আলোর প্রতিসরণ এবং ফোকাসিং ক্রিয়া

Submitted by arpita pramanik on Mon, 01/14/2013 - 23:29

লেন্স কর্তৃক আলোর প্রতিসরণ এবং ফোকাসিং ক্রিয়া (Refraction of light by lens and focusing action)

একটি উত্তল কিংবা অবতল লেন্সকে কয়েকটি ছোটো ছোটো খন্ডিত প্রিজমের সমষ্টি বলে মনে করা যেতে পারে । উত্তল লেন্সের ক্ষেত্রে এই প্রিজমগুলির ভূমি লেন্সের কেন্দ্রের দিকে অভিমুখী এবং লেন্সের কেন্দ্র থেকে যে প্রিজমটি যত দূরবর্তী তার প্রতিসারক কোণ তত বেশি । আবার আলোকরশ্মি কাচের প্রিজমের ভিতর দিয়ে গেলে ভূমির দিকে বেঁকে যায় এবং যে প্রিজমের প্রতিসারক কোণ যত বেশি তার ক্ষেত্রে আপতিত রশ্মির চ্যুতিও তত বেশি । তাই উত্তল লেন্সের ভিতর দিয়ে প্রতিসৃত হলে সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ অভিসারী রশ্মিগুচ্ছে পরিণত হয় এবং একটি বিন্দুতে মিলিত হয় । একেই লেন্সের ফোকাসিং ক্রিয়া বলে । এজন্য উত্তল লেন্সকে অভিসারী লেন্স বলা হয় ।

এইভাবে অবতল লেন্সে প্রিজমগুলির ভূমি লেন্সের কেন্দ্র থেকে বিপরীত দিকে থাকে । এক্ষেত্রে রাশ্মিগুলির চ্যুতি বিপরীত হবে । ফলে সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ লেন্স কর্তৃক প্রতিসৃত হওয়ার পর মনে হবে যেন একটি বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে অর্থাৎ, সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ অপসারী রশ্মিগুচ্ছে পরিণত হবে । এজন্য অবতল লেন্সকে অপসারী লেন্স বলা হয় ।

দ্রষ্টব্য : লেন্সের চারপাশের মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক লেন্সের উপাদানের প্রতিসরাঙ্ক অপেক্ষা বেশি হলে, উত্তল ও অবতল লেন্সের ওপরে বর্ণিত ক্রিয়া উল্টে যাবে— অর্থাৎ উত্তল লেন্স অপসারী এবং অবতল লেন্স অভিসারী হবে । সুতরাং উত্তল লেন্স মাত্রই অভিসারী আর অবতল লেন্স মাত্রই অপসারী হবে— একথা ঠিক নয় । লেন্সের অপসারী ও অভিসারী হওয়ার ক্ষমতা লেন্সের পারিপার্শ্বিক মাধ্যমের ওপর নির্ভর করে ।

*****

Related Items

তড়িৎ-বিশ্লেষণের প্রয়োগ

তীব্র তড়িৎ-ধনাত্মক ধাতুগুলি যেমন - সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম প্রভৃতি ধাতুগুলিকে তাদের আকরিক থেকে নিষ্কাশিত করা হয় । আবার কতকগুলি ধাতু যেমন - কপার, জিঙ্ক, অ্যালুমিনিয়াম প্রভৃতির তড়িৎ-বিশ্লেষণ পদ্ধতি প্রয়োগ করে বিশোধন করা হয় । ...

কপার সালফেটের জলীয় দ্রবণের তড়িৎ বিশ্লেষণ

কপার সালফেট জলে আয়নিত হয়ে কপার (+) এবং সালফেট (-) আয়ন উত্পন্ন করে । সুতরাং, জলীয় দ্রবণে চার প্রকার আয়ন থাকে, দুধরনের ক্যাটায়ান H (+) ও Cu (+) এবং দু ধরনের অ্যানায়ন OH (-) ও সালফেট (-) ।

জলের তড়িৎ-বিশ্লেষণ

বিশুদ্ধ জল তড়িতের কুপরিবাহী, কিন্তু সামান্য অ্যাসিড কিংবা ক্ষার জলে মেশালে ওই জল তড়িতের সুপরিবাহী হয় । এর কারণ হল বিশুদ্ধ জলে খুব কম সংখ্যক অণু H+ এবং OH- আয়নে বিশ্লেষিত অবস্থায় থাকে । ওই জলে সামান্য অ্যাসিড কিংবা ক্ষার যোগ করলে এদের আয়ন ...

তড়িৎ-বিশ্লেষ্য ও তড়িৎ-অবিশ্লেষ্য পদার্থ

যেসব পদার্থ জলে দ্রবীভূত বা গলিত অবস্থায় আয়নে বিশ্লিষ্ট হয়ে তড়িৎ পরিবহন করে এবং তড়িৎ পরিবহনের ফলে নিজেরা রাসায়নিকভাবে বিশ্লিষ্ট হয়ে নতুন ধর্মবিশিষ্ট পদার্থ উত্পন্ন হয়, সেই সব পদার্থকে তড়িৎ-বিশ্লেষ্য পদার্থ বলে ।

তড়িৎ-পরিবাহী এবং তড়িৎ-অপরিবাহী

যে সব পদার্থের মধ্য দিয়ে তড়িৎ-প্রবাহিত করলে তা তড়িৎ-পরিবহনে সক্ষম হয়, তাদের তড়িৎ-পরিবাহী পদার্থ বলে । যেমন; সোনা, রুপো, তামা, প্রভৃতি ধাতু, গ্রাফাইট, সোডিয়াম ক্লোরাইড দ্রবণ ইত্যাদি । তড়িৎ-পরিবহনে সক্ষম এমন পদার্থগুলিকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় --