ভাইরাসে জড়ের ও প্রাণের লক্ষণ

Submitted by arpita pramanik on Tue, 12/25/2012 - 20:07

ভাইরাসে জড়ের ও প্রাণের লক্ষণ (Non-living and living Character of Virus)

ভাইরাসে জড়ের লক্ষণ (Non-living Character of Virus)

1. ভাইরাসের দেহে সাইটোপ্লাজম থাকে না ।

2. ভাইরাস কোনো বহিঃস্থ উদ্দীপকে সাড়া দেয় না ।

3. ভাইরাসের চলন ক্ষমতা নেই ।

4. ভাইরাসের দেহে কোনোরকম বিপাক ক্রিয়া পরিলক্ষিত হয় না ।

ভাইরাসে প্রাণের লক্ষণ (Living Character of Virus)

1. পোষকের দেহ-কোশে ভাইরাস বংশবিস্তারে সক্ষম ।

2. ভাইরাসের দেহে প্রোটিন ও নিউক্লিক অ্যাসিডের উপস্থিতি লক্ষনীয় ।

 

ভাইরাসকে অ-কোশীয় বলা হয় :- ভাইরাসের দেহে সাইটোপ্লাজম, নিউক্লিয়াস বা নিউক্লিয় বস্তু, কোশস্থ অঙ্গাণু না থাকায় ভাইরাসকে কোশ বলা হয় না, অর্থাৎ —ভাইরাস অ-কোশীয়

ভাইরাসকে জীব ও জড়ের মধ্যবর্তী পর্যায়ের বস্তু বলা হয় :- ভাইরাসের দেহে দুইটি স্বতন্ত্র দশা দেখা যায়, যথা: বহিঃকোশীয় দশা [extracellular phase] এবং অন্তঃকোশীয় দশা [intercellular phase] । অন্তঃকোশীয় দশায় ভাইরাস পোষক কোশের মধ্যে জীবের মতো আচরণ করে ও বংশ বিস্তার করে এবং বহিঃকোশীয় দশায় ভাইরাস সম্পূর্ণ জড়ের মতো আচরণ করে । এই বৈশিষ্ট্যগুলির জন্যই ভাইরাসকে জীব ও জড়ের মধ্যবর্তী পর্যায়ের বস্তু বলা হয় ।

 

ভাইরাসের আকার:- ভাইরাস বিভিন্ন আকারের হয়, যেমন:

[1] গোলাকার [Spherical]:- পোলিও ভাইরাস আকারে গোল, গলফ -এর ছোট্ট বলের মতো ।

[2] দন্ডাকার [Rod shaped]:- তামাক পাতার টোবাকো মোজেক ভাইরাস ছোট্ট দন্ডের মতো ।

[3] ডিম্বাকার [Ovoid]:- মাম্পস, ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি রোগের ভাইরাস ডিম্বাকার ।

[4] ঘনকাকার [Cuboidal]:- গুটি বসন্ত রোগের ভাইরাস (ভ্যাকসিনিয়া ও ভ্যারিওলা) ঘনকের মতো ।

[5] শুক্রাণু বা ব্যাঙাচি আকার [Spermatozoa-shaped or tadpole larva-shaped]:- ব্যাকটিরিওফাজ বা ফাজ ভাইরাসের আকার অনেকটা শুক্রাণু বা ব্যাঙাচির মতো ।

*****

Related Items

অপুংজনি বা পার্থেনোজেনেসিস

যে জনন প্রক্রিয়ায় নিষেক ছাড়াই অনিষিক্ত ডিম্বাণু থেকে সরাসরি অপত্য উদ্ভিদ বা প্রাণী সৃষ্টি হয়, তাকে অপুংজনি বা পার্থেনোজেনেসিস বলে । স্পাইরোগাইরা, মিউকর প্রভৃতি উদ্ভিদ এবং বোলতা, মৌমাছি ইত্যাদি প্রাণীদের ক্ষেত্রে অপুংজনি দেখা যায় । বেশির ভাগ জীবের, বিশেষ করে ...

যৌন জনন (Sexual Reproduction)

যে জনন প্রক্রিয়ায় গ্যামেট উত্পন্ন হয় এবং দুটি যৌন জনন কোশ অর্থাৎ পুং গ্যামেট ও স্ত্রী গ্যামেটের মিলন বা নিষেকের মাধ্যমে অপত্য জীব সৃষ্টি হয়, তাকে যৌন জনন বলে । ব্যাঙ, মানুষ প্রভৃতি প্রাণী ও সপুষ্পক উদ্ভিদ যৌন জনন প্রক্রিয়ায় অপত্য জীব সৃষ্টি করে । পুং গ্যামেট ও স্ত্রী গ্যামেটের ...

অযৌন জনন

যে পদ্ধতিতে কোনো কোনো পুর্নাঙ্গ জীব, নিজের দেহাংশ থেকে সমপ্রকৃতি সম্পন্ন অপত্য জীবের সৃষ্টি করে, তাকে অযৌন জনন বলে । অর্থাৎ যে জনন প্রক্রিয়ায় গ্যামোট উত্পাদন ছাড়াই সরাসরি কোশবিভাজনের মাধ্যমে অথবা 'স্পোর' বা রেণুর সাহায্যে সদৃশ অপত্য জীব সৃষ্টি হয়, তাকে ...

অঙ্গজ জনন

যে জনন প্রক্রিয়ায় জীবদেহের কোনও অঙ্গ বা অঙ্গাংশ মাতৃ (জনিতৃ) দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কোষ কোশবিভাজন ও বৃদ্ধির দ্বারা সদৃশ অপত্য জীব সৃষ্টি করে, তাকে অঙ্গজ জনন বলে । উদ্ভিদের অঙ্গজ জননকে প্রধান দু'ভাগে ভাগ করা যেতে পারে, প্রাকৃতিক অঙ্গজ জনন, কৃত্রিম অঙ্গজ জনন । ...

জননের সংজ্ঞা ও জননের প্রকারভেদ

জনন অর্থাৎ বংশবিস্তার হল জীবের অন্যতম বৈশিষ্ট্য । পরিণত জীব অপত্য জীব সৃষ্টি করার মাধ্যমে নিজের প্রজাতির অস্তিত্ব বজায় রাখে । যে জীব থেকে অপত্য জীব সৃষ্টি হয় তাকে জনিতৃ জীব এবং জনিতৃ জীব থেকে সৃষ্টি হওয়া জীবকে অপত্য জীব বলে । জনিতৃ জীব থেকে অপত্য জীব ...