লেন্সের সংজ্ঞা ও বিভিন্ন প্রকারের লেন্স

Submitted by arpita pramanik on Mon, 01/14/2013 - 21:32

লেন্সের সংজ্ঞা ও বিভিন্ন প্রকারের লেন্স

লেন্স (Lens) : দুটি নির্দিষ্ট জ্যামিতিক তল দ্বারা বেষ্টিত সমসত্ব এবং স্বচ্ছ প্রতিসারক মাধ্যমের অংশ বিশেষকে লেন্স বলে । তল দুটির উভয়েই গোলীয় (spherical) বা একটি গোলীয় এবং অপরটি সমতল হতে পারে । 

লেন্স দুই প্রকারের আছে ; যথা: [১] উত্তল লেন্স বা অভিসারী লেন্স  এবং  [২] অবতল লেন্স বা অপসারি লেন্স ।

[১] উত্তল লেন্স (Convex lens) বা অভিসারী লেন্স (Converging lens) : যে লেন্সের মধ্যস্থল মোটা এবং প্রান্তের দিকটা অপেক্ষাকৃত সরু তাকে উত্তল বা অভিসারী লেন্স বলে ।

[২] অবতল লেন্স (Concave lens) বা অপসারি লেন্স (Diverging lens) : যে লেন্সের মধ্যস্থল সরু এবং প্রান্তের দিকটা মোটা তাকে অবতল বা অপসারি লেন্স বলে ।

বিভিন্ন প্রকারের লেন্স (Different Types of Lenses) : লেন্সের দুই তলের আকারের ওপর নির্ভর করে উত্তল এবং অবতল লেন্সের প্রত্যেককে আবার তিনটি শ্রেণিতে (মোট ছয়টি) ভাগ করা যায় ।

[1] উভোত্তল (Double Convex) : যে লেন্সের দুটি তলই উত্তল তাকে উভোত্তল লেন্স বলে । এই লেন্সের দুই পৃষ্ঠের বক্রতা ব্যাসার্ধ সমান হলে তাকে সমোত্তল লেন্স (Equiconvex lens) বলে ।

[2] সমতলোত্তল (Plano Convex) : যে লেন্সের একটি তল সমতল এবং অপর তলটি উত্তল তাকে সমতলোত্তল লেন্স বলে ।

[3] অবতলোত্তল (Concavo Convex) : যে লেন্সের একটি তল অবতল এবং অপর তলটি উত্তল তাকে অবতলোত্তল লেন্স বলে । এই লেন্সের অবতল তলের বক্রতা ব্যাসার্ধ উত্তল তলের বক্রতা ব্যাসার্ধের চেয়ে বেশি হয় ।

[4] উভাবতল (Double Concave) : যে লেন্সের দুটি তলই অবতল হয় তাকে উভাবতল লেন্স বলে । এই লেন্সের দুই পৃষ্ঠের বক্রতা ব্যাসার্ধ সমান হলে তাকে সমাবতল লেন্স (Equiconcave lens) বলে ।

[5] সমতলাবতল (Plano Concave) : যে লেন্সের একটি তল সমতল এবং অপর তলটি অবতল হয় তাকে সমতলাবতল লেন্স বলে ।

[6] উত্তলাবতল (Convexo Concave) : যে লেন্সের একটি তল উত্তল এবং অপর তলটি অবতল তাকে উত্তলাবতল লেন্স বলে । এই লেন্সের উত্তল তলের বক্রতা ব্যাসার্ধের চেয়ে অবতল তলের বক্রতা ব্যাসার্ধ কম হয় ।

*****

Related Items

হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের ব্যবহার

রসায়নাগারে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড খুবই প্রয়োজনীয় বিকারক । ক্লোরিনের শিল্পোত্পাদনে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের ব্যবহার হয় । অ্যাকুয়া রিজিয়া (অম্লরাজ) প্রস্তুতিতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের ব্যবহার হয়, যা সোনা গলাতে দরকার হয় । রঞ্জন শিল্পে, চর্ম শিল্পে, লোহার ওপর দস্তা ...

হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের শনাক্তকরণ

সিলভার নাইট্রেট দ্রবণের সঙ্গে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের বিক্রিয়ায় অদ্রাব্য সিলভার ক্লোরাইডের থকথকে সাদা অধঃক্ষেপ পাওয়া যায় । এই অধঃক্ষেপ নাইট্রিক অ্যাসিড -তে অদ্রাব্য কিন্তু অতিরিক্ত অ্যামোনিয়াম হাইড্রোক্সিড -এ দ্রাব্য । হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের মধ্যে ক্লোরিন এবং হাইড্রোজেন ...

হাইড্রোজেন ক্লোরাইড গ্যাসের ধর্ম

হাইড্রোজেন ক্লোরাইড বর্ণহীন, শ্বাসরোধী, ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত, অম্লস্বাদ বিশিষ্ট গ্যাস । হাইড্রোজেন ক্লোরাইড গ্যাস বাতাসের চেয়ে প্রায় 1.3 গুণ ভারী, এর বাষ্পীয় ঘনত্ব 18.25। এই গ্যাস জলে অত্যন্ত দ্রাব্য, 0°C উষ্ণতায় এবং প্রমাণ চাপে 1 সিসি জলে 450 সিসি হাইড্রোজেন ক্লোরাইড ...

হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড প্রস্তুতি

HCl -এর জলীয় দ্রবণ অর্থাৎ, হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড প্রস্তুতি: গ্যাসীয় অবস্থায় HCl -কে হাইড্রোজেন ক্লোরাইড বলে । এই গ্যাসের জলীয় দ্রবণকে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড বলে । উত্পন্ন হাইড্রোজেন ক্লোরাইড গ্যাসকে জলে দ্রবীভূত করলে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড পাওয়া যায় । ...

হাইড্রোজেন ক্লোরাইড এবং হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড

1648 খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী গ্লোবার রক সল্ট ও গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিডের বিক্রিয়া ঘটিয়ে হাইড্রোজেন ক্লোরাইড গ্যাস তৈরি করেন । বিজ্ঞানী প্রিস্টলী 1772 খ্রিস্টাব্দে সমুদ্রের লবণ থেকে হাইড্রোজেন ক্লোরাইড প্রস্তুত করেন । তিনিএই অ্যাসিডের নাম দেন সামুদ্রিক অ্যাসিড ...