায়ুপ্রবাহের গতিবেগ মাপার একক হল নট (১ নট = ১.৮ ক