প্রেসার কুকার (Pressure Cooker)

Submitted by arpita pramanik on Fri, 09/04/2020 - 11:24

প্রেসার কুকার (Pressure Cooker)

কর্মপন্থা : প্রেসার কুকার যন্ত্রে জলীয় বাষ্পের চাপ বাড়িয়ে 100°C এর বেশি উষ্ণতায় জলকে ফোটানো হয় । ফলে বেশি উষ্ণতায় খাদ্যদ্রব্য অল্পসময়ের মধ্যে সুসিদ্ধ হয় ।

 

Pressure Coockerযন্ত্রের বর্ণনা :

অ্যালুমিনিয়াম বা স্টিলের সংকর ধাতু দিয়ে তৈরি শক্ত একটি পাত্র প্রেসার কুকার তৈরীর জন্য ব্যবহার করা হয় যাতে 2 বায়ুমন্ডল চাপের  বেশি চাপ সহ্য করতে পারে । পাত্রের মুখে একটি ঢাকনা থাকে । ঢাকনাটি একটি রবার প্যাডের (gasket) সাহায্যে পাত্রের মুখে বায়ু নিরোধক ভাবে লাগানো হয় । ঢাকনাটির মাঝে একটি ছিদ্রের মুখে একটি পিন ভালভ লাগানো থাকে । এই ভালভের মুখটি বন্ধ করার জন্য এমন একটি ওজন চাপানো থাকে যেন প্রেসার কুকার এর মধ্যে জলীয় বাষ্পের চাপ প্রায় দুই বায়ুমন্ডল চাপ এর সমান হয় । এছাড়া ঢাকনাটি এক পাশে একটি সেফটি ভালভ লাগানো থাকে যা অস্বাভাবিক চাপ সৃষ্টি হলে সেফটি ভালভ খুলে যায় এবং পাত্রের বাষ্প বের হয়ে যায় । উত্তপ্ত অবস্থায় যন্ত্রটি কে ধরার জন্য তাপের কুপরিবাহী একটি হাতল থাকে ।

কার্যপ্রণালী:

পাত্রের মধ্যে জল রেখে ঢাকনাটি একটি রবার প্যাডের (gasket)  সাহায্যে বায়ু নিরোধক ভাবে লাগানো হয় । এবার পাত্রটি উত্তপ্ত করলে উৎপন্ন বাষ্প পাত্রের মধ্যে জমা হতে থাকে । ফলে পাত্রের ভিতর বাষ্পের  চাপ ক্রমশ বাড়তে থাকে । চাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাত্রের ভিতর জলের স্ফুটনাঙ্ক ও  ক্রমশ বাড়তে থাকে । বেশি উষ্ণতায় কোন বস্তু খুব অল্পসময়ের সিদ্ধ হয় । পাত্রের মধ্যে বাষ্পের চাপ একটি নির্দিষ্ট সীমা ছাড়িয়ে গেলে বাষ্পের অতিরিক্ত চাপ পিন ভালভটিকে ঠেলে  উপরে তোলে এবং কিছুটা বাষ্প বের হয়ে যায় । ফলে প্রেসার কুকার এর ভিতরে বাষ্প চাপ আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসে । সাধারণত কুকার এর মধ্যে 2 বায়ুমন্ডল চাপ এর সমান চাপ রাখা হয় এই চাপে জলের স্ফুটনাঙ্ক প্রায় 120°C হয় । হঠাৎ বাষ্পের চাপ খুব বেশি হয়ে গেলে সেফটি ভালভ খুলে যায় এবং পাত্রের বাষ্প বের হয়ে যায় ফলে দুর্ঘটনা ঘটার ভয় থাকে না ।

*****

Comments

Related Items

কার্য ও কার্যের পরিমাপ

বস্তুর উপর প্রযুক্ত বল এবং ওই বলের প্রয়োগ বিন্দু স্মরণ এর গুণফল দ্বারা কার্যের পরিমাপ করা হয় । কোন বস্তুর উপর একক বল প্রয়োগ করলে যদি বলের প্রয়োগ বিন্দুর স্মরণ বলের অভিমুখে এক একক হয় তাহলে যে কার্য করা হয় তাকে একক কার্য বলে । কার্যের একক, কার্যের ব্যবহারিক একক ...

দ্রবণের প্রকারভেদ

ভৌত অবস্থা অনুযায়ী দ্রবণকে কয়েকটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়- কঠিনে কঠিনের দ্রবণ, কঠিনে তরলের দ্রবণ, তরলে কঠিনের দ্রবণ, তরলে তরলের দ্রবণ, তরলে গ্যাসের দ্রবণ, গ্যাসে গ্যাসের দ্রবন ...

দ্রবণের বৈশিষ্ট্য

দ্রবনের প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলি হল -.দ্রবণে কোন নতুন পদার্থের সৃষ্টি হয় না অর্থাৎ দ্রবণে দ্রাবক (Solvent) ও দ্রাবের (Solute) নিজস্ব ধর্ম বজায় থাকে। দ্রবণের প্রতিটি অংশের উপাদান গঠন এবং ধর্ম একই অর্থাৎ দ্রবণ সবসময় সমসত্ব হবে। দ্রবণের মধ্যে দ্রাবের (Solute) কনাগুলিকে খালি চোখে বা খুব শক্তিশালী অণুবীক্ষণ ..

প্রশমন ক্রিয়া (Neutralisation)

অ্যাসিড ও ক্ষারের মধ্যে যে বিক্রিয়ার ফলে অ্যাসিড ও ক্ষারের ধর্ম সম্পূর্ণভাবে লোপ পেয়ে লবণ ও জল উৎপন্ন হয় সেই বিক্রিয়াকে প্রশমন বিক্রিয়া বলে ।যেমন তুল্যাঙ্ক পরিমাণ ক্ষার NaOH এর সঙ্গে তুল্যাঙ্ক পরিমাণ অ্যাসিড HCl এর বিক্রিয়ায় NaCl লবণ ও জল উৎপন্ন হয় ...

লবণ ও লবণের ধর্ম

অ্যাসিডের প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেন পরমাণু ধাতু বা অপর কোন ধাতুধর্মী মূলক দ্বারা আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিস্থাপিত হয়ে যে যৌগ উৎপন্ন হয় তাকে লবণ বলে। যেমন- সোডিয়াম ক্লোরাইড, ম্যাগনেসিয়াম সালফেট, জিংক সালফেট, অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড ইত্যাদি।