প্রাচীন ভারতের বিজ্ঞান চর্চা

Submitted by avimanyu pramanik on Wed, 04/18/2012 - 10:31

প্রাচীন ভারতের বিজ্ঞান চর্চা :

বিজ্ঞান : প্রাচীন ভারতে বিজ্ঞান চর্চার ঐতিহ্য সর্বজন বিদিত । গণিত, জ্যোতির্বিদ্যা, চিকিৎসা শাস্ত্র, রসায়ন, পদার্থবিদ্যা প্রভৃতি শাস্ত্রে ভারতীয়দের অবদান সবিশেষ উল্লেখযোগ্য । গুপ্তযুগের আর্যভট্ট, বরাহমিহির, গর্গ, লাটদেব আর্যভট্টের শিষ্যগণ গণিত ও জ্যোতির্বিদ্যায় মৌলিক অবদান রেখেছিলেন । পৃথিবীর আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতির কথা আর্যভট্ট -র কাছ থেকে আমরা জানতে পারি । আর্যভট্টের লেখা ‘সুর্যসিদ্ধান্ত’ একটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ । বরাহমিহিরের ‘বৃহৎসংহিতা’‘পঞ্চসিদ্ধান্তিকা’ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । কুষাণযুগে চিকিৎসাশাস্ত্রে চরক সুশ্রুত -র নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । কুষাণযুগে ‘চরক সংহিতা’ র রচয়িতা হলেন চরক । ‘সুশ্রুত সংহিতা’ র রচয়িতা হলেন সুশ্রুত । ‘চরক সংহিতা’ ‘সুশ্রুত সংহিতা’ চিকিৎসা বিজ্ঞানের দুই উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ । গুপ্তযুগে সেরা চিকিৎসক  ছিলেন ধন্বন্তরি । ফা-হিয়েন গুপ্তযুগের হাসপাতালের সুব্যবস্থা ও চিকিৎসকদের পান্ডিত্যের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন । অঙ্কের জগতে দুজন প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব হলেন ব্রহ্মগুপ্ত এবং লীলাবতী । ধাতু বিদ্যার উন্নতির প্রমাণ পাওয়া যায় দিল্লির মেহেরৌলি লৌহস্তম্ভে ।

*****

Related Items

তৈমুর লঙ্গের ভারত আক্রমণ

ফিরোজ শাহ তুঘলকের মৃত্যুর পর দিল্লী সুলতানির পতন আসন্ন হয়ে পড়ে । ১৩৯৮ খ্রীষ্টাব্দে তৈমুর লঙ্গের ভারত আক্রমণ এই পতনের প্রক্রিয়াকে আরও ত্বরান্বিত করে । তৈমুর লঙ্গের ভয়ে সুলতান নাসিরুদ্দিন মামুদ দিল্লী ছেড়ে পালিয়ে যান । তৈমুরের আক্রমণ দিল্লি সুলতানির অন্তসার ...

ফিরোজ শাহ তুঘলক (Firuz Shah Tughluq)

মহম্মদ বিন তুঘলকের পর তাঁর খুড়তুতো ভাই ফিরোজ শাহ তুঘলক সিংহসনে বসেন । তিনি আমির, ওমরাহ এবং ধর্মীয় নেতাদের অনুরোধে দিল্লীর সিংহাসনে আরোহণ করেন । কিন্তু বিজেতা বা শাসক হিসাবে তিনি যোগ্যতার পরিচয় দিতে পারেনি । মানুষ হিসাবে তিনি ছিলেন ন্যায় পরায়ণ,..

মহম্মদ বিন তুঘলক

খলজি বংশের অবসানের পর তুঘলকি আমল শুরু হয় । তুঘলকি বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন গিয়াস উদ্দিন তুঘলক । গিয়াস উদ্দিনের পুত্র মহম্মদ বিন তুঘলক (১৩২৫-১৩৫১) ছিলেন এই বংশের শ্রেষ্ঠ সুলতান । সম্ভবত তিনি তাঁর পিতাকে হত্যা করে দিল্লির সিংহাসনে বসেন ...

খলজি বংশ ও আলাউদ্দিন খলজি

১২৮৭ খ্রিস্টাব্দে সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবনের মৃত্যু হয় । তারপর তাঁর উত্তরাধিকারীদের হত্যা করে প্রধান সেনাপতি জালালউদ্দিন খলজি ১২৯০ খ্রিস্টাব্দে দিল্লির সুলতান হন । জালালউদ্দিন খলজির দিল্লি দখলের সঙ্গে সঙ্গে দাস বংশের অবসান ঘটে ও খলজি বংশের সূচনা হয় । ...

গিয়াসউদ্দিন বলবন (Ghias-ud-din Balban)

গিয়াসউদ্দিন বলবন ১২৬৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১২৮৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন । ইলতুৎমিসের মৃত্যুর পর ইলবেরি তুর্কিজাত সুলতানদের মধ্যে গিয়াসউদ্দিন বলবনের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । সিংহাসনে আরোহণ করার পরে গিয়াসউদ্দিন বলব্ন এক জটিল পরিস্থিতির সম্মুখীন হন ...