WBCS Examination Main Compulsory Question Paper - 2014
[ PAPER - I ]
Time allowed - 3 Hours Full Marks - 200
If the questions attempted are in excess of the prescribed number, only the questions attempted first up to the prescribed number shall be valued and the remaining ones ignored.
Paper 1 (CP)- 2014
১। নিজের পরিচয় বিবৃত না করে নিম্নলিখিত যে কোনো একটি বিষয়ে আপনার অভিমত কোনো বাংলা দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকের কাছে অনধিক ১৫০ শব্দের মধ্যে পত্রাকারে পেশ করুন । ৪০
(ক) কলকাতার উন্নতি করানো সম্ভব হবে না নাগরিক চেতনার স্বতঃস্ফুর্ত জাগরণ ঘটলে ।
(খ) আমাদের জাতীয় সংহতি ও ঐক্যের মূলে প্রধান বাধা সাম্প্রদায়িক ভেদবুদ্ধি ।
(গ) নির্বাচন কমিশন ও ভারতের জনমানসে তার প্রভাব ।
(ঘ) ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য নীতি ।
(নিজের নাম ঠিকানার পরিবর্তে X , Y , Z ইত্যাদি লিখুন)
২। রাজ্য সরকার যে বাসস্ট্যান্ড গুলি নির্মাণ করিয়েছেন ও রবীন্দ্রনাথের গানের কথা,মনীষীদের বাণী তাতে উৎকীর্ণ করেছে তার সপক্ষে সম্পাদকীয় প্রতিবেদনে লিখুন । (২০০ শব্দের মধ্যে লিখিতে হবে ) ৪০
অথবা
শিশু শ্রমরোধে নয়া নিষেধাজ্ঞার সপক্ষে সম্পাদকীয় প্রতিবেদন লিখুন । ৪০
৩। যে-কোনো একটি অংশের সারমর্ম (সরবরাহকৃত নির্দিষ্ট কাগজে ) লিখুন : ৪০
(ক) জগৎ ও জীবনের রহস্য পরমতম সত্য । আধ্যাত্মিক উন্নয়ন ও বিশ্বসৃষ্টির মূলীভূত শক্তির সন্ধানে মানুষ ঈশ্বরের শরণাপন্ন নয় । সৃষ্টির আদিম ক্ষণ থেকে মানুষ এক অতিলৌকিক শক্তিকে ঈশ্বরের মর্যাদায় উন্নীত করেছে । এই শক্তিকে বিশ্বনিয়ন্তা ও অবিনাশী শক্তি বলা হয়েছে । মানুষ মনে করে যে তিনিই বিশ্বস্রষ্টা । তিনি স্বয়ম্ভূ; তিনি বাক্য, মন, ও চক্ষুর অগোচর । মানুষ তাই ঈশ্বরকে খুঁজে বেড়ায় দেবালয়ে অর্থাৎ মন্দির, মসজিদ, গির্জা প্রভৃতি স্থানে । মানুষ ভাবে যে ঐ সমস্ত স্থানেই ঈশ্বরের বসবাস ।
কিন্তু বাস্তববুদ্ধি দিয়ে বিচার করলে দেখা যায় যে, জীবের মধ্যেই ঈশ্বরের বাস । ঈশ্বর কে পেতে মন্দির, মসজিদে যাবার প্রয়োজন নেই, জীবকে আন্তরিকতার সঙ্গে সেবা করলেই প্রকৃতভাবে ঈশ্বরের সেবা করা হয় । তথাপি কিছু মানুষ আছে যারা আনুষ্ঠানিক ধর্মাচরণ, পূজা মন্ত্র, আরাধনা ইত্যাদির মাধ্যমে ঈশ্বর লাভে তৎপর হয় । কিন্তু জীবকে অবজ্ঞা করে, মানুষের নারায়ণকে উপেক্ষা করে কখনোই ঈশ্বরের অনুসন্ধান সার্থক হতে পারে না । যুগে যুগে বহু মনীষী জীবসেবাকেই ঈশ্বর প্রাপ্তির চরম উপায় বলে নির্দেশ করে গিয়েছেন । আর্তের সেবা, অসহায়ের উদ্ধার, পীড়িতের শুশ্রূষা, সর্বোপরি জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে জীবের প্রতি প্রীতি প্রদর্শন করাই ঈশ্বর লাভের শ্রেষ্ঠ উপায় । জীবের মধ্য দিয়ে ঈশ্বরের প্রকাশ । অতএব জীবসেবাতেই ঈশ্বর পরিস্ফুট হয় ।
প্রতিটি মানুষের উচিত অপরকে ভালোবাসা, অপরকে সেবা করা । সেবাই হল ঈশ্বর সাধনার প্রধান পথ । যেদিন মানুষ জীবসেবাকেই সেবাকেই ঈশ্বর সেবার প্রধান পথ হিসাবে বেছে নেবে সেদিন মানুষ প্রকৃত ঈশ্বরের সন্ধান পাবে ।
(খ) বস্তুত মানুষের মধ্যে এই যে, দুই স্তরের ইচ্ছা আছে, ইহার মধ্যে একটা প্রয়োজনের ইচ্ছা, আর একটি অপ্রয়োজনের ইচ্ছা । একটা যাহা না হইলে কিছুতেই চলে না তাহার ইচ্ছা, এবং অন্যটা যাহা না হইলে অনায়াসেই চলে তাহার ইচ্ছা । আশ্চর্য এই যে, মানুষের মনে এই দ্বিতীয় ইচ্ছাটি এত প্রবল যে সে যখন জাগিয়া ওঠে তখন সে এই প্রথম ইচ্ছাটাকে একেবারে ছারখার করিয়া দেয় । তখন সে সুখ সুবিধা প্রয়োজনের কোনো দাবিতেই একেবারে কর্ণপাত করে না । তখন সে বলে, আমি সুখ চাহিনা, আমি আরও কিছুকে চাহি, সুখ আমার সুখ নহে, আরই আমার সুখ, তখন সে বলে ভূমৈব সুখম ।
সুখ বলিতে যাহা বুঝায় তাহার ভূমা নাই । ভূমা সুখ নহে আনন্দ । সুখের সঙ্গে আনন্দের প্রভেদ এই যে আনন্দের বিপরীতে দুঃখ নহে, সুখের বিপরীতে দুঃখ । শিব যেমন করিয়া হলাহল পান করিয়াছিলেন, আনন্দ তেমন করিয়া দুঃখকে অনায়াসেই গ্রহণ করে । এমনকি দুঃখের দ্বারাই আনন্দ আপনাকে সার্থক করে, আপনার পূর্ণতাকে উপলব্ধি করে । তাই দুঃখের তপস্যাই আনন্দের তপস্যা ।
৪। নিম্নোক্ত যে-কোনো একটি অনুচ্ছেদ পুঙ্খানুপুঙ্খ পাঠ করে তা থেকে গৃহীত প্রশ্নগুলির উত্তর লেখ ।
(ক) মানুষের আত্মবিশ্বাসই মানুষের উন্নতির একমাত্র পথ । সেই আত্মবিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে উদ্যম বা প্রচেষ্টার মাধ্যমে মানুষ নিজেকে উন্নতির পথে নিয়ে যেতে পারে । সততা, পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাসই মানুষকে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায় । ঠিক এভাবেই, এভারেস্ট জয়ের পথে এগিয়ে গিয়েছিলেন তেনজিং নোরগে ও এডমন্ড হিলারির মতো মানুষ । এভারেস্ট জয়ের পথে প্রভূত বাধা, বিপদ, ঝড়ঝঞ্ঝা, মৃত্যুভয়ের নিশ্চিত হাতছানির কোনো কিছুই তাদের দমিয়ে রাখতে পারেনি । ঐকান্তিক পরিশ্রম, সততা ও আত্মবিশ্বাসের দ্বারাই তারা এভারেস্টের মতো শৃঙ্গ জয় করেছিলেন ।
(১) কিভাবে মানুষ উন্নতির লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে ? ২০
(২) এভারেস্ট কারা জয় করেছিলেন এবং কিভাবে ? ১০
(৩) কোন তিনটি শক্তি এক্ষেত্রে অমোঘ হয়ে উঠেছিল ? ১০
(খ) যুদ্ধ শব্দটি আমাদের মনে মৃত্যু ও ধ্বংসের একটি দৃশ্য উপস্থিত করে । যুদ্ধ জাতি গুলির মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টি করে । এটি সভ্যতাকে হাজার বছর পেছনের দিকে পরিচালিত করে । এখন সারা বিশ্ব জুড়ে একটি ঠান্ডা লড়াই চলছে । যুদ্ধের বিপদ উপলব্ধি করে সমস্ত শান্তিপ্রিয় মানুষ গভীর ভাবে শান্তির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছেন । প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ অপরিমেয় মৃত্যু ও ধ্বংস নিয়ে এসেছিল । গত দশকে আমরা উপসাগরীয় যুদ্ধ এবং আমেরিকা আফগান যুদ্ধ দেখেছি । বিজ্ঞান মানুষকে ধ্বংসাত্মক অস্ত্রশস্ত্র দিয়েছে । একটি নতুন যুদ্ধ উল্লেখ করার মতো কিছুই অবশিষ্ট থাকে না । আধুনিক বিধ্বংসী অস্ত্র কুড়ি সেকেন্ডের মধ্যে বিশ্বকে ধ্বংস করতে পারে । এখন পরমাণু যুদ্ধের একটি আতঙ্ক বিশ্বের উপর ঝুলছে । বিশ্বে একটি অঘোষিত যুদ্ধ চলছে । UNO 1986 সালকে আন্তর্জাতিক শান্তিবর্ষ হিসাবে ঘোষণা করেছিল । শান্তির স্বপ্নকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে সমস্ত জাতির এগিয়ে আসা উচিত । ধ্বংস নয় প্রস্ফুটিত জীবনের স্বপ্নই আমাদের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত । সমৃদ্ধিশালী ও যুদ্ধ মুক্ত পৃথিবীর জন্যও শান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও একাত্মতার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসই কাঙ্ক্ষিত ।
(১) ‘যুদ্ধ’ শব্দটি আমাদের চোখের সামনে কী ছবি তুলে ধরে ? ১৫
(২) যুদ্ধ কীভাবে দেশ, জাতি ও সভ্যতার ক্ষতি করে ? ১০
(৩) প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফলে কী হয়েছিল ? ১০
(৪) শান্তি কীভাবে আসা সম্ভব ? ৫
৫। নিম্নোক্ত দুটি অনুচ্ছেদের যে-কোনো একটির বঙ্গানুবাদ করুন । ৪০
(ক) Man is curious by nature. He wants to know the unknown and to see the unseen. Books and pictures cannot fulfil his desire of knowldge. We read of mountains, seas and forests in our books but not idea of these objects of nature cannot be completed unless and until we see them ourselves. It is the spirit of adventure which has enabled us to solve many mysteries of the universe. Travelling makes most of the adventures fruitful. It increases and supplements our knowledge. The theoretical knowledge derived from books it rendered practical and real by travelling. Travelling is refreshing too.
(খ) Believe in God and behave according to His teaching, work according to His words - this can be called religion. Politics is based on ism. Religion can never be many but politics or ism can be many. So politics and religion are different from each other. Religion never divides people into many parts. Hinduism, Islamism, Jainism are not religion but these are only way to reach God. One can reach Delhi by plane, bus, train etc. Hinduism, Islamism, Jainism are just like the same. The destination of all is the same.
***
- 3677 views