বাংলার রাজনৈতিক পট পরিবর্তন

Submitted by avimanyu pramanik on Sat, 11/01/2014 - 10:07

বাংলার রাজনৈতিক পট পরিবর্তন : কর্ণাটকে যখন ইঙ্গ-ফরাসি দ্বন্দ্ব চলছিল, মোটামুটি প্রায় সেই সময় বাংলায় রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হচ্ছিল । ১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৭৬৫ খ্রিষ্টব্দের মধ্যে বাংলার কর্তৃত্ব স্বাধীন নবাবদের হাত থেকে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে চলে যায় । তিনটি পর্বে এই পরিবর্তন হয়েছিল—

(১) ১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দে পলাশীর যুদ্ধ,

(২) ১৭৬০ খ্রিষ্টাব্দে মীরজাফরের অপসারণ ও মিরকাশিমের উত্থান এবং

(৩) ১৭৬৩ খ্রিষ্টাব্দে মিরকাশিমের পরিবর্তে আবার মিরজাফরের সিংহাসন লাভ ।

১৭৬৪ খ্রিষ্টাব্দে বক্সারের যুদ্ধে এবং ইংরেজদের দেওয়ানি লাভের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমতা হস্তান্তরের পালা সম্পূর্ণ হয়েছিল । এইভাবে ইংরেজরা বাংলার নবাবদের ক্ষমতা চ্যুত করেছিল । অন্যদিকে ১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে ফরাসিরা চন্দন নগর অধিকার করে ও ১৭৫৯ খ্রিষ্টাব্দে ওলন্দাজদের বিদারার যুদ্ধে পরাজিত করে ইংরেজরা বাংলায় তাদের আধিপত্য স্থাপনের কাজ সম্পূর্ণ করেছিল । অস্ট্রিয়ার উত্তরাধিকার যুদ্ধের প্রভাব কর্ণাটকে পড়লেও আলিবর্দির দৃঢ়তার জন্য বাংলায় তার প্রভাব অনুভূত হয়েছিল ।

*****

Related Items

মুঘল যুগে পর্তুগিজ বণিকদের কার্যকলাপ

১৪৯৭-৯৮ খ্রীষ্টাব্দে যখন পর্তুগিজ নাবিক ভাস্কো-দা-গামা মালাবার উপকূলে কালিকট বন্দরে অবতরণ করেন, তখন সেই ঘটনার গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনুধাবন করার ক্ষমতা ভারতবাসীর ছিল না । ভাস্কো-দা-গামা মালাবার উপকূলে কালিকট বন্দরে অবতরণ করার পর থেকেই ইউরোপের সঙ্গে ...

মুঘল যুগে ভারতের বহির্বাণিজ্য

বহির্বিশ্বে ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের বাণিজ্যিক লেনদেন ছিল । বিদেশী বণিকরা যেমন ব্যবসার জন্য ভারতে আসত, তেমনই ভারতীয় বণিকেরা, বিশেষত গুজরাটিরা বহির্বাণিজ্যে অংশগ্রহণ করত । ভারত থেকে বস্ত্র, গোল মরিচ, নীল ও অন্যান্য দ্রব্যসামগ্রী রপ্তানি হত । ভারতে আমদানি হত ...

মুঘল যুগে ভারতের আভ্যন্তরীণ বাণিজ্য

মুঘল আমলে দেশে শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হওয়ায়, রাস্তাঘাট ও সরাইখানা নির্মাণ এবং পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে আভ্যন্তরীণ ব্যবসাবাণিজ্যের প্রসার ঘটেছিল । তা ছাড়া উন্নত মুদ্রানীতি এবং নগদে বেতন প্রদানের ফলে একদিকে যেমন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় টাকা ...

মুঘল যুগে ভারতের অকৃষি নির্ভর শিল্প

অকৃষি শিল্প উৎপাদনের একটা বড় অংশ ছিল বিলাসদ্রব্য । সাধারণ মানুষের চাহিদা কম ছিল । বিলাসদ্রব্য নির্মাণের জন্য সরকারি কারখানা বা কর্মশালা ছিল । তবু তার বেশির ভাগ তৈরি হত স্বাধীন কারিগর ও শিল্পীর বাড়িতে । রান্নাবান্না ও ঘর গেরস্থালীর কাজে লোহা ও তামার তৈরি জিনিসপত্র ...

মুঘল যুগে ভারতের কৃষি নির্ভর শিল্প

মুঘল আমলে গ্রামীন অর্থনীতির মূল ভিত্তি ছিল কৃষি ও হস্তশিল্প বা কুঠির শিল্প । কুঠির শিল্পকে দুই ভাগে ভাগ করে আলোচনা করা যেতে পারে । প্রথমত, কৃষিনির্ভর শিল্প এবং দ্বিতীয়ত অকৃষি শিল্প । কৃষিনির্ভর শিল্পের মধ্যে পড়বে শর্করা শিল্প, তৈল, তামাক, নীল, মদ প্রভৃতি শিল্প । ...