Submitted by avimanyu pramanik on Tue, 07/27/2021 - 15:19

কেম (kames) : হিমবাহ ও জলধারার মিলিত সঞ্চয়কার্যের ফলে নানা রকম ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, কেম হল তাদের মধ্যে অন্যতম একটি  ভূমিরূপ । অনেক সময় পার্বত্য হিমবাহের শেষপ্রান্তে হিমবাহ যেখানে গলতে শুরু করে সেখানে কাদা, বালি, নুড়ি, পাথর, কাঁকর ইত্যাদি স্তূপাকারে সঞ্চিত হয়ে ত্রিকোণাকার বদ্বীপের মতো যে ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, তাকে কেম (Kame) বলে । এগুলি উপত্যকার পার্শ্বদেশের সঙ্গে মিশে ধাপ তৈরি করে । হিমবাহ উপত্যকার দু'পাশে স্তরে স্তরে অথবা একের ওপরে আরেকটি কেম গঠিত হলে, তাকে কেম সোপান বলে ।

ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের নরফেকের গ্লাভেন উপত্যকায় কেম ও কেম সোপান দেখা যায় ।

****

Comments

Related Items

এশিয়া মহাদেশের স্বাভাবিক উদ্ভিদ

যে সমস্ত গাছ কোনো স্থানের জলবায়ু ও মৃত্তিকাসহ স্বাভাবিক প্রাকৃতিক পরিবেশে মানুষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই জন্মায় ও বড়ো হয়, তাদের ওই স্থানের স্বাভাবিক উদ্ভিদ বলা হয় । কোনো স্থানের জলবায়ু অর্থাৎ বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার ঋতুগত তারতম্য ওই স্থানের স্বাভাবিক উদ্ভিদকে প্রভাবিত করে । প্

এশিয়া মহাদেশের হ্রদ

এশিয়া মহাদেশের হ্রদ : যে স্বাভাবিক জলরাশির চারদিক স্থলে ঘেরা তাকে হ্রদ বলে । হ্রদকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যায়, যথা— (১) পেয় জলের হ্রদ এবং (২) লবণাক্ত জলের হ্রদ ।

জোয়ার ভাটার ফলাফল ও প্রভাব (Impact of Tides)

সমুদ্র উপকূলে ও উপকুলের কাছে নদনদীতে জোয়ার ভাটার প্রভাব বেশি । জোয়ার ভাটার নিম্নলিখিত ফলাফল গুলি-জোয়ারের ফলে নদীর জল নির্মল থাকে । জোয়ার ভাটার ফলে নদী থেকে আবর্জনা সমুদ্রে গিয়ে পড়ে । ফলে ভাটার টানে নদী আবর্জনা ও পলিমুক্ত হয় । ...

বান ডাকা (Tidal Bores)

সাধারণত বর্ষাকালে অমাবস্যা ও পূর্ণিমার ভরা কোটালের সময় চন্দ্র ও সূর্যের মিলিত আকর্ষণে জোয়ারের জল নদীর খাড়িপথ ও মোহনা দিয়ে নদী প্রবাহের বিপরীত দিকে অগ্রসর হয় । ঢেঊ, জলোচ্ছ্বাসসহ নদীর এই সগর্জন বিপরীত প্রবাহকে বান বা বান ডাকা ...

জোয়ারভাটার গতিবিধি (Timings of Tides)

পৃথিবীর সর্বত্র দিনে একবার মুখ্য জোয়ার ও একবার গৌণ জোয়ার আসে । একটি মুখ্য জোয়ারের পর পরবর্তী মুখ্য জোয়ার ঠিক 24 ঘন্টা পরে আসে না, প্রায় 25 ঘন্টা (24 ঘন্টা 52 মিনিট) পরে আসে । চন্দ্র যদি স্থির থাকত, তাহলে পৃথিবীর প্রতিটি স্থান 24 ঘন্টা অন্তর একবার চন্দ্রের সামনে আসত ...