Submitted by avimanyu pramanik on Mon, 07/26/2021 - 16:52

পিরামিড চূড়া (Pyramidal Peak) : হিমবাহের ক্ষয়কাজের ফলে নানা রকম ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, পিরামিড চূড়া [Pyramidal Peak] হল তাদের মধ্যে অন্যতম একটি ভূমিরূপ । হিমবাহের অত্যাধিক চাপ ও ঘর্ষণের ফলে অবঘর্ষ ও উৎপাটন প্রক্রিয়ায় হিমবাহের ক্ষয়্কার্যের মাধ্যমে উপত্যকার উপরের অংশ খুব খাড়াই হয় এবং মধ্য অংশে অনেকটা গর্তের মতো অবনত জায়গার সৃষ্টি হয় । হিমবাহের ক্ষয়কাজের ফলে পুরো উপত্যকাটির আকৃতি অনেকটা হাতল ছাড়া ডেক চেয়ারের মতো দেখতে হয় । এই রকম আকৃতিবিশিষ্ট উপত্যকাকে ফ্রান্সে স্থানীয় ভাষায় সার্ক (Cirque) এবং স্কটল্যান্ডে কুম (Cumbe, Cwm) বা করি (Corrie) বলে । উপত্যকা হিমবাহের উৎসক্ষেত্রে ক্ষয়কাজের ফলে সার্কের সৃষ্টি হয় । যখন একটি পাহাড়ের বিভিন্ন দিক থেকে তিন-চারটি করি বা সার্ক পাশাপাশি এক সঙ্গে বিরাজ করে, তখন এদের মধ্যবর্তী খাড়া পর্বত চূড়াটিকে পিরামিডের মতো দেখায় । পিরামিডের মতো আকৃতিবিশিষ্ট এই ধরনের পর্বত চূড়াকে পিরামিড চূড়া [Pyramidal Peak] বলে ।

উদাহরণ: আল্পস পর্বতের ম্যাটারহর্ণ এবং গঙ্গোত্রীর কাছে অবস্থিত হিমালয় পর্বতের নীলকন্ঠশিবলিঙ্গ শৃঙ্গ দুটি পিরামিড চুড়ার [Pyramidal Peak] উল্লেখযোগ্য উদাহরণ ।

*****

Comments

Related Items

দক্ষিণের মালভূমি অঞ্চল

দক্ষিণের মালভূমি অঞ্চল : এশিয়ার মধ্যভাগের বিশাল পার্বত্য অঞ্চলের দক্ষিণে এবং এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণ অংশের তিনটি উপদ্বীপে তিনটি ক্ষয়প্রাপ্ত ও অতি প্রাচীন নীচু মালভূমি অবস্থান করছে — (১) আরব মালভূমি, (২) দাক্ষিণাত্য মালভূমি এবং (৩) ইন্দোচীন মালভূমি । এই তি

মধ্যভাগের বিশাল পার্বত্য অঞ্চল

মধ্যভাগের বিশাল পার্বত্য অঞ্চল : এশিয়া মহাদেশের মধ্যভাগে আছে পৃথিবীর দীর্ঘতম, বৃহত্তম ও উচ্চ পার্বত্যভূমি । পশ্চিমদিকে ভূমধ্যসাগরের তীর থেকে পূর্বদিকে প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূল ভাগ পর্যন্ত বিস্তৃত এই পার্বত্য অঞ্চলে অনেক সুউচ্চ পর্বতশ্রেণি বিভিন্ন দিকে প

উত্তরের বিস্তীর্ণ নিম্নসমভূমি অঞ্চল

উত্তরের বিস্তীর্ণ নিম্ন সমভূমি অঞ্চল : এই বিস্তীর্ণ নিম্ন সমভূমি অঞ্চলকে দুটি প্রধান ভুপ্রাকৃতিক উপবিভাগে ভাগ করা যায়— (ক) সাইবেরিয়ার নিম্ন সমভূমি এবং (খ) তুরাণের নিম্ন সমভূমি ।

ভারতের পেট্রোকেমিক্যাল শিল্প

পেট্রোকেমিক্যাল শিল্প : যে শিল্প অশোধিত খনিজ তেল বা পেট্রোলিয়ামের বিভিন্ন উপজাত দ্রব্য থেকে প্লাস্টিক, পলিথিন, কৃত্রিম সুতো, কৃত্রিম রবার, রং প্রভৃতি নানা ধরনের জিনিস উৎপাদন করা হয় তাকে পেট্রোকেমিক্যাল শিল্প বলে ।

ভারতের ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প

ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প বলতে বিদ্যুৎ, কৃষি ও শিল্পে ব্যবহৃত ছোট-বড়ো ও হালকা ও ভারী যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ থেকে শুরু করে পরিবহণের যানবাহনসহ সমস্ত শিল্পকে বোঝায় । বিভিন্ন ধরনের সূক্ষ্ম ও ভারী যন্ত্রপাতি, রেল ইঞ্জিন ও ওয়াগন, জাহাজ, মোটরগাড়ি, মোটর সাইকেল ও স্কুটার, সাইকেল, ঘড়ি,