"পাশ্চাত্য দেশের তুলনায় এদেশের জনসাধারণের বৈজ্ঞানিক জ্ঞান নগণ্য ।" — লেখকের এমন মন্তব্যের কারণ কী ?

Submitted by avimanyu pramanik on Fri, 08/27/2021 - 12:53

প্রশ্ন:- "পাশ্চাত্য দেশের তুলনায় এদেশের জনসাধারণের বৈজ্ঞানিক জ্ঞান নগণ্য ।" — লেখকের এমন মন্তব্যের কারণ কী ?

উঃ- বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান যারা পড়েন, তাদের স্বরূপ নির্ণয় করতে গিয়ে লেখক বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধের পাঠকদের দুটি শ্রেণিতে ভাগ করেছেন । প্রথম শ্রেণি, যাঁরা ইংরেজি জানেন না বা খুব অল্প জানেন, দ্বিতীয় শ্রেণি যাঁরা ইংরেজি জানেন এবং ইংরেজি ভাষায় কিছু বিজ্ঞান বই পড়েছেন । পাশ্চাত্যের সঙ্গে তুলনা করতে গিয়ে এ দেশের মানুষের বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কথা তিনি বলেছেন । বিজ্ঞানের প্রাথমিক বিষয়গুলির সঙ্গে পরিচয় না থাকলে কোনো বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ বোঝা সম্ভব নয় । ইউরোপ আমেরিকায় পপুলার সায়েন্স লেখা খুব সহজ, কারণ সাধারন মানুষ অনায়াসে তা বোঝে । কিন্তু আমাদের দেশের সামাজিক পরিস্থিতি এতটা সহজ নয় । এখানে বয়স্কদের জন্য যা লেখা হয়, তা প্রাথমিক বিজ্ঞানের মতো গোড়া থেকে না লিখলে তাঁদের বোঝাবার মতো সহজ হয় না । বাংলা ভাষায় যাঁরা বিজ্ঞান বিষয়ক লেখালেখি করেন, তাঁদের জনপ্রিয়তা পেতে গেলে এই বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে । বিজ্ঞানশিক্ষার বিস্তার ঘটানোর প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে গিয়ে প্রাবন্ধিক এই কথাগুলো বলেছেন । মনে রাখা দরকার যে, বিজ্ঞানশিক্ষার প্রসার যথাযথ না হলে বিজ্ঞান বিষয়ক সাহিত্যের বিকাশ ঘটাও সম্ভব নয় ।

******

Comments

Related Items

বহু বিকল্পীয় প্রশ্নোত্তর (M.C.Q) - আফ্রিকা

১. আদিম যুগে স্রষ্টার কার প্রতি অসন্তোষ ছিল ? — (ক) দয়াময় দেবতার প্রতি (খ) কবির সংগীতের প্রতি (গ) নিজের প্রতি (ঘ) ধরিত্রীর প্রতি ২. "সেই হোক তোমার সভ্যতার শেষ পূর্ণবাণী"— 'সভ্যতার শেষ পূর্ণবাণী'— (ক) বিদ্বেষ ত্যাগ করো (খ) ক্ষমা করো (গ) ভালোবাস (ঘ) মঙ্গল করো

বহু বিকল্পীয় প্রশ্নোত্তর (M.C.Q) - হারিয়ে যাওয়া কালি কলম

১. পালকের কলমের ইংরেজি নাম হল — (ক) স্টাইলাস (খ) ফাউন্টেন পেন (গ) কুইল (ঘ) রিজার্ভার পেন ২. কানে কলম গুঁজে দুনিয়া খোঁজেন — (ক) প্রাবন্ধিক (খ) দার্শনিক (গ) গল্পকার (ঘ) নাট্যকার

সিরাজদ্দৌলা

[দরবার কক্ষ । সিরাজ সিংহাসনে উপবিষ্ট । কর্মচারীরা যথাস্থানে উপবিষ্ট । সভাসদদের মাঝে মীরজাফর, মোহনলাল, মীরমদন, রায়দুর্লভ একদিকে— অন্যদিকে রাজবল্লভ, জগৎশেঠ, ওয়াটস, মঁসিয়ে লা দণ্ডায়মান । গোলাম হোসেন যথারীতি নবাবের পায়ের কাছে বসিয়া আছে ।]

পথের দাবী

পুলিশ-স্টেশনে প্রবেশ করিয়া দেখা গেল, সুমুখের হলঘরে জন-ছয়েক বাঙালি মোট-ঘাট লইয়া বসিয়া আছে, জগদীশবাবু ইতিমধ্যেই তাহাদের টিনের তোরঙ্গ ও ছোটৈ-বড়ো পুঁটলি খুলিয়া তদারক শুরু করিয়া দিয়াছেন । শুধু যে লোকটির প্রতি তাঁহার অত্যন্ত সন্দেহ হইয়াছে তাহাকে আর একটা ঘরে আটকাইয়া রাখা হইয়াছে ।

অদল বদল

হোলির দিনের পড়ন্ত বিকেল । নিম গাছের নীচে গাঁয়ের একদল ছেলে জড়ো হয়ে ধুলো ছোড়াছুড়ি করে খেলছিল । হাত ধরাধরি করে অমৃত ও ইসাব ওদের কাছে এল । দুজনের গায়েই সেদিনকার তৈরি নতুন জামা ।