ভঙ্গিল পর্বতের উৎপত্তির মহীখাত তত্ত্ব ব্যাখ্যা কর

Submitted by avimanyu pramanik on Sat, 12/25/2021 - 20:46

প্রশ্ন:- ভঙ্গিল পর্বতের (Fold Mountain) উৎপত্তির মহীখাত তত্ত্ব বা জিওসিনক্লাইন থিয়োরি (Geosyncline Theory) ব্যাখ্যা করো ।

উত্তর:  ভঙ্গিল পর্বতের উৎপত্তির কারণ সম্পর্কে নানান মতবাদ প্রচলিত আছে, এদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্বগুলির মধ্যে একটি হল মহীখাত তত্ত্ব বা জিওসিনক্লাইন থিয়োরি :—

মহীখাত তত্ত্ব (Geosyncline Theory) : ভূ-তাত্ত্বিকদের মতে, এখন যেসব জায়গায় ভঙ্গিল পর্বতগুলো অবস্থান করছে, অতি প্রাচীন কালে সেখানে ছিল বিস্তীর্ণ অবনত অঞ্চল- ভুতাত্ত্বিক ভাষায় যার নাম মহীখাত বা অগভীর সমুদ্র । পরবর্তীকালে যুগ যুগ ধরে পলি পড়ে এই অগভীর সমুদ্র প্রায় ভরাট হয়ে গিয়েছিল । ক্রমাগত পলি জমার ফলে নীচের পলিস্তর পাললিক শিলায় পরিণত হয় । এক সময় পলিস্তর বৃদ্ধির ফলে নিম্নমুখী চাপের পরিমাপও বেড়ে যায় । এর পর প্রবল পার্শ্বচাপের ফলে পাললিক শিলাস্তরে ভাঁজ পড়তে থাকে । পরবর্তীকালে এইসব ভাঁজগুলো দৃঢ়ভাবে সংঘবদ্ধ ও উঁচু হয়ে ভঙ্গিল পর্বতের [Fold Mountain] সৃষ্টি করেছে ।

*****

Comments

Related Items

বায়ুপ্রবাহের কাজ (Work of Wind)

বায়ুপ্রবাহের কাজ (Work of Wind) : বায়ুপ্রবাহের প্রধান কাজ ক্ষয়সাধন করা । এছাড়া অপসারণ বা বহন এবং সঞ্চয় বা অবক্ষেপণের মাধ্যমেও বায়ুপ্রবাহ কাজ করে থাকে । বায়ুপ্রবাহ সহজেই বালুকণাকে উপরে তুলে উড়িয়ে নিয়ে যায় । ভূমি বা মাটির কাছাকাছি বায়ু প্রবাহের গতিবেগ

কেটল (Kettle)

কেটল (Kettle) : বহিঃধৌত সমভূমিতে হিমবাহ ও হিমবাহ গলিত জলধারার মিলিত সঞ্চয়কার্যের ফলে নানা রকম ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, কেটল তার মধ্যে অন্যতম একটি ভূমিরূপের নিদর্শন । কোনো কোনো সময় বহিঃধৌত সমভূমিতে বিরাট বিরাট বরফের চাঁই নানা ধরনের অবক্ষেপের মধ্যে চাপা পড়ে

এসকার (Esker)

এসকার (Esker) : হিমবাহ ও  জলধারার মিলিত সঞ্চয়কার্যের ফলে নানা রকম ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, এসকার হল তার মধ্যে অন্যতম একটি ভূমিরূপের নিদর্শন । উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলের পাদদেশে হিমবাহের বহন করে আনা বিভিন্ন আকৃতির প্রস্তরখণ্ড, নুড়ি, কাদা, বালি, কাঁকর প্রভৃতি হিম

কেম (kames)

কেম (kames) : হিমবাহ ও জলধারার মিলিত সঞ্চয়কার্যের ফলে নানা রকম ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, কেম হল তাদের মধ্যে অন্যতম একটি  ভূমিরূপ । অনেক সময় পার্বত্য হিমবাহের শেষপ্রান্তে হিমবাহ যেখানে গলতে শুরু করে সেখানে কাদা, বালি, নুড়ি, পাথর, কাঁকর ইত্যা

ড্রামলিন (Drumlin)

ড্রামলিন (Drumlin) : হিমবাহ ও হিমবাহগলিত জলধারার মিলিত সঞ্চয়কার্যের ফলে হিমবাহের পাদদেশে বহিঃধৌত সমভূমিতে বা তার কাছে যেসব ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, ড্রামলিন হল তার মধ্যে অন্যতম একটি ভূমিরূপের নিদর্শন । হিমবাহ গলে গেলে তার নীচে হিমবাহের সঙ্গে বয়ে আনা বালি ও