ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর : বায়ুমন্ডলের তাপ ও চাপ

Submitted by avimanyu pramanik on Sat, 07/21/2012 - 22:31

প্রশ্ন:- প্রতি ১ হাজার মিটার উচ্চতায় কত তাপমাত্রা হ্রাস পায় ?

উত্তর:- প্রতি ১ হাজার মিটার উচ্চতায় ৬.৪o ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা হ্রাস পায় ।

প্রশ্ন:- নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে উভয় মেরুর দিকে সাধারণত প্রতি ১o অক্ষাংশের ব্যবধানে কত ডিগ্রী তাপমাত্রার পার্থক্য ঘটে ?

উত্তর:- নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে উভয় মেরুর দিকে সাধারণত প্রতি ১o অক্ষাংশের ব্যবধানে ০.২৮o সেলসিয়াস তাপমাত্রার পার্থক্য ঘটে ।

প্রশ্ন:- পৃথিবীতে আগত সূর্যরশ্মির কত শতাংশ বায়ুমন্ডলকে উত্তপ্ত করে  ?

উত্তর:- পৃথিবীতে আগত সূর্যরশ্মির ৬৬%  বায়ুমন্ডলকে উত্তপ্ত করে  ।

প্রশ্ন:- অ্যালবেডো কি ?

উত্তর:- সূর্যকিরণ থেকে পৃথিবীতে মোট যে পরিমাণ তাপ আসে তার ৩৪% উত্তাপ মেঘ, ধুলিকণা দ্বারা প্রতিফলিত হয়ে মহাশূন্যে ফিরে যায়, — এই ঘটনাকে অ্যালবেডো বলে ।

প্রশ্ন:- কোন অঞ্চলে সূর্য প্রায় সারাবছর লম্বভাবে কিরণ দেয় ?

উত্তর:- নিরক্ষীয় অঞ্চলে সূর্য প্রায় সারাবছর লম্বভাবে কিরণ দেয় ।

প্রশ্ন:- কোন যন্ত্রের সাহায্যে বায়ুর চাপ মাপা হয় ?

উত্তর:- ব্যারোমিটার যন্ত্রের সাহায্যে বায়ুর চাপ মাপা হয় ।

প্রশ্ন:- ভূপৃষ্ঠে বায়ুচাপ বলয়ের সংখ্যা কয়টি ?

উত্তর:- ভূপৃষ্ঠে বায়ুচাপ বলয়ের সংখ্যা ৭টি

প্রশ্ন :- বর্ষাকালে শীতকালের তুলনায় বায়ুর চাপ কম হয় কেন ?

উত্তর :- জলীয় বাষ্প বিশুদ্ধ বায়ুর তুলনায় হালকা । সেই জন্য জলীয় বাষ্পপূর্ণ আর্দ্র বায়ু জলীয় বাষ্পহীন শুষ্ক বায়ুর তুলনায় হালকা এবং শুষ্ক বায়ুর চাপও অপেক্ষাকৃত কম । এই জন্য বর্ষাকালে জলীয় বাষ্পপূর্ণ আদ্র বায়ুর চাপ শীতকালের শুষ্ক বায়ুর তুলনায় কম হয় ।

প্রশ্ন :-  উত্তর গোলার্ধের উচ্চভূমির দক্ষিণ ঢালের উত্তাপ উত্তর ঢাল অপেক্ষা বেশি হয় কেন ?

উত্তর :- উত্তর গোলার্ধের উচ্চভূমির দক্ষিণ ঢালে সূর্যরশ্মি অপেক্ষাকৃত লম্বভাবে পড়ার ফলে দক্ষিণ ঢালের উষ্ণতা উত্তর ঢালের উষ্ণতার তুলনায় বেশি হয় । উত্তর ঢালে সূর্যরশ্মি অপেক্ষাকৃত তির্যকভাবে পড়ে বলে উত্তর ঢাল কম উষ্ণ হয় ।

প্রশ্ন :- লম্বভাবে পতিত সূর্যরশ্মির তুলনায় তির্যকভাবে পতিত সূর্যরশ্মিতে উত্তাপের পরিমাণ কম হয় কেন ?

উত্তর :- তির্যকভাবে পতিত সূর্যরশ্মি লম্বভাবে পতিত সূর্যরশ্মির তুলনায় অনেক বেশি পথ অতিক্রম করে ভূ-পৃষ্ঠে পৌঁছায় এবং বেশি স্থান জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে । ফলে তির্যক ভাবে পতিত রশ্মিতে উত্তাপের পরিমাণ কম হয় । কিন্তু লম্বভাবে পতিত রশ্মি অপেক্ষাকৃত কম পথ অতিক্রম করে ভূপৃষ্ঠে পৌঁছায় এবং অপেক্ষাকৃত কম স্থান জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে । ফলে লম্বভাবে পতিত রশ্মিতে উত্তাপের পরিমাণ বেশি হয় ।

প্রশ্ন :- শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং-এর তাপমাত্রা কম কেন ?

উত্তর :- স্বাভাবিক অবস্থায় উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা হ্রাস পায় । বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা হ্রাসের হার হল প্রতি ১ কিলোমিটারে ৬.৪ সেলসিয়াস। শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিঙের দূরত্ব বেশি নয়, কিন্তু যেহেতু দার্জিলিং-এর উচ্চতা শিলিগুড়ির তুলনায় অনেক বেশি সেই হেতু দার্জিলিং-এর তাপমাত্রা সবসময়েই শিলিগুড়ির তাপমাত্রার তুলনায় অনেক কম হয় ।

*****

Related Items

কাবেরী নদী (The Kaveri)

কাবেরী নদী (The Kaveri) : কর্ণাটক রাজ্যের তালাকাভেরি উচ্চভূমি থেকে উৎপন্ন হয়ে কাবেরী নদী কর্ণাটক ও তামিলনাড়ুর মধ্য দিয়ে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে । কাবেরী নদীর দৈর্ঘ্য ৭৬৫ কিমি.

কৃষ্ণা নদী (The Krishna)

কৃষ্ণা নদী (The Krishna) : পশ্চিমঘাট পর্বতমালার মহাবালেশ্বরের শৃঙ্গের কিছুটা উত্তরে প্রায় ১৪০০ মিটার উচ্চতা থেকে উৎপন্ন হওয়ার পর কৃষ্ণা নদী দক্ষিণ-পূর্বে তেলেঙ্গানা ও অন্ধপ্রদেশ রাজ্যের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বিশাল বদ্বীপ সৃষ্টি করে

গোদাবরী নদী (The Godavari)

গোদাবরী নদী (The Godavari) : গোদাবরী নদী 'দক্ষিণ ভারতের গঙ্গা' নামে পরিচিত । মহারাষ্ট্রের ব্রম্ভগিরি পাহাড়ের ত্র্যম্বক শৃঙ্গ থেকে উৎপন্ন হয়ে এবং পরে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে গোদাবরী নদী মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশ

মহানদী (The Mahanadi)

মহানদী (The Mahanadi) : ছত্তিসগড় রাজ্যের রায়পুর জেলার দক্ষিণাংশের সিয়াওয়া মালভূমি থেকে উৎপন্ন হয়ে পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়ে মধ্যপ্রদেশ ও ওড়িশা রাজ্য অতিক্রম করার পর বদ্বীপ সৃষ্টি করে বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে । মহানদী

তাপী নদী (The Tapti)

তাপী বা তাপ্তি নদী (The Tapti) : মধ্যপ্রদেশের মহাদেব পর্বতের মুলতাই উচ্চভূমির প্রায় ৭৭০ মিটার উচ্চতা থেকে উৎপন্ন হয়ে তাপী নদী মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের ওপর দিয়ে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে সাতপুরা ও অজন্তার মধ্যবর্তী সংকীর্ণ উপত