পরিবেশের ওপর বর্জ্যের প্রভাব (Effect of wastes on environment)

Submitted by avimanyu pramanik on Thu, 11/04/2021 - 17:50

পরিবেশের ওপর বর্জ্যের প্রভাব (Effect of wastes on environment) : বর্জ্য পরিবেশকে নানাভাবে প্রভাবিত করে থাকে । যেমন — (ক) ভূপৃষ্ঠস্থ জলের কলুষিতকরণ, (খ) মৃত্তিকা সংক্রমণ, (গ) দূষণ, (ঘ) লিশেট ইত্যাদি ।

(ক) ভূপৃষ্ঠস্থ জলের কলুষিতকরণ (Effect on surface water) : বর্জ্যপদার্থ কঠিন বা তরলরূপে জলাশয়ে এসে পড়লে তা জলের রাসায়নিক গঠনের পরিবর্তন ঘটায় ও জলকে কলুষিত করে । একে জলদূষণ বলে । এর ফলে সেই জল পানের অযোগ্য হয়ে ওঠে এবং তা মানুষ ও পশুপাখিদের জীবনের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে ।

(খ) মৃত্তিকা সংক্রমণ (Soil contamination) : ক্ষতিকর রাসায়নিক তরল বর্জ্যপদার্থ মাটির ভিতর প্রবেশ করে মাটির সঙ্গে মিশে তা মাটিকে কলুষিত করে মৃত্তিকাদূষণ ঘটায় । শিকড়ের মাধ্যমে এই সকল ক্ষতিকর পদার্থ উদ্ভিদদেহে সংক্রমিত হয় । মানুষ এবং প্রাণীরা যখন এই সংক্রামিত উদ্ভিদের ফলমূল খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে, তখন তাদের শরীর স্বাস্থ্যের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে ।

(গ) দূষণ (Pollution) : দূষিত বর্জ্যপদার্থ ভূমি ও বায়ুদূষণ ঘটায় । এই প্রকার দূষণ মানুষ ও প্রাণীর শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতি করে ও নিঃশ্বাসপ্রশ্বাস জনিত সমস্যার সৃষ্টি করে । ফলে নানা রকমের মারাত্মক দীর্ঘস্থায়ী রোগব্যাধির সৃষ্টি হয় ।

(ঘ) লিশেট (Leachate) : ক্ষতিকর বর্জ্যপদার্থ থেকে নিঃসৃত দূষিত জল যখন চুঁইয়ে পড়ে কোনো অঞ্চলকে সংক্রামিত করে, তাকে লিশেট বলে । এই প্রকার দূষিত রাসায়নিক তরল মিশ্রণ যখন ভূপৃষ্ঠস্থ জল ও ভৌমজলে প্রবেশ করে, তখন তার ঋণাত্মক প্রভাব জীবকুলের ওপর বিপর্যয় সৃষ্টি করে ।

*****

Comments

Related Items

অ্যাপোজি ও পেরিজি (Apogee and Perigee)

অ্যাপোজি ও পেরিজি (Apogee and Perigee) : চাঁদ ও পৃথিবীর মধ্যে গড় দূরত্ব হল ৩,৮৪,৪০০ কিমি.

সিজিগি (Syzygy)

সিজিগি (Syzygy) : জ্যোতির্বিজ্ঞান অনুসারে সূর্য, চাঁদ ও পৃথিবীর একই সরলরৈখিক অবস্থানকে সিজিগি (Syzygy) বলে । সিজিগি আবার সংযোগ অবস্থান ও প্রতিযোগ অবস্থান — এই দু-প্রকারের হয় ।

জোয়ার ভাটার ফলাফল (Effect of Tides)

জোয়ার ভাটার ফলাফল (Effect of Tides) : বিভিন্ন ক্ষেত্রে জোয়ার ভাটার যথেষ্ট প্রভাব লক্ষ্য করা যায় । সমুদ্র উপকূলে ও উপকুলের কাছে নদনদীতে জোয়ার ভাটার প্রভাব বেশি । জোয়ার ভাটার নিম্নলিখিত ফলাফল গুলি হল —

ভরা জোয়ারের তুলনায় মরা জোয়ারে জলস্ফীতি অপেক্ষাকৃত কম হয়

ভরা জোয়ারের তুলনায় মরা জোয়ারে জলস্ফীতি অপেক্ষাকৃত কম হয়

ভরা জোয়ার ও মরা জোয়ার (Spring Tides and Neap Tides)

ভরা কোটাল বা ভরা জোয়ার (Spring Tides) : পৃথিবীর সব জায়গায় সব দিন জোয়ারের পরিমাণ একই থাকে না । তিথি অনুসারে জোয়ারভাটা বাড়ে ও কমে । পৃথিবীর ওপর সূর্যের আকর্ষণ শক্তি চাঁদের আকর্ষণ শক্তির প্রায় অর্ধেক হলেও ভূপৃষ্ঠে জোয়ার ভাটা সৃষ্টিতে সূর্যের প্রভাবও বিশ