বায়ুমণ্ডলের আয়নোস্ফিয়ার স্তরের গুরুত্ব লেখ ।

Submitted by avimanyu pramanik on Wed, 12/29/2021 - 17:46

প্রশ্ন:- বায়ুমণ্ডলের আয়নোস্ফিয়ার স্তরের গুরুত্ব লেখ

আয়োনোস্ফিয়ার (Ionosphere) : মেসোস্ফিয়ার স্তরের শেষ সীমা হল মেসোপজ । আর এই মেসোপজের ওপরে প্রায় ৫০০ কিমি. উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুমণ্ডলের স্তরকে আয়নোস্ফিয়ার বলে । এই স্তরে গ্যাসীয় কণাগুলি তড়িৎ-আধানযুক্ত বা আয়নিত অবস্থায় থাকে বলে, এই স্তরটিকে আয়নোস্ফিয়ার বলা হয় । এখানে হাইড্রোজেন, হিলিয়াম, ওজোন প্রভৃতি গ্যাস আয়নিত অবস্থায় থাকে । এই স্তরের নীচের অংশে উষ্ণতা অত্যন্ত দ্রুতহারে বৃদ্ধি পায় বলে স্তরটি থার্মোস্ফিয়ার (Thermosphere) নামেও পরিচিত । মেসোস্ফিয়ারের উর্ধ্বসীমায় অর্থাৎ ভূপৃষ্ঠ থেকে ৮০ কিলোমিটার উচ্চতায় বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা কম বেশি – ৯৩° সেলসিয়াস থেকে বাড়তে বাড়তে ৪৮০ কিলোমিটার উচ্চতায় প্রায় ১২৩২° সেলসিয়াসে পরিণত হয় ।

(১) ভূপৃষ্ঠের ঊর্ধ্বে ৮০ – ৬৪০ কিমি. পর্যন্ত বিস্তৃত হালকা বায়ুস্তরকে আয়নোস্ফিয়ার বলে ।

(২) তড়িৎযুক্ত কণা বা আয়নের উপস্থিতির জন্য এই স্তর আয়নোস্ফিয়ার নামে পরিচিত ।

(৩) এখানে হাইড্রোজেন, হিলিয়াম, ওজোন প্রভৃতি গ্যাস আয়নিত অবস্থায় থাকে ।

(৪) প্রখর সূর্য কিরণের জন্য হালকা বায়ু দিয়ে গঠিত এই স্তরে বায়ুমণ্ডলের মোট ভরের মাত্র ০.৫% আছে ।

(৫) ভূপৃষ্ঠের বেতার তরঙ্গগুলো আয়নোস্ফিয়ার স্তর ভেদ করে আরও ওপরে যেতে পারে না বলে এই স্তর থেকে বেতার তরঙ্গ প্রতিফলিত হয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসে, তাই বিভিন্ন রেডিও স্টেশন থেকে প্রচারিত গান, বাজনা, নাটক, কবিতা, সংবাদ প্রভৃতি আমরা রেডিও মারফত বাড়ি বসে শুনতে পাই ।

*****

Comments

Related Items

মন্থকূপ (pot Hole)

মন্থকূপ (pot Hole) : উচ্চগতি বা পার্বত্যপ্রবাহে বন্ধুর গতিপথের কারণে নদীর প্রবল স্রোতের সঙ্গে বাহিত প্রস্তরখণ্ড, নুড়ি প্রভৃতি পাক খেয়ে ঘুরতে ঘুরতে নীচের দিকে অগ্রসর হয় । এর ফলে পরিবাহিত নুড়ি ও প্রস্তরখণ্ডের দ্বারা অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় নদীর তলদেশে ছোটো ছো

প্রপাত কূপ (Plunge pool)

প্রপাত কূপ [Plunge pool] : নদীর গতিপথের যে অংশে জলপ্রপাতের জলধারা সজোরে এসে পড়ে সেখানে এই জলধারা সজোরে এসে পড়ার ফলে এবং জলধারাবাহিত শিলাখণ্ডের আঘাতে জলপ্রপাতের পাদদেশে হাঁড়ির মতো গোলাকার গর্তের সৃষ্টি হয়, তাকে প্রপাতকূপ বা প্লাঞ্জপুল

জলপ্রপাত (Waterfalls)

জলপ্রপাত (Waterfalls) : পার্বত্য প্রবাহে নদীর গতিপথে উলম্ব বা আড়াআড়িভাবে কঠিন ও নরম শিলাস্তর অবস্থান করলে নদী কঠিন শিলা অপেক্ষা নরম শিলাস্তরকে অধিক ক্ষয় করে ও কালক্রমে উঁচু হয়ে থাকে এবং গতিপথে খাড়া ঢাল গড়ে তোলে । নদীর গতিপথের ঢাল হঠাৎ খাড়াভাবে নেম

খরস্রোত (Rapids)

খরস্রোত (Rapids) : নদীর উচ্চগতি বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপগুলির মধ্যে অন্যতম হল খরস্রোত বা র‍্যাপিডস । পার্বত্য প্রবাহে নদীর গতিপথে কঠিন ও কোমল শিলা পরস্পর আড়াআড়িভাবে অবস্থান করলে কঠিন শিলা অপেক্ষা কোমল শিল

শৃঙ্খলিত শৈলশিরা (Inter-locking spurs)

শৃঙ্খলিত শৈলশিরা (Inter-locking spurs) : পার্বত্য অঞ্চলে নদীর ক্ষয়কাজের ফলে নানা রকমের ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, শৃখলিত শৈলশিরা হল তাদের মধ্যে অন্যতম একটি ভূমিরূপ । পার্বত্য অঞ্চলে কঠিন শিলাগঠিত শৈলশিরাসমূহ নদীর গতিপথে অনেকসময় এমন বাধার সৃষ্টি করে যে, সেই বা