ভঙ্গিল পর্বতের (Fold Mountain) বৈশিষ্ট্য কী কী ?

Submitted by avimanyu pramanik on Sat, 12/25/2021 - 20:55

প্রশ্ন:- ভঙ্গিল পর্বতের [Fold Mountain] বৈশিষ্ট্য কী কী ?

উত্তর:  ভঙ্গিল পর্বতের বৈশিষ্ট্যগুলি হল—

১) বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে কোমল পাললিক শিলায় ঢেউয়ের মতো ভাঁজ পড়ে ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি হয়;

২) ভঙ্গিল পর্বতগুলি সাধারণত পাললিক শিলায় গঠিত হলেও অনেক সময় ভঙ্গিল পর্বতে আগ্নেয় এবং রূপান্তরিত শিলার সহাবস্থান পরিলক্ষিত হয় (কারণ,  ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টির সময় শিলাস্তরে ফাটল সৃষ্টি হলে, সেই ফাটল দিয়ে ভূগর্ভের ম্যাগমা লাভারূপে ভূপৃষ্ঠে বেরিয়ে আসে যা ধীরে ধীরে জমাট বেঁধে আগ্নেয় শিলার সৃষ্টি করে । এর পর কালক্রমে প্রচন্ড চাপ ও তাপের ফলে আগ্নেয় শিলা ও পাললিক শিলা রূপান্তরিত শিলায় পরিণত হয় );

৩) ভঙ্গিল পর্বতের উপরের দিকের ভাঁজকে ঊর্ধ্বভঙ্গ [Anticline] ও নীচের দিকের ভাঁজকে অধোভঙ্গ [Syncline] বলে;

৪) ভঙ্গিল পর্বতের ভাঁজগুলো বিভিন্ন রকমের হতে পারে, যেমন- প্রতিসম ভাঁজ, অপ্রতিসম ভাঁজ, একটি ভাঁজের উপর অন্য একটি ভাঁজের [Overfold] এসে পড়া প্রভৃতি;

৫) প্রবল ভূ-আলোড়নের জন্য ভঙ্গিল পর্বতে ভাঁজ ছাড়াও অনেক চ্যুতি বা ফল্ট (Fault) দেখা যায়;

৬) প্রধানত সমুদ্র গর্ভ থেকে সৃষ্টি হয়েছিল বলে ভঙ্গিল পর্বতে জীবাশ্ম (Fossil) দেখা যায়;

৭) ভঙ্গিল পর্বতগুলো সাধারণত প্রস্থের তুলনায় দৈর্ঘে অনেক বেশি বিস্তৃত হয়;

৮) ভঙ্গিল পর্বতগুলো সাধারণত বহু শৃঙ্গবিশিষ্ট ও ছুঁচালো হয়;

৯) ভঙ্গিল পর্বতের গঠন স্থায়ী নয়;

১০) উৎপত্তিকালের তুলনামূলক বিচারে ভঙ্গিল পর্বতকে নবীন (যেমন- হিমালয়) ও প্রাচীন (যেমন-আরাবল্লী) এই দুই ভাগে ভাগ করা যায় ।

*****

Comments

Related Items

অ্যাপোজি ও পেরিজি (Apogee and Perigee)

অ্যাপোজি ও পেরিজি (Apogee and Perigee) : চাঁদ ও পৃথিবীর মধ্যে গড় দূরত্ব হল ৩,৮৪,৪০০ কিমি.

সিজিগি (Syzygy)

সিজিগি (Syzygy) : জ্যোতির্বিজ্ঞান অনুসারে সূর্য, চাঁদ ও পৃথিবীর একই সরলরৈখিক অবস্থানকে সিজিগি (Syzygy) বলে । সিজিগি আবার সংযোগ অবস্থান ও প্রতিযোগ অবস্থান — এই দু-প্রকারের হয় ।

জোয়ার ভাটার ফলাফল (Effect of Tides)

জোয়ার ভাটার ফলাফল (Effect of Tides) : বিভিন্ন ক্ষেত্রে জোয়ার ভাটার যথেষ্ট প্রভাব লক্ষ্য করা যায় । সমুদ্র উপকূলে ও উপকুলের কাছে নদনদীতে জোয়ার ভাটার প্রভাব বেশি । জোয়ার ভাটার নিম্নলিখিত ফলাফল গুলি হল —

ভরা জোয়ারের তুলনায় মরা জোয়ারে জলস্ফীতি অপেক্ষাকৃত কম হয়

ভরা জোয়ারের তুলনায় মরা জোয়ারে জলস্ফীতি অপেক্ষাকৃত কম হয়

ভরা জোয়ার ও মরা জোয়ার (Spring Tides and Neap Tides)

ভরা কোটাল বা ভরা জোয়ার (Spring Tides) : পৃথিবীর সব জায়গায় সব দিন জোয়ারের পরিমাণ একই থাকে না । তিথি অনুসারে জোয়ারভাটা বাড়ে ও কমে । পৃথিবীর ওপর সূর্যের আকর্ষণ শক্তি চাঁদের আকর্ষণ শক্তির প্রায় অর্ধেক হলেও ভূপৃষ্ঠে জোয়ার ভাটা সৃষ্টিতে সূর্যের প্রভাবও বিশ