প্রাচীন ভারতের দাসপ্রথা

Submitted by avimanyu pramanik on Tue, 04/17/2012 - 22:58

প্রাচীন ভারতের দাসপ্রথা :

দাসপ্রথা : গৌতম বুদ্ধের সময় সমাজে দাসপ্রথা প্রচলিত ছিল । রাজ পরিবার, ধনী পরিবার ও সাধারণ মানুষও ঘরের কাজের জন্য দাস-দাসী নিযুক্ত করত । ঘরদোর পরিষ্কার করা, রান্নাবান্না করা, মাঠের কাজ করা ছিল দাস-দাসীদের প্রধান কাজ । তবে কোনো বিশেষ বর্ণের মানুষ দাস-দাসীর কাজ করত না । অভাবের তাড়নায় যে-কোনো বর্ণ বা জাতির মানুষ দাস-দাসীর কাজ করত । দাসের ছেলেমেয়ে দাসবৃত্তি করত । অনেকে আবার অভাবে পড়ে পয়সার জন্য স্ত্রী-পুত্র নিয়ে ভিক্ষা করত । ঋণ শোধ করতে না পারলেও অনেকে দাসবৃত্তি করতে বাধ্য হত । অপরাধের শাস্তি বিধানের জন্যও অনেক সময় দাস প্রথার আশ্রয় নেওয়া হত । দাস-দাসীদের  প্রতি অনেক সময় অকথ্য অত্যাচার ও নির্যাতন করা হত । বৌদ্ধ্য সাহিত্য থেকে ধনপালি নামে একজন হতভাগ্য দাসীর কথা জানা যায় । ‘অনুত্তরণিকা’ থেকে দাসজীবনের করুণ কাহিনি জানা যায় । তবে গ্রিসের মতো ভারতে দাসপ্রথার কঠোরতা ছিল না । একজন দাস ইচ্ছা করলেই দাসত্ব থেকে নিজেকে মুক্তি দিতে পারত । তার মালিকও অনেক সময় তাকে স্বেচ্ছায় মুক্তি দিত । মৌর্য যুগে দাসপ্রথা প্রচলিত ছিল না বলে মেগাস্থিনিস যে মন্তব্য করেছিলেন, তা ভূল বলে প্রমাণিত হয়েছে ।

*****

Related Items

মুঘল যুগে ভারতের কৃষি নির্ভর শিল্প

মুঘল আমলে গ্রামীন অর্থনীতির মূল ভিত্তি ছিল কৃষি ও হস্তশিল্প বা কুঠির শিল্প । কুঠির শিল্পকে দুই ভাগে ভাগ করে আলোচনা করা যেতে পারে । প্রথমত, কৃষিনির্ভর শিল্প এবং দ্বিতীয়ত অকৃষি শিল্প । কৃষিনির্ভর শিল্পের মধ্যে পড়বে শর্করা শিল্প, তৈল, তামাক, নীল, মদ প্রভৃতি শিল্প । ...

সুলতানি ও মুঘল আমলের চিত্রকলা

একটি সময় ছিল যখন মনে করা হত সুলতানি আমলে চিত্রকলার কোনো চর্চা হত না । ইসলামে ছবি আঁকা নিষিদ্ধ ছিল । বর্তমানে এই ধারণা ভ্রান্ত বলে প্রমাণিত হয়েছে । আসলে ভারতে ইসলামের আর্বিভাবের ফলে যে সমন্বয়ী প্রক্রিয়ার সূত্রপাত হয়েছিল, তা ভারতের সংস্কৃতিকে গভীরভাবে ...

মুঘল যুগের স্থাপত্য

স্থাপত্য ও চিত্রকলার ইতিহাসে মুঘল যুগের অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে । নির্মাতা হিসাবে মুঘল সম্রাটদের খ্যাতি ছিল জগৎজোড়া । এই যুগের স্থাপত্য ভারতীয় ও পারস্য শিল্পরীতির সমন্বয়ে গড়ে উঠেছিল । মুঘল স্থাপত্যরীতির সুচনা হয় আকবরের সময়ে ...

সুলতানি যুগের স্থাপত্য

দিল্লির কুতুবমিনার (Qutb Minar) হল এয়োদশ শতকের মুসলিম স্থাপত্যের সবচেয়ে বড় নিদর্শন । সুফি সাধক কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকির প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদনের উদ্দেশ্যে এটি নির্মিত হয়েছিল । কুতুবমিনারের নির্মাণ কার্য শুরু করেন কুতুবউদ্দিন আইবক এবং সম্পূর্ণ হয় ইলতুৎমিসের আমলে । ...

প্রাচীন ভারতীয় শিল্পরীতি ও মুসলিম শিল্পরীতির সংমিশ্রণ

প্রাচীন ভারতীয় শিল্পরীতি ও মুসলিম শিল্পরীতির সংমিশ্রণ :

ফার্গুসনের মতে, সুলতানি স্থাপত্যের প্রকৃতি ছিল ইন্দো-স্যারাসিনিক (Indo-Saracenic) বা পাঠান । আবার হ্যাভেলের মতে, এই শিল্পরীতির ‘দেহ ও আত্মা’ ছিল ভারতীয় । আসলে সুলতানি যুগের স্থাপত্য প্রাচীন ভারতীয় শিল্পরী