ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর : প্রাচীন ভারতের সমাজ, অর্থনীতি ও সংস্কৃতি

Submitted by avimanyu pramanik on Tue, 02/21/2012 - 18:23

প্রাচীন ভারতের সমাজ, অর্থনীতি ও সংস্কৃতি

ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর  ( Short questions and answers) -

১) প্রশ্ন:- মৌর্যযুগে বিদেশে ভারতের প্রধান রপ্তানি দ্রব্য কী কী ছিল  ?

উত্তর:- মৌর্যযুগে বিদেশে ভারতের প্রধান রপ্তানি দ্রব্য ছিল (১) বিভিন্ন রকম মসলা এবং (২) মসলিন বস্ত্র

২) প্রশ্ন:- মৌর্যযুগে প্রধান অভ্যন্তরীণ জলপথ কী কী ছিল  ?

উত্তর:- গঙ্গা, যমুনা, গোদাবরী সিন্ধুনদ ছিল মৌর্যযুগের প্রধান অভ্যন্তরীণ জলপথ ।

৩) প্রশ্ন:- মৌর্যযুগে স্থল নিয়ামক কাকে বলা হত ?

উত্তর:- স্থলপথে বণিকদের পথ দেখাবার জন্য এক শ্রেণির সরকারি কর্মচারীকে মৌর্যযুগে স্থল নিয়ামক বলা হত  ।

৪) প্রশ্ন:- মৌর্যোত্তর যুগের কোন শিলালিপি থেকে তৎকালীন ভারতের বাণিজ্য-নিগম ও ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার কথা জানা যায় ?

উত্তর:- নাসিক গুহালিপি থেকে মৌর্যোত্তর যুগের তৎকালীন ভারতের বাণিজ্য-নিগম ও ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার কথা জানা যায় ।

৫) প্রশ্ন:- প্রাচীন ভারতের কোন যুগের সমাজব্যবস্থায় অস্পৃশ্যদের আবির্ভাব ঘটেছিল ?

উত্তর:- প্রাচীন ভারতের গুপ্তযুগের সমাজব্যবস্থায় অস্পৃশ্যদের আবির্ভাব ঘটেছিল ।

৬) প্রশ্ন:- মৌর্যযুগে হিন্দু ধর্ম গ্রহন করেছিল এমন অনার্য জাতিদের মনুসংহিতায় কি বলা হয়েছে ?

উত্তর:- মৌর্যযুগে হিন্দু ধর্ম গ্রহন করেছিল এমন অনার্য জাতিদের মনুসংহিতায় ব্রাত্য ক্ষত্রিয় বলা হয়েছে ।

৭) প্রশ্ন:- প্রাচীনকালে মধ্য এশিয়া থেকে ভারতে আসা শক,হুন,কুষাণ, প্রভৃতি জাতি কোন শ্রেণির মানুষ ছিল ?

উত্তর:- প্রাচীনকালে মধ্য এশিয়া থেকে ভারতে আসা শক,হুন,কুষাণ, প্রভৃতি জাতি ইউ-চি নামে যাযাবর শ্রেণির মানুষ ছিল  ।

৮) প্রশ্ন:- পরবর্তী বৈদিকযুগের পরে ভারতীয় সমাজে নারীর মর্যাদা কেমন ছিল ?

উত্তর:- পরবর্তী বৈদিকযুগের পর থেকে ভারতীয় সমাজে নারীর মর্যাদা ক্রমশ কমতে থাকে

৯) প্রশ্ন:- হিন্দু সমাজে বিধবা-বিবাহ, সতীদাহ প্রভৃতি কু-প্রথা কোন সময় থেকে চালু হয় ?

উত্তর:- হিন্দু সমাজে বিধবা-বিবাহ, সতীদাহ প্রভৃতি কু-প্রথা পরবর্তী বৈদিকযুগের পর থেকে চালু হয় ।

১০) প্রশ্ন:- মৌর্যযুগে ভারতে বস্ত্রশিল্পের প্রধান কেন্দ্রগুলি কী কী ছিল ?

উত্তর:- মৌর্যযুগে ভারতে বস্ত্রশিল্পের প্রধান কেন্দ্রগুলির নাম ছিল বঙ্গ, কাশী, কঙ্কোন মহীশূর  ।

১১) প্রশ্ন:- গুপ্তযুগে ভারতবর্ষের বিভিন্ন শিল্পের মধ্যে কোন শিল্প সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল ?

উত্তর:- গুপ্তযুগে ভারতবর্ষের বস্ত্রশিল্প সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল ।

১২) প্রশ্ন:- অশ্বঘোষ কে ছিলেন ?

উত্তর:- অশ্বঘোষ ছিলেন কুষাণযুগের প্রখ্যাত নাট্যকার ।

১৩) প্রশ্ন:- কোন রাজবংশের আমলে গান্ধারশিল্পের বিকাশ ঘটেছিল  ?

উত্তর:- কুষাণ রাজবংশের আমলে গান্ধারশিল্পের বিকাশ ঘটেছিল ।

১৪) প্রশ্ন:- কোন যুগে প্রধানত অজন্তার গুহাচিত্র অঙ্কিত হয়েছিল  ?

উত্তর:- গুপ্তযুগে প্রধানত অজন্তার গুহাচিত্র অঙ্কিত হয়েছিল ।

১৫) প্রশ্ন:- বিক্রমশিলা মহাবিহার কে প্রতিষ্ঠা করেন  ?

উত্তর:- ধর্মপাল বিক্রমশিলা মহাবিহার  প্রতিষ্ঠা করেন ।

১৬) প্রশ্ন:- হরিচরিত কাব্য কে রচনা করেন ?

উত্তর:- চতুর্ভুজ হরিচরিত কাব্য রচনা করেন ।

১৭) প্রশ্ন:- অতীশ দীপঙ্কর কে ছিলেন ?

উত্তর:- অতীশ দীপঙ্কর ছিলেন একজন জগৎবিখ্যাত পন্ডিত, বিক্রমশীলা মহাবিহারের অধ্যক্ষ এবং বজ্রযান সাধন গ্রন্থের রচয়িতা ।

১৮) প্রশ্ন:- গুপ্তযুগের একজন পদার্থবিজ্ঞানী ও গণিতবিদের নাম কী ?

উত্তর:- গুপ্তযুগের একজন পদার্থবিজ্ঞানী ও গণিতবিদের নাম হল আর্যভট্ট

১৯) প্রশ্ন:- দান সাগর ও অদ্ভুত সাগর গ্রন্থের রচয়িতা কে ?

উত্তর:- দান সাগর ও অদ্ভুত সাগর গ্রন্থের রচয়িতা হল সেন রাজা বল্লালসেন

২০) প্রশ্ন:- দান সাগর ও অদ্ভুত সাগর গ্রন্থ কোন যুগে রচিত হয়েছিল ?

উত্তর:- দান সাগর ও অদ্ভুত সাগর গ্রন্থ সেনযুগে কোন যুগে রচিত হয়েছিল ।

২১) প্রশ্ন:- মৃচ্ছকটিক কে রচনা করেন ?

উত্তর:- কুষাণযুগের নাট্যকার শূদ্রক মৃচ্ছকটিক রচনা করেন ।

২২) প্রশ্ন:-  স্বপ্নবাসবদত্তা নাটকটি কে রচনা করেন ?

উত্তর:- স্বপ্নবাসবদত্তা নাটকটি ভাস রচনা করেন ।

২৩) প্রশ্ন:-  কাব্যচর্চার জন্য সমুদ্রগুপ্ত কী উপাধিতে ভূষিত হয়েছিল  ?

উত্তর:- কাব্যচর্চার জন্য সমুদ্রগুপ্ত কবিরাজ উপাধিতে ভূষিত হয়েছিল ।

২৪) প্রশ্ন:- গুপ্তযুগের একজন বৌদ্ধ দার্শনিকের নাম কী ?

উত্তর:- গুপ্তযুগের একজন বৌদ্ধ দার্শনিকের নাম হল বসুবন্ধু

২৫) প্রশ্ন:- কোন ভাষা থেকে বাংলা উৎপত্তি হয় ?

উত্তর:- পালযুগের মাগধী অপভ্রংশ ভাষা থেকে বাংলা উৎপত্তি হয় ।

২৬) প্রশ্ন:- লক্ষ্মণসেনের সভাকবির নাম কী  ?

উত্তর:- লক্ষ্মণসেনের সভাকবির নাম জয়দেব

২৭) প্রশ্ন:- গীতগোবিন্দ কে রচনা করেন ?

উত্তর:- লক্ষ্মণসেনের সভাকবির নাম জয়দেব গীতগোবিন্দ রচনা করেন ।

২৮) প্রশ্ন:- পালযুগে বৌদ্ধধর্মের কোন মতবাদ বেশি গুরুত্ব লাভ করেছিল ?

উত্তর:- পালযুগে বৌদ্ধধর্মের সহজযান বা সহজিয়া মতবাদ বেশি গুরুত্ব লাভ করেছিল ।

২৯) প্রশ্ন:- পাল স্থাপত্য শিল্পকলার শ্রেষ্ঠ নিদর্শন কী ?

উত্তর:- পাল স্থাপত্য শিল্পকলার শ্রেষ্ঠ নিদর্শন হল মগধে প্রতিষ্ঠিত বিক্রমশীলা মহাবিহার

৩০) প্রশ্ন:- পাল যুগের একজন ভাস্করের নাম লেখো ?

উত্তর:- পাল যুগের একজন ভাস্করের নাম ধীমান

৩১) প্রশ্ন:- কোন পল্লব রাজার আমলে মহাবলীপুরমের রথমন্দিরগুলি নির্মিত হয়েছিল  ?

উত্তর:- পল্লব রাজা নরসিংহবর্মনের আমলে মহাবলীপুরমের রথমন্দিরগুলি নির্মিত হয়েছিল ।

৩২) প্রশ্ন:- রাষ্ট্রকুট আমলে নির্মিত একটি মন্দিরের নাম লেখো ?

উত্তর:- রাষ্ট্রকুট আমলে নির্মিত একটি মন্দিরের নাম ইলোরার কৈলাসনাথ মন্দির ।

৩৩) প্রশ্ন:-  বিক্রমাঙ্কদেবচরিত গ্রন্থের রচয়িতা কে ?

উত্তর:- বিক্রমাঙ্কদেবচরিত গ্রন্থের রচয়িতা হল বিলহণ

৩৪) প্রশ্ন:- প্রাচীন ভারতের লেখক বিলহণ তাঁর কোন রচনার জন্য খ্যাত  ?

উত্তর:- প্রাচীন ভারতের লেখক বিলহণ তাঁর বিক্রমাঙ্কদেবচরিত গ্রন্থ রচনার জন্য খ্যাত ।

৩৫) প্রশ্ন:- মিতক্ষরা নামে হিন্দু আইনশাস্ত্রের রচয়িতা কে ?

উত্তর:- মিতক্ষরা নামে হিন্দু আইনশাস্ত্রের রচয়িতা হল বিজ্ঞানেশ্বর

৩৬) প্রশ্ন:- বিক্রমশীলা মহাবিহার কার নাম অনুসারে প্রতিষ্ঠিত হয় ?

উত্তর:- বিক্রমশীল উপাধিধারী পাল রাজা ধর্মপালের নাম অনুসারে বিক্রমশীলা মহাবিহার প্রতিষ্ঠিত হয় ।

৩৭) প্রশ্ন:- সন্ধ্যাকর নন্দী কে ছিলেন ?

উত্তর:- সন্ধ্যাকর নন্দী ছিলেন রামচরিত গ্রন্থের লেখক ।

৩৮) প্রশ্ন:- পাল ও সেনযুগে বাংলার শ্রেষ্ঠ বন্দরের নাম কী ?

উত্তর:- পাল ও সেনযুগে বাংলার শ্রেষ্ঠ বন্দরের নাম ছিল তাম্রলিপ্ত

৩৯) প্রশ্ন:- বাংলার কৌলিন্য প্রথার প্রবর্তন কে করেন ?

উত্তর:- সেনরাজা বল্লালসেন বাংলার কৌলিন্য প্রথার প্রবর্তন করেন ।

৪০) প্রশ্ন:- মহাবলীপুরমের রথ কী ?

উত্তর:- মহাবলীপুরমের রথ হল পল্লবযুগে মামল্ল শিল্পরীতি অনুসরণ করে একটি পাথর কেটে নির্মিত রথাকৃতি মন্দির ।

৪১) প্রশ্ন:- দায়ভাগ কে রচনা করেন ?

উত্তর:- জীমুতবাহন দায়ভাগ রচনা করেন ।

৪২) প্রশ্ন:- প্রাচীন ভারতের কবি ভারবী তাঁর কোন রচনার জন্য খ্যাত ?

উত্তর:- কবি ভারবী তাঁর কিরাতার্জুনীয় গ্রন্থ রচনার জন্য খ্যাত ।

৪৩) প্রশ্ন:- চরক কে ছিলেন ?

উত্তর:- চরক ছিলেন কুষাণ সম্রাট প্রথম কনিষ্কের ব্যক্তিগত চিকিৎসক

৪৪) প্রশ্ন:- প্রাচীন ভারতের চিকিৎসাশাস্ত্র সংক্রান্ত প্রথম প্রামাণ্য গ্রন্থ কোনটি ?

উত্তর:- প্রাচীন ভারতের চিকিৎসাশাস্ত্র সংক্রান্ত প্রথম প্রামাণ্য গ্রন্থ হল চরক-সংহিতা

৪৫) প্রশ্ন:- চরক-সংহিতা গ্রন্থের রচয়িতা কে ?

উত্তর:- চরক-সংহিতা গ্রন্থের রচয়িতা হল চরক

৪৬) প্রশ্ন:- ধন্বন্তরী কে ছিলেন  ?

উত্তর:- ধন্বন্তরী ছিলেন গুপ্তযুগের একজন চিকিৎসা বিজ্ঞানী ।

৪৭) প্রশ্ন:-  অদ্বৈতবাদ কে প্রচার করেছিলেন  ?

উত্তর:- জগৎগুরু শঙ্করাচার্য অদ্বৈতবাদ প্রচার করেছিলেন   ।

৪৮) প্রশ্ন:- পালযুগের একটি বিখ্যাত বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম কী ?

উত্তর:- পালযুগের একটি বিখ্যাত বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়

৪৯) প্রশ্ন:- গুপ্তযুগে দুজন শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিকের নাম কী  ?

উত্তর:- গুপ্তযুগে দুজন শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিকের নাম হল আর্যভট্টবরাহমিহির

৫০) প্রশ্ন:-  প্রাচীন ভারতের কোন গ্রন্থে সুর্য ও চন্দ্র গ্রহণের কারণের বিবরণ আছে ?

উত্তর:- সূর্য-সিদ্ধান্ত গ্রন্থে সুর্য ও চন্দ্র গ্রহণের কারণের বিবরণ আছে ।

৫১) প্রশ্ন:-  সূর্য-সিদ্ধান্ত গ্রন্থটি কার লেখা ?

উত্তর:- সূর্য-সিদ্ধান্ত গ্রন্থটি গুপ্তযুগের বিখ্যাত বিজ্ঞানী আর্যভট্টের লেখা  ।

৫২) প্রশ্ন:- পশু চিকিৎসার ওপর গুপ্তযুগে লেখা দুটি গ্রন্থের নাম লেখো ?

উত্তর:- পশু চিকিৎসার ওপর গুপ্তযুগে লেখা দুটি গ্রন্থের নাম হল হস্তায়ুর্বেদ এবং অশ্বশাস্ত্র

*****

Related Items

আর্যদের পরিচয় (Coming of The Aryans)

আর্যদের বসতি বিস্তার, ঋকবেদের আলোকে আর্য জনজীবন, রাজনৈতিক জীবন, সামাজিক জীবন, পোশাক পরিচ্ছদ, সামাজিক কাঠাম, আর্যদের অর্থনৈতিক জীবন, কৃষি ও পশুপালন, ব্যবসাবাণিজ্য, শিল্প , আর্যদের ধর্মজীবন, পরবর্তী বৈদিক যুগে আর্য জনজীবনে পরিবর্তন ...

হরপ্পা বা সিন্ধু সভ্যতার সঙ্গে বৈদিক সভ্যতার সম্পর্ক

সিন্ধু সভ্যতার সঙ্গে বৈদিক যুগের কী সম্পর্ক ছিল, তা বলা কঠিন। অনেকেই মনে করেন আর্যরা সিন্ধু সভ্যতার নির্মাণকর্তা । বিষয়টি বিতর্কিত । কিন্তু উভয় সভ্যতার মধ্যে তফাত এত বেশি যে, দুটি সভ্যতা একই জাতি সৃষ্টি করেছিল বলে মনে হয় না । স্যার জন মার্শাল মনে করেন ...

সমকালীন সভ্যতার সঙ্গে সম্পর্ক

সিন্ধু জনগণ কূপমন্ডূক ছিল না । সমকালীন অন্যান্য সভ্যতা মিশর, ব্যাবিলন ও সুমেরীয় বা মেসোপটেমিয়ার সঙ্গে সিন্ধু জনগণের ঘনিষ্ঠ বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ছিল । সিন্ধু ও সুমেরীয় উভয় সভ্যতাই উন্নত নাগরিক জীবন ও সুখস্বাচ্ছন্দ্যের স্বাক্ষর বহন করে । উভয় অঞ্চলের মানুষ ...

সিন্ধু বা হরপ্পা সভ্যতা (The Indus Valley Civilisation)

১৯২২ খ্রিস্টাব্দে বাঙালি প্রত্নতত্ত্ববিদ রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় তাম্র-প্রস্তর যুগের সভ্যতার সবচেয়ে উন্নত নিদর্শন আবিষ্কার করেন । তিনি জন মার্শালের তত্ত্বাবধানে সিন্ধু প্রদেশের লারকানা জেলায় মহেন-জো-দরোতে মাটি খুঁড়ে ভারতীয় সভ্যতার উন্মেষকে কয়েক হাজার বছর পিছিয়ে দেন ...

ধাতুর আবিষ্কার ও তাম্রযুগ

নব্য প্রস্তর যুগের অবসান হওয়ার পর ধাতুর ব্যবহার শুরু হয় । তবে কোথায় নব্যপ্রস্তর যুগের অবসান আর কোথায় ধাতব যুগের সূত্রপাত তা সঠিক ভাবে বলা যায় না । নব্যপ্রস্তর যুগ থেকে ধাতব যুগের উত্তরণ হয়েছিল খুব ধীরে ধীরে । ধাতুর ব্যবহার ভারতের সর্বত্র একসঙ্গে হয়নি । উত্তর ভারতে প্রস্তর ...