ভারতীয় উপমহাদেশের প্রধান প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য (Geographical features of India)
সাধারণভাবে হিমালয় থেকে দক্ষিণে বিন্ধ্য পর্বত পর্যন্ত অংশকে আর্যাবর্ত বা উত্তরাপথ ও বিন্ধ্য পর্বত থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত অংশকে দাক্ষিণাত্য বা দক্ষিণাপথ বলা হয় ।
ভু-প্রকৃতির বৈশিষ্ট অনুসারে দেশকে পাঁচটি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে ।
(ক) উত্তরে হিমালয় ও তৎসংলগ্ন পার্বত্য অঞ্চল : হিমালয় পর্বত উত্তর ভারত থেকে তিব্বত ও চিনকে বিছিন্ন করেছে । কাশ্মীর, সিকিম ও ভুটান এই অঞ্চলের মধ্যে পড়ে । পুরাণে এই অঞ্চলকে পর্বতাশ্রয়ীণ বলে উল্লেখ আছে ।
(খ) সিন্ধু-গঙ্গা-ব্রম্মপুত্র বিধৌত সমভূমি অঞ্চল : হিমালয় থেকে উৎপন্ন সিন্ধুনদ, গঙ্গানদী ও ব্রহ্মপুত্র এই তিনটি নদীর অববাহিকার বিস্তীর্ণ সমভূমি অঞ্চল ভারতের সর্বাপেক্ষা সমৃদ্ধশালী উর্বর অঞ্চল । সিন্ধু ও গঙ্গার অববাহিকায় প্রাচীন ভারতের সভ্যতার প্রথম বিকাশ ঘটেছিল । সিন্ধু অববাহিকার সমভূমি অঞ্চলের একটা অংশ বর্তমানে পাকিস্থানের অন্তর্গত ।
(গ) মধ্য ভারতের মালভূমি : সিন্ধু-গঙ্গা সমভূমি অঞ্চলের দক্ষিণ থেকে বিন্ধ্য ও সাতপুরা পর্বতের উত্তরের মধ্যবর্তী অংশ এই অঞ্চলের অন্তর্গত ।
(ঘ) দক্ষিণাত্যের মালভূমি : বিন্ধ্য পর্বতের দক্ষিণ থেকে কৃষ্ণা, তুঙ্গভদ্রা নদী পর্যন্ত এই মালভূমি বিস্তৃত । কৃষ্ণা, কাবেরী, গোদাবরী, তুঙ্গভদ্রা প্রভৃতি নদী এই অঞ্চলের উপর দিয়ে প্রবাহিত । এই মালভূমির পূর্ব দিকে পূর্বঘাট ও পশ্চিম দিকে পশ্চিমঘাট পর্বতমালা বিরাজমান ।
(ঙ) সুদুর দক্ষিণ : কৃষ্ণা, তুঙ্গভদ্রা থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত অঞ্চলকে সুদুর দক্ষিণ বলা হয় । এই অঞ্চল হল দ্রাবিড় সভ্যতার লীলাভূমি ।
*****
- 1973 views