BookPage

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর ভারতে গণ আন্দোলন

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে নানা গণসংগঠন অত্যাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে বিভিন্নমুখী আন্দোলন গড়ে তোলে । এই সব আন্দোলনগুলির মধ্যে ১৯৪৬-৪৭ খ্রিস্টাব্দের তেভাগা আন্দোলন অন্যতম । ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত Floud Commission -এর সুপারিশ অনুযায়ী ...
BookPage

নৌ-বিদ্রোহ, ১৯৪৬ (Revolt of the Royal Indian Navy, 1946)

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্তিম লগ্নে যেসব ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছিল ১৯৪৬ সালের নৌ-বিদ্রোহ তাদের মধ্যে অন্যতম । আজাদ হিন্দ বাহিনীর দৃষ্টান্ত ইতিমধ্যেই ব্রিটিশ সরকারের ভারতীয় সেনাদের মনে ব্রিটিশ বিরোধী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিল । তার ওপর ব্রিটিশ ...
BookPage

ওয়াভেল পরিকল্পনা (Wavell Plan)

লর্ড লিনলিথগোর পর ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর মাসে লর্ড আর্কিবল্ড ওয়াভেল ভারতের বড়লাট নিযুক্ত হন । ভারতীয়দের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত স্বাধীনতার দাবি সম্পর্কে সচেতন হয়ে লর্ড ওয়াভেল ভারতে রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসেন । ভারতীয়দের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের ক্ষেত্রে ...
BookPage

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর সমাপ্তি ও ভারতীয় রাজনীতি

১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি এবং আজাদ হিন্দ বাহিনীর অভিযান ভারতে রাজনৈতিক পালাবদলের নতুন পটভূমি তৈরি করে । মহাত্মা গান্ধি জাতীয় সরকার গঠনের আহ্বানে জানালে ব্রিটিশ সরকার তাতে গুরুত্ব না দেওয়ায় গান্ধির প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় । পক্ষান্তরে মহম্মদ আলি ...
BookPage

১৯৪২ এর ভারত ছাড়ো আন্দোলন (Quit India Movement)

ক্রিপস মিশনের ব্যর্থতার অব্যবহিত পরেই ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ভারতের বোঝাপড়া শেষ করে দিয়ে গান্ধিজি তীব্র ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের পরিকল্পনা করতে শুরু করেন । ভারতে ব্রিটিশের উপস্থিতি জাপানকে ভারত আক্রমণ করতে প্ররোচিত করবে । এই পরিস্থিতিতে গান্ধিজি ...
BookPage

ক্রিপসের দৌত্য (Cripps Mission)

১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ৭ ই মার্চ জাপান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যোগ দিলে যুদ্ধের গতি নতুন দিকে মোড় নেয় । ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে জার্মানি সেভিয়েট রাশিয়া আক্রমণ করে এবং জাপান মিত্র-শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে । ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের গতিপ্রকৃতি সম্পূর্ণভাবে মিত্রপক্ষের বিরুদ্ধে চলে যায় । ...
BookPage

বিপ্লবী আন্দোলন (Revolutionary movements)

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রথম দিকে ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে বাঘাযতীনের মৃত্যুর পর প্রায় এক দশক বাংলায় বিপ্লবী আন্দোলন স্তিমিত ছিল । বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন কঠোর নিরাপত্তা এবং দমনমূলক আইন প্রয়োগের ফলে বিপ্লবী কার্যকলাপ বন্ধ হয় । ভারত রক্ষা আইনে নিছক সন্দেহের বশবর্তী হয়ে ব্রিটিশ সরকার বহু ...
BookPage

কংগ্রেসে বামপন্থী চিন্তাধারার বিকাশ

১৯২০ খ্রিস্টাব্দে রাশিয়ার তাসখন্দে ‘ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠা হলেও ভারতে ঐক্যবদ্ধ কমিউনিস্ট আন্দোলন গড়ে ওঠেনি । ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে মে মাসের ১ তারিখে হিন্দুস্তান লেবার কিষান পার্টির বিশিষ্ঠ কমিউনিস্ট নেতা সিঙ্গারাভেলু চেট্টিয়ার ভারতে প্রথম মে দিবস পালন করেন । ...
BookPage

মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (Meerut Conspiracy Case)

ব্রিটিশ কমিউনিস্ট ফিলিপ স্প্রাট ভারতীয় কমিউনিস্টদের সহায়তায় ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা, বিক্ষোভ সংগঠন, ধর্মঘট ও যুব আন্দোলন পরিচালনা করে শ্রমিক আন্দোলনকে এক ব্যাপকতর রূপদান করেছিলেন । সংবাদপত্রগুলি যাতে মার্কসবাদী চিন্তাধারা প্রচারে উদ্যোগী হয় ...
BookPage

শ্রমিক আন্দোলন ও কৃষক আন্দোলন

১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে কানপুরে মোজাফফর আহমেদ 'ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি' (CPI) গঠন করেন । নলিনী গুপ্ত, অবনী মুখার্জি, পি.সি. যোশি, সৌকত ওসমানি, মকবুল হুদা প্রমুখ ব্যক্তিগণ এই কমিউনিস্ট দল গঠনে মোজাফফর আহমেদকে সাহায্য করেছিলেন । কমিউনিস্ট দল গঠনের পর ...
BookPage

প্রাদেশিক শাসন (Provincial Government)

১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের ভারত শাসন আইনে ভারতবর্ষকে ১১টি প্রদেশে বিভক্ত করা হয় । প্রত্যেক প্রদেশে একজন গভর্নর নিযুক্ত হয় । গভর্নর কেন্দ্রীয় শাসনে গভর্নর জেনারেল-এর অনুরূপ ক্ষমতা ও অধিকার ভোগ করবেন । আইন সভায় নির্বাচিত সদস্যের মধ্য থেকে গভর্নর কর্তৃক নিযুক্ত মন্ত্রীদের ...
Indian National Movement

ভারত শাসন আইন, ১৯৩৫

১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে লন্ডনে তৃতীয় গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় । কংগ্রেস যথারীতি ওই বৈঠকে যোগদান করেনি । অন্যান্য দল ও সম্প্রদায়ের অনেক কম সংখ্যক প্রতিনিধি এই বৈঠকে যোগদান করেছিলেন । তাঁরা ভবিষ্যৎ শাসনতন্ত্রে কয়েকটি প্রগতিশীল ব্যবস্থা গ্রহণ ...
BookPage

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তার কারণ (Causes of The Second World War)

১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ১লা সেপ্টেম্বর হিটলার পোল্যান্ড আক্রমণ করলে জার্মানির প্রতি তোষণ নীতি ত্যাগ করে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স জার্মানির বিরুদ্ধে ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ৩রা সেপ্টেম্বর যুদ্ধ ঘোষণা করলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় । বিশ্বের তাবৎ শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলি এক এক পক্ষ নিয়ে এই যুদ্ধে যোগদান ...
BookPage

জাতি সংঘের ব্যর্থতা (Failure of the League of Nations)

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক সমস্যার সমাধান এবং সেই সঙ্গে বিশ্বশান্তি রক্ষার জন্য ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে ২৮শে এপ্রিল মার্কিন রাষ্ট্রপতি উড্রো উইলসনের ঘোষিত 'চৌদ্দ দফা' দাবির ভিত্তিতে লিগ অফ নেশনস বা জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠা হয় । ১৯২০ খ্রিস্টাব্দের ১০ ই জানুয়ারি উড্রো উইলসনের ...
BookPage

পরস্পর বিরোধী সামরিক জোট গঠন

জার্মানি, ইটালি ও জাপানের ফ্যাসিবাদী আগ্রাসন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইউরোপে গণতন্ত্রের চরম বিপর্যয় ঘটে । জার্মানির কমিউনিস্ট বিরোধিতার সুযোগে জাপান ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দের ২৫শে নভেম্বর জার্মানির সঙ্গে 'কমিণ্টার্ন বিরোধী চুক্তি স্বাক্ষর করে' । ...
BookPage

গণতন্ত্রের বিপর্যয় (Collapse of Democracy)

১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে হিটলার চ্যান্সেলার হওয়ার পর থেকে ইউরোপে দ্রুত গতিতে গণতন্ত্রের বিপর্যয় ঘটতে থাকে । ঐতিহাসিক এরিখ হবসন এক পরিসংখ্যানে দেখিয়েছেন - ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে বিশ্বে ৩৫টির বেশি গণতান্ত্রিক সরকার ছিল । ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে তা কমে ১৭টিতে দাঁড়ায় । ...
BookPage

রুশ-জার্মান অনাক্রমণ চুক্তি (Non-Aggression Pact)

জার্মানির আসন্ন পোল্যান্ড আক্রমণের সময় হিটলারের ক্রমাগত আগ্রাসন নীতির বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে ব্রিটেন এবং ফ্রান্স তাদের তোষণ নীতি বর্জন করে ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে ৩০শে মার্চ পোল্যান্ডের সঙ্গে আত্মরক্ষামূলক চুক্তি স্বাক্ষর করে । ব্রিটেন ও ফ্রান্স চেয়েছিল রাশিয়াও তাদের সঙ্গে যোগ দিক । ...
BookPage

পোল্যান্ড আক্রমণ (Invasion of Poland)

পরপর শক্তিবৃদ্ধিতে উত্সাহিত হয়ে এবং ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের তোষণ নীতিকে হাতিয়ার করে হিটলার পোল্যান্ডের কাছ থেকে ডানজিগ দাবি করে বসে এবং সেখানে যাবার জন্য পোল্যান্ডের মধ্য দিয়ে একটি করিডোর -এর দাবি জানান । পোল্যান্ড এই দাবি অগ্রাহ্য করে । ...
BookPage

মিউনিখ চুক্তি (Munich Agreement)

জার্মানি একের পর এক আগ্রাসন নীতি অনুসরণ করে ও ইঙ্গ-ফরাসি তোষণনীতির সুযোগ নিয়ে প্রথমে অস্ট্রিয়া দখল করে । তারপর চেকোশ্লোভাকিয়ার কাছ থেকে সুদাতেনল্যান্ড দাবি করে । সুদাতেন ছিল জার্মান অধ্যুষিত অঞ্চল । জার্মানদের স্বার্থ রক্ষায় হিটলার সুদাতেনে যুদ্ধ প্রস্তুতি শুরু করে ...
BookPage

স্পেনে বিদ্রোহ (Spanish Civil War)

রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে স্পেনের রাজতন্ত্রী, প্রজাতন্ত্রী, সমাজতন্ত্রী প্রভৃতি দলগুলি রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারের জন্য স্পেনে যে গৃহ যুদ্ধ শুরু করে তা ‘স্পেনের গৃহযুদ্ধ’ নামে পরিচিত । স্পেনের গৃহযুদ্ধের অন্যতম নেতা ছিলেন জেনারেল ফ্রাঙ্কো । জেনারেল ফ্রাঙ্কো রুশ সাহায্যপুষ্ট স্পেনের ...