সমাস : ব্যাকরণে সমাস কথাটির অর্থ হল সংক্ষিপ্ত বা সংক্ষেপ । ব্যুৎপত্তিগত অর্থ অর্থাৎ সম্ —√অস্ + ঘঞ্ = সমাস হয় যার অর্থ হল সংক্ষেপ । মনের ভাবকে যথাযথভাবে সহজ সরল ও সংক্ষেপে প্রকাশ করার জন্য সমাস পড়া বা জানার প্রয়োজন । তাই সমাস বলতে আমরা বুঝি বাক্যের দুই বা তার বেশি পদকে এক পদে পরিণত করে সংক্ষেপ করার রীতিকে বলা হয় সমাস । সমাসের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি দিক হল— (১) সমস্যমান পদ (২) ব্যাসবাক্য (৩) সমস্তপদ /সমাসবদ্ধ পদ ।
(১) সমস্যমান পদ — যে সকল পদের যোগে সমাস তৈরি হয় তাদের সমস্যমান পদ বলে । যেমন— পথের রাজা = রাজপথ, বিলেত থেকে ফেরত = বিলেত ফেরত । এখানে 'পথের', 'বিলেত' হল পূর্বপদ । রাজা, ফেরত হল পরপদ বা উত্তরপদ ।
(২) ব্যাসবাক্য / বিগ্রহ বাক্য — সমস্যমান পদগুলি দিয়ে যে বাক্য বা বাক্যাংশ তৈরি হয় তাকে ব্যাসবাক্য বলে । যেমন— বিলেত থেকে ফেরত, পথে রাজা ।
(৩) সমস্তপদ বা সমাসবদ্ধ পদ — পূর্বপদ ও পরপদ বা উত্তরপদের মিলনে যে নতুন পদ সৃষ্টি হয় তাকে বলে সমস্তপদ ।
রাজার পুত্র = রাজপুত্র —এই সমাসটিতে 'রাজার পুত্র' —হল ব্যাস বাক্য, 'রাজপুত্র' —হল সমস্তপদ, 'রাজার' এবং 'পুত্র' —হল সমস্যমান পদ ।
****
- 37110 views