বিশ্ব উষ্ণায়নে গ্রিনহাউস গ্যাসের ভূমিকা

Submitted by avimanyu pramanik on Sat, 08/07/2021 - 17:17

বিশ্ব উষ্ণায়নে গ্রিনহাউস গ্যাসের ভূমিকা (Role of Green House Gas) : কার্বন ডাই-অক্সাইড, ক্লোরোফ্লুরো কার্বন, নাইট্রাস অক্সাইড, মিথেন, কার্বন মনোক্সাইড, ওজোন, জলীয় বাষ্প প্রভৃতি গ্রিনহাউস গ্যাসগুলির দ্বারা বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বৃদ্ধিই হল বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রধান কারণ । এই গ্যাসগুলি বায়ুমণ্ডলের নীচের স্তরে দূষিত গ্যাসের চাঁদোয়া সৃষ্টি করে । সৌরশক্তি বৃহৎ তরঙ্গরূপে মহাশূন্যে ফেরার সময় এই দূষিত গ্যাসীয় স্তরে শোষিত ও বাধাপ্রাপ্ত হয়ে তার কিছু অংশ পুনরায় পৃথিবীপৃষ্ঠে ফিরে এসে নিম্ন বায়ুমন্ডলকে উত্তপ্ত করে । এর ফলে পৃথিবীর স্বাভাবিক উষ্ণতা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায় ও বিশ্ব উষ্ণায়ন ঘটে । গ্রিনহাউস গ্যাসগুলির মধ্যে কার্বন ডাই-অক্সাইড বিশ্ব উষ্ণায়নে প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করলেও অন্যান্য গ্যাসগুলির ভূমিকাও যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য । যেমন—

(i) কার্বন ডাই-অক্সাইড : এর উৎস হল জীবাশ্ম জ্বালানির দহন ও অরণ্য ধ্বংস । পৃথিবীর গড় উষ্ণতা বৃদ্ধিতে এই গ্যাস ৪৯% অংশগ্রহণ করে থাকে ।

(ii) মিথেন : এর উৎস হল পচনশীল জৈব আবর্জনা, মল-মূত্র, বদ্ধ জলাভূমি প্রভৃতি । পৃথিবীর গড় উষ্ণতা বৃদ্ধিতে এই গ্যাস ১৮% অংশগ্রহণ করে থাকে ।

(iii) ক্লোরোফ্লুরো কার্বন : এর উৎস হল রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার, হিমায়ন যন্ত্র, প্রসাধন সামগ্রী প্রভৃতিতে ব্যবহৃত CFC গ্যাস । পৃথিবীর গড় উষ্ণতা বৃদ্ধিতে এই গ্যাস ১৪% অংশগ্রহণ করে থাকে ।

(iv) জলীয় বাষ্প : এর উৎস হল বাষ্পীবন ও বাষ্পীমোচন । পৃথিবীর গড় উষ্ণতা বৃদ্ধিতে এই গ্যাস ১৩% অংশগ্রহণ করে থাকে ।

(iv) নাইট্রাস অক্সাইড : এর উৎস হল কৃষিজমিতে নাইট্রোজেন সারের প্রয়োগ ও দাবানল । পৃথিবীর গড় উষ্ণতা বৃদ্ধিতে এই গ্যাস ৬% অংশগ্রহণ করে থাকে ।

****

Comments

Related Items

নর্মদা নদী (The Narmada)

নর্মদা নদী (The Narmada) : মহাকাল পর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ অমরকন্টক থেকে উৎপন্ন হয়ে নর্মদা নদী উত্তর-পশ্চিমে বেঁকে মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্র হয়ে গুজরাটের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বিন্ধ্য ও সাতপুরার সংকীর্ণ গিরিখাত অতিক্রম করে

ব্রহ্মপুত্র নদ (The Brahmaputra)

ব্রহ্মপুত্র নদ : তিব্বতের মানস সরোবরের নিকটবর্তী চেমায়ুং-দুং হিমবাহ থেকে সাংপো নামে উৎপন্ন হয়ে নামচাবারওয়া শৃঙ্গের কাছে চুলের কাটার মত বেঁকে অরুণাচল প্রদেশের মধ্য দিয়ে ডিহং নামে ভারতে প্রবেশ করেছে । এর মোট দৈর্ঘ্য ২,৯০০ কিমি, এর মধ্

সিন্ধু নদ (The Indus)

সিন্ধু নদ : সিন্ধু নদ তিব্বতের মানস সরোবরের উত্তরে অবস্থিত সিন-কা-বাব জলধারা থেকে উৎপন্ন হয়ে উত্তর-পশ্চিমে প্রথমে তিব্বতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পরে লাদাখ অঞ্চল দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে । সিন্ধু নদের মোট দৈর্ঘ্য ৩,১৮০ কিমি এবং এর মধ

গঙ্গা নদী (The Ganges)

গঙ্গা নদী : গঙ্গা ভারতের শ্রেষ্ঠ নদী এবং ভারতের দীর্ঘতম নদী । গঙ্গানদীর মোট দৈর্ঘ্য ২৫১০ কিমি এবং এর মধ্যে ২০১৭ কিমি ভারতে প্রবাহিত । কুমায়ুন হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ তুষার গুহা থেকে ভাগীরথী নামে উৎপন্ন হয়ে সংকীর্ণ গিরিখাতের

ভারতের নদনদী (Rivers of India)

ভারতের নদনদী : ভারতে অসংখ্য নদনদী বিভিন্ন দিকে প্রবাহিত হয়েছে । উৎস, প্রবাহের অঞ্চল, এবং মোহানা অনুসারে ভারতের নদনদীকে প্রধানত দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় । যেমন— (১) উত্তর ভারতের নদী এবং (২) দক্ষিণ ভারতের নদী ।