প্রাচীন ভারতের পারিবারিক জীবন

Submitted by avimanyu pramanik on Tue, 04/17/2012 - 22:47

প্রাচীন ভারতের পারিবারিক জীবন (Social Life of Ancient India)

প্রাচীন ভারতে সমাজের ভিত্তি ছিল পরিবার । আর সমাজ ছিল পিতৃতান্ত্রিক । অর্থাৎ পুরুষরা বা পিতা ছিলেন পরিবারের প্রধান । অবশ্য মাতাও সন্মান ও মর্যাদার অধিকারিণী ছিলেন । প্রাচীন ভারতে পরিবার ছিল যৌথ । মাতা, পিতা, পুত্র, পুত্রবধূ ও অন্যান্য সবাই একত্রে বসবাস করত । কৌটিল্য সমাজের উচ্চ তিন শ্রেণির মানুষের জীবনে ব্রহ্মচর্য, গার্হস্থ্য, ভিক্ষা ও সন্ন্যাস— এই চারটি আশ্রমের কথা বলেছেন । আর্যদের চতুরাশ্রম প্রথা তখনও প্রচলিত ছিল । প্রথম পর্যায়ে গুরুগৃহে অধ্যায়ন ও চরিত্র গঠন, দ্বিতীয় পর্যায়ে সংসার ধর্ম পালন, তৃতীয় পর্বে সংসার ত্যাগ করে একাকী স্ত্রীসহ অরণ্যে ঈশ্বর চিন্তায় দিন যাপন ও সবশেষে চতুর্থ পর্যায়ে সর্বস্ব ত্যাগ করে ভিক্ষার উপর নির্ভর করে একাকী ঈশ্বর চিন্তায় জীবন যাপন । তিনি ভিক্ষা বলতে বানপ্রস্থকে বুঝিয়েছিলেন । তবে মৌর্য যুগে উচ্চবর্ণের সবাই শেষ দুটি পর্যায় আদৌ পালন করতেন কিনা, তা বলা কঠিন । সাধারণ মানুষ যাতে ন্যায়-নীতি মেনে চলে, সত্যনিষ্ঠ হয়, সৎ গুণের অধিকারী হয়, তার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হত ।

*****

Related Items

হুমায়ুন ও মুঘল আফগান প্রতিদ্বন্দ্বিতা

বাবরের মৃত্যুর পর হুমায়ুন ১৫৩০ সালে পিতার সিংহাসন আরোহণ করেন । কিন্তু তিনি যে জটিল সমস্যা ও পরিস্থিতির সম্মুখীন হন, তা মোকাবিলা করার যোগ্যতা তাঁর ছিল না । দিল্লির শিশু রাষ্ট্রের ভিত ছিল খুবই দুর্বল । তখনও কোনো শাসনব্যবস্থা গড়ে ওঠে নি । আর্থিক অবস্থাও ভালো ছিল না । ...

মুঘল সাম্রাজের প্রতিষ্ঠাতা - বাবর

ভারতে রাজ্য স্থাপন পরিকল্পনা সফল করতে বাবরকে একের পর এক নানা বাধাবিঘ্ন অতিক্রম করতে হয় । তিনটি প্রধান যুদ্ধে সাফল্য অর্জন করার পর বাবরের স্বপ্ন সফল হয় । এই তিনটি যুদ্ধ হল পানিপথের প্রথম যুদ্ধ, খানুয়ার যুদ্ধ ও ঘর্ঘরা যুদ্ধ । পানিপথের প্রথম যুদ্ধ ...

মুঘলদের উদ্ভব ও মুঘল সাম্রাজ্য

১৫২৬ সাল থেকে ১৫৫৬ সাল পর্যন্ত ভারত ইতিহাসের মুল বিষয়বস্তু মুঘল-আফগান প্রতিদ্বন্দ্বিতা । প্রথম পানিপথের যুদ্ধে যার সূচনা, দ্বিতীয় পানিপথের যুদ্ধে তার পরিসমাপ্তি । প্রথম পানিপথের যুদ্ধে ইব্রাহিম লোদীকে পরাস্ত করে বাবর ভারতে মুঘল সাম্রাজ্যের সূচনা করেন । ...

দিল্লি সুলতানির পতনের কারণ

দিল্লী সুলতানের পতন অপ্রত্যাশিত ঘটনা নয় । জন্মলগ্ন থেকেই দিল্লি সুলতানির জীবনীশক্তি ছিল ক্ষীণ । আগাগোড়াই দিল্লি সুলতানির ভিত্তি ছিল দুর্বল ও অনিশ্চিত । দিল্লি সুলতানির কাঠামো ছিল স্বৈরতন্ত্র দিয়ে গড়া, যা দাঁড়িয়েছিল (আলাউদ্দিন এবং মহম্মদ বিন তুঘলকের সময় ছাড়া ) ...

সৈয়দ ও লোদি বংশ

তৈমুর দেশে ফিরে যাওয়ার আগে খিজির খান নামে একজন ব্যক্তিকে দিল্লি, মুলতান এবং দীপালপুরের শাসন ভার দিয়ে যান । এই খিজির খান তুঘলক বংশকে উচ্ছেদ করে সৈয়দ বংশের প্রতিষ্ঠা করেন । এই বংশের চারজন সুলতান ১৪১৪ থেকে ১৪৫১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন । ...