ভাঙার গান — কাজী নজরুল ইসলাম

Submitted by avimanyu pramanik on Wed, 06/30/2021 - 22:42

ভাঙার গান — কাজী নজরুল ইসলাম

**************************************

কারার ওই লৌহ-কপাট

ভেঙ্গে ফেল, কররে লোপাট

                    রক্ত-জমাট

শিকল-পূজোর পাষাণ-বেদী !

ওরে ও তরুণ ঈশান !

বাজা তোর প্রলয়-বিষাণ

               ধ্বংস-নিশান,

উড়ুক প্রাচী'র প্রাচীর ভেদি ।

গাজনের বাজনা বাজা !

কে মালিক ?  কে সে রাজা ?

              কে দেয় সাজা

মুক্ত স্বাধীন সত্যকে রে ?

হা হা হা পায় যে হাসি,

ভগবান পরবে ফাঁসি ?

                সর্বনাশী

     শিখায় এ হীন তথ্য কে রে ?

ওরে ও পাগল ভোলা

দে রে দে প্রলয়-দোলা

            গারদগুলা

   জোরসে-ধরে হেঁচকা টানে !

মার হাঁক হৈদরী হাঁক,

কাঁধে নে দুন্দুভি ঢাক,

ডাক ওরে ডাক

      মৃত্যুকে ডাক জীবন পানে !

নাচে ওই কাল-বোশেখি,

কাটাবি কাল বসে কি ?

           দেরে দেখি

    ভীম কারার ওই ভিত্তি নাড়ি !

লাথি মার, ভাঙরে তালা !

যত সব বন্দি-শালায়—

           আগুন জ্বালা,

আগুন জ্বালা, ফেল উপাড়ি !

*****

 

Comments

Related Items

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর - নোঙর

প্রশ্ন:  ১. 'নোঙর' কবিতায় 'বাণিজ্যতরী' বাঁধা পড়ে থাকার তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর

উত্তর:-

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর - দাম

প্রশ্ন : ১. 'দাম' গল্পে সুকুমার কোন উপলব্ধিতে পৌঁছেছে তা আলোচনা কর

উত্তর:-

 

*****

দাম — নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়

দাম — নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়

স্কুলে কী বিভীষিকাই যে ছিলেন ভদ্রলোক !

ইলিয়াস — লিও তলস্তয়

ইলিয়াস — লিও তলস্তয়

ব্যঞ্জন ধ্বনি ঘটিত পরিবর্তন

ব্যঞ্জনসংগতি বা সমীভবন :— কোনো শব্দের মধ্যে যদি দুটি ভিন্ন বা আলাদা ব্যঞ্জনধ্বনি পাশাপাশি থাকে, তবে উচ্চারণের সুবিধার জন্য দুটি ধ্বনিকে একই ধ্বনিতে পরিণত করা হয় । এইভাবে বিভিন্ন অসদৃশ ব্যঞ্জনধ্বনিকে সদৃশ ব্যঞ্জনধ্বনিতে পরিণত করার নাম সমীকরণ বা সমীভবন ।