Submitted by avimanyu pramanik on Thu, 06/24/2021 - 17:49

খরস্রোত (Rapids) : নদীর উচ্চগতি বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপগুলির মধ্যে অন্যতম হল খরস্রোত বা র‍্যাপিডস । পার্বত্য প্রবাহে নদীর গতিপথে কঠিন ও কোমল শিলা পরস্পর আড়াআড়িভাবে অবস্থান করলে কঠিন শিলা অপেক্ষা কোমল শিলা দ্রুত ক্ষয় হয় । এর ফলে ওই অংশে নদী কিছুদুর পর পর খাড়াভাবে সিঁড়ির মতো ধাপে ধাপে উপর থেকে নিচে নেমে আসে এবং অসম ঢালের সৃষ্টি করে । অসম ঢালের কারণে নদীর জলধারা যখন উঁচু থেকে ধাপে ধাপে নীচের দিকে প্রবল বেগে প্রবাহিত হয়, তখন তাকে খরস্রোত বা র‍্যাপিডস বলে । আফ্রিকার জাইরে নদীর লিভিংস্টোন জলপ্রপাত ৩২টি খরস্রোতে নীচে নেমে এসেছে । নীলনদের গতিপথে খার্টুন থেকে আসোয়ান পর্যন্ত ৬টি খরস্রোত দেখা যায় ।

অপেক্ষাকৃত ছোট বড়ো খরস্রোত পাশাপাশি অবস্থান করলে তাকে কাসকেড (Cascade) বলে । আয়ারল্যান্ডের টিয়ারস অফ দ্য গ্লেন কাসকেডের উদাহরণ ।

*****

Comments

Related Items

বায়ুর উষ্ণতা (Air Temperature)

বায়ুর উষ্ণতা (Air Temperature) : বায়ুর উষ্ণতা বলতে বায়ুর তাপমাত্রাকে বোঝায় । বায়ুর উষ্ণ এবং শীতল অবস্থার তুলনামূলক পরিমাপকেই বায়ুর উষ্ণতা বলা হয় । সূর্যকিরণ হল বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতার প্রধান উৎস । সূর্যের তাপ গ্রহণ বা তার প্রতিফলন ঘটিয়ে বায়ু উষ্ণ বা শ

ওজোন স্তর (Ozone Layer)

ওজোন স্তর (Ozone Layer) : বায়ুমণ্ডলের দ্বিতীয় স্তরে অর্থাৎ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরের মধ্যে ২০ - ৩৫ কিমি.

ম্যাগনেটোস্ফিয়ার (Magnetosphere)

ম্যাগনেটোস্ফিয়ার (Magnetosphere) : এক্সোস্ফিয়ার স্তরের ওপরে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল বেষ্টনকারী চৌম্বকক্ষেত্রটি হল ম্যাগনেটোস্ফিয়ার স্তর । এটি বায়ুমণ্ডলের সর্বশেষ স্তর । এক্সোস্ফিয়ার স্তরের ওপর ১,৫০০ কিমি.

এক্সোস্ফিয়ার (Exosphere)

এক্সোস্ফিয়ার (Exosphere) : এক্সোস্ফিয়ার হল বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে দূরবর্তী স্তর । এই স্তরটি আয়নোস্ফিয়ারের ওপরে প্রায় ৭০০ কিমি. উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত ।

আয়োনোস্ফিয়ার বা থার্মোস্ফিয়ার (Ionosphere or Thermosphere)

আয়োনোস্ফিয়ার (Ionosphere) : মেসোস্ফিয়ার স্তরের শেষ সীমা হল মেসোপজ । আর এই মেসোপজের ওপরে প্রায় ৫০০ কিমি.