Submitted by avimanyu pramanik on Fri, 06/25/2021 - 21:36

পলল ব্যজনী (Alluvial Cone) : পার্বত্য অঞ্চল থেকে সমভূমিতে নেমে আসার সময়ে নদীর মাধ্যগতিতে গতিপথের ঢাল হঠাৎ কমে যাওয়ার কারণে নদীর গতিবেগ হ্রাস পায় । স্রোতের বেগ কমে যাওয়ায় পার্বত্য অঞ্চল থেকে বয়ে নিয়ে আসা নুড়ি, বালি, কাঁকর, কাদামাটি, শিলাচূর্ণ, পলিমাটি প্রভৃতি নদী আর বহন করতে পারে না । তখন সেগুলি বহন ও সঞ্চয়কার্যের ফলে নদী তার দুই তীরে সঞ্চিত করে এবং নানা রকম ভূমিরূপ গঠন করে । নদী তার বাহিত বোঝাকে সম্পূর্ণ বহন করতে না পেরে পর্বতের পাদদেশে পলি, বালি, কাঁকর, শিলাখণ্ড প্রভৃতি সঞ্চয় করে হাতপাখার মত একটি ত্রিকোণাকার শঙ্কু আকৃতির ভূমিরূপ গড়ে তোলে । একে পলল ব্যজনী বা পলল শঙ্কু বলে । এরপর নদী ওই পলল ব্যজনীর ওপর দিয়ে বিভিন্ন শাখায় ভাগ হয়ে প্রবাহিত হয় । ফলে ওই পলল ব্যজনী প্রায়-গোলাকার ভূমিরূপ দেখতে অনেকটা হাতপাখার মতো হয় । হিমালয়ের পাদদেশীয় অঞ্চলে ঘর্ঘরা, গণ্ডক প্রভৃতি নদীর গতিপথে এই ধরণের পলল ব্যজনী প্রায়শই দেখা যায় ।

****

Comments

Related Items

সমোষ্ণরেখা (Isotherm line)

সমোষ্ণরেখা (Isotherm line) : ভূপৃষ্ঠের সর্বত্র তাপমাত্রা সমান নয় । ভূপৃষ্ঠের যে সকল স্থানের গড় উষ্ণতা সমান বা একই রকম থাকে, মানচিত্রে সেই সকল স্থানগুলিকে পরস্পর যোগ করে যে কাল্পনিক রেখা টানা হয়, তাকে সমোষ্ণরেখা বলে । অর্থাৎ, যে কাল্পনিক রেখা দিয়ে বছরে

তাপমন্ডল (Temperature Belt of the World)

তাপমন্ডল (Temperature Belt of the World) : ভূপৃষ্ঠের সর্বত্র তাপমাত্রা সমান নয় । বছরের গড় তাপমাত্রা নিম্ন অক্ষাংশে সবচেয়ে বেশি, মাঝামাঝি অঞ্চলে মাঝামাঝি ধরনের এবং মেরু অঞ্চলে সবচেয়ে কম । অক্ষাংশ অনুসারে বায়ুর উষ্ণতার তারতম্যের ভিত্তিতে পৃথিবীকে প্রধান

বায়ুর উষ্ণতার তারতম্যের কারণ

বায়ুর উষ্ণতার তারতম্যের কারণ (Cause of Variation of Atmospheric Temperature) : ভূপৃষ্ঠের সর্বত্র বায়ুর উষ্ণতা সমান হয় না । নানা কারণে ভূপৃষ্ঠের বায়ুর উষ্ণতার তারতম্য ঘটে থাকে । যথা — (i) অক্ষাংশ, (ii) উচ্চতা, (iii) স্থলভাগ ও জলভাগের বন্টন, (iv) বায়ূ প্

বায়ুর উষ্ণতার পরিমাপ (Measurement of Heat)

বায়ুর উষ্ণতার পরিমাপ (Measurement of Heat) : কোনো স্থানের বায়ু কতটা উষ্ণ বা শীতল তা থার্মোমিটারের সাহায্যে পরিমাপ করা হয় । সাধারণ থার্মোমিটারে দিনের সর্বোচ্চ বা সর্বনিম্ন উষ্ণতা পরিমাপের ক্ষেত্রে নানা রকম অসুবিধা রয়েছে । সেজন্য বিশে

বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হওয়ার পদ্ধতি

বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হওয়ার পদ্ধতি (The Processes involving in Air Temperature) : সূর্য পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতার প্রধান উৎস । সূর্যরশ্মির তাপীয় ফলের মাধ্যমে বা ইনসোলেশনের মাধ্যমে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল কয়েকটি পর্যায়ক্রমিক পদ্ধতিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে । এই