বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তরে ছিদ্র হলে কী ঘটতে পারে ?

Submitted by avimanyu pramanik on Wed, 12/29/2021 - 18:08

প্রশ্ন:- বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তরে ছিদ্র হলে কী ঘটতে পারে ?

উত্তর: বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরের মধ্যে যে ওজোন গ্যাসের স্তর রয়েছে তা সূর্য থেকে বিচ্ছুরিত অতিবেগুনি রশ্মিকে শোষণ করে নেয় বলে এই স্তরের উপস্থিতির জন্য সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি পৃথিবীতে পৌঁছতে পারে না, যার ফলে সমগ্র প্রাণীজগৎ সূর্যের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে রক্ষা পায় । বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তরে ছিদ্র হলে ছিদ্ররের মধ্যে দিয়ে সূর্যরশ্মির ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি পৃথিবীর বায়ূমণ্ডলে প্রবেশ করবে যার ফলে প্রাণীদেহে মারাত্মক ক্ষতিকারক প্রভাবের সৃষ্টি হবে । কারণ এর ফলে প্রাণীদেহে চামড়ার ক্যানসার, চোখের কর্নিয়া নষ্ট হয়ে যাওয়া, প্রজনন ক্ষমতা কমে যাওয়া এবং ত্বকের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় নানা ধরনের চর্মরোগ দেখা দেবে ।

বর্তমানে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ক্লোরোফ্লুরো কার্বন জাতীয় (CFC) এক ধরনের ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান অসম্ভব বেড়ে যাওয়ায় বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তরের  ভয়ানক ক্ষতি হচ্ছে । ওজোন গ্যাসের সংকোচন প্রতিরোধে বর্তমানে নানারকম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে ।

ওজোন স্তর ধ্বংসকারী ক্লোরিনের প্রধান উপাদান হল ক্লোরোফ্লুরো কার্বন (CFC) –যা বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধি স্প্রে, নরম ফোম, এয়ারকন্ডিশনার, ফ্রিজ প্রভৃতিতে ব্যবহার করা হয় । বর্তমানে ওজোন স্তর বিনাশের প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা হিসেবে ক্লোরোফ্লুরো কার্বন, কার্বন টেট্রাক্লোরাইড, মিথাইল ক্লোরোফর্ম প্রভৃতি রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে ।

*****

Comments

Related Items

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীর ভূমিকা (Role of Students in Waste Management)

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীর ভূমিকা (Role of students in waste management) : সুন্দর ও স্বচ্ছ মন এবং সুস্থশিক্ষা পারিপার্শ্বিক পরিবেশের ওপর নির্ভরশীল । পারিপার্শ্বিক পরিবেশ সুন্দর না থাকলে, সুন্দর স্বচ্ছ মন ও সুস্থশিক্ষা সম্ভব নয় । তাই বর্জ্য ব্যবস্

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা (Need for Waste Management)

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা (Need for waste management) : ভূপৃষ্ঠস্থ জলের কলুষিতকরণ, মৃত্তিকা সংক্রমণ, দূষণ, লিশেট ইত্যাদির মাধ্যমে বর্জ্য পরিবেশকে প্রভাবিত করে থাকে । বর্জ্যপদার্থ কঠিন বা তরলরূপে জলাশয়ে এসে পড়লে তা জলের রাসায়নিক গঠনের পরিবর্তন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি (Method of Waste Management)

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি (Method of waste management) : বর্জ্যপদার্থ সংগ্রহ, বর্জ্যের পরিবহন, আবর্জনার বিলিব্যবস্থা, নর্দমার জল ও অন্যান্য বর্জ্যের নিকাশ প্রভৃতি হল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অন্যতম দিক । বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রধান পদ্ধতিগুলি হল— (১) বর্জ্য

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (Waste Management)

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (Waste Management) : যে কার্যকরী পরিচালন পদ্ধতির মাধ্যমে বর্জ্য পদার্থের সংগ্রহ, অপসারণ, পরিবহণ, শোধন, ক্ষতিকর প্রভাব হ্রাস ও পুনরায় বর্জ্য পদার্থকে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা হয়, তাকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বলা হয় । অন্যভাবে বলা যায়, বর্জ

পরিবেশের ওপর বর্জ্যের প্রভাব (Effect of wastes on environment)

পরিবেশের ওপর বর্জ্যের প্রভাব (Effect of wastes on environment) : বর্জ্য পরিবেশকে নানাভাবে প্রভাবিত করে থাকে । যেমন — (ক) ভূপৃষ্ঠস্থ জলের কলুষিতকরণ, (খ) মৃত্তিকা সংক্রমণ, (গ) দূষণ, (ঘ) লিশেট ইত্যাদি ।