চাপ ও ঘাত (Pressure and Thrust)

Submitted by arpita pramanik on Sat, 08/08/2020 - 09:32

চাপ (pressure)

কোনো তলের একক ক্ষেত্রফলের উপর লম্বভাবে প্রযুক্ত বল কে চাপ বলে ।

ধরা যাক কোনো তলের ক্ষেত্রফল A এবং ওই তলের উপর প্রযুক্ত বল F হলে, চাপ  হবে [tex]P = \frac{F}{A}[/tex] ।

প্রযুক্ত বল অপরিবর্তিত থাকলে [tex]P \propto \frac{1}{A}[/tex] হবে অর্থাৎ ক্ষেত্রফল যত কম হবে চাপ তত বেশি হবে ।

আমরা জানি বলের মাত্রা=[tex]{ML{T^{ - 2}}}[/tex] এবং ক্ষেত্রফলের মাত্রা=[tex]{L^2}[/tex]

অতএব, চাপের মাত্রা= [tex]\frac{{ML{T^{ - 2}}}}{{{L^2}}}[/tex] = [tex]M{L^{ - 1}}{T^{ - 2}}[/tex]

 

ঘাত (Thrust)

কোন প্রবাহী তার সংলগ্ন কোন তলের উপর যে বল প্রয়োগ করে তাকে প্রবাহীর ঘাত বলে ।

ধরা যাক, তরলের মধ্যে কোন বিন্দুর চারিদিকে A ক্ষেত্রফলের উপর তরল লম্ব ভাবে F বল প্রয়োগ করে ।

অতএব, ওই বিন্দুতে তরলের চাপ,[tex]P = \frac{F}{A}[/tex] বা [tex]F = PA[/tex]

সুতরাং,  তরলের ঘাত= তরলের X ক্ষেত্রফল

*****

 

 

 

 

 

Comments

Related Items

প্রেসার কুকার (Pressure Cooker)

প্রেসার কুকার যন্ত্রে জলীয় বাষ্পের চাপ বাড়িয়ে 100°C এর বেশি উষ্ণতায় জলকে ফোটানো হয় । ফলে বেশি উষ্ণতায় খাদ্যদ্রব্য অল্পসময়ের মধ্যে সুসিদ্ধ হয় । অ্যালুমিনিয়াম বা স্টিলের সংকর ধাতু দিয়ে তৈরি শক্ত একটি পাত্র প্রেসার কুকার তৈরীর জন্য ব্যবহার করা হয় যাতে 2 বায়ুমন্ডল চাপের

অ্যাসিড, ক্ষারক ও লবণ

সালফিউরিক অ্যাসিড (H2SO4), নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO3), হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCL), সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড (NaOH), পটাশিয়াম হাইড্রক্সাইড (KOH), ম্যাগনেসিয়াম সালফেট (MgSO4), সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl)

দ্রবণ (Solution)

যে পদার্থ দ্রবীভূত হয় তাকে দ্রাব বলে এবং যার মধ্যে দ্রাব দ্রবীভূত হয় তাকে বলা হয় দ্রাবক । দ্রাব এবং দ্রাবক এর সমসত্ব মিশ্রণ হল দ্রবণ । দ্রবণের দুটি অংশে থাকে --- দ্রাব (Solute) এবং দ্রাবক (Solvent) । অর্থাৎ দ্রবণ = দ্রাব + দ্রাবক

শব্দ বিস্তারের জন্য মাধ্যমের প্রয়োজন হয়

শব্দের উৎস থেকে উৎপন্ন শব্দ বায়ু মাধ্যমের মধ্য দিয়ে আমাদের কানে এসে পৌঁছলে মস্তিষ্কে এক রকম অনুভূতি সৃষ্টি করে । তখন আমরা শব্দ শুনতে পাই । বায়ু মাধ্যম না থাকলে শব্দ আমাদের কানে পৌঁছতে পারত না । ফলে আমরা শব্দ শুনতে পেতাম না । কঠিন মাধ্যমের মধ্য দিয়ে শব্দের বিস্তার ...

পদার্থের অবস্থার পরিবর্তন

পদার্থ কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় এই তিন অবস্থায় থাকতে পারে । তাপ প্রয়োগ করলে পদার্থের অবস্থার পরিবর্তন হয় । তাপ প্রয়োগে কঠিন পদার্থ প্রথমে তরল এবং পরে গ্যাসীয় অবস্থায় পরিবর্তিত হয় আবার তাপ নিষ্কাশনে গ্যাসীয় পদার্থ প্রথমে তরল এবং পরে কঠিন অবস্থায় রূপান্তরিত হয় ।