ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর : ভারতীয় সভ্যতার বিবর্তন

Submitted by avimanyu pramanik on Tue, 02/21/2012 - 17:31

ভারতীয় সভ্যতার বিবর্তন

ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর (Short questions and answers)

১) প্রশ্ন:-  মেহেরগড় সভ্যতার একজন আবিষ্কারকের নাম লেখো ?

উত্তর:-  বিখ্যাত ফরাসি প্রত্নতত্ত্ববিদ জেন ফ্রাঁসোয়া জারেজ মেহেরগড় সভ্যতা আবিষ্কার করেন ।

২) প্রশ্ন:-  মেহেরগড় সভ্যতা কবে আবিষ্কৃত হয় ?

উত্তর:- মেহেরগড় সভ্যতা ১৯৭৪ সালে আবিষ্কৃত হয় ।

৩) প্রশ্ন:-  মেহেরগড় সভ্যতা কোথায় অবস্থিত ?

উত্তর:-  বর্তমান পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে ও বেলুচিস্তানের মধ্যবর্তী স্থানে -- অর্থাৎ বোলান গিরিপথের কাছে ও কোয়েটা শহর থেকে ১৫০ কি.মি. দূরে মেহেরগড় সভ্যতা অবস্থিত ছিল ।

৪) প্রশ্ন:-  মেহেরগড় সভ্যতাটি ভারতের কোন প্রাক ঐতিহাসিক যুগের সভ্যতার নিদর্শন ?

উত্তর:- মেহেরগড় সভ্যতা ভারতের নতুন প্রস্তর যুগের সমসাময়িক যুগের সভ্যতার নিদর্শন ।

৫) প্রশ্ন:- ভারতীয় সভ্যতা কত প্রাচীন ?

উত্তর:- ভারতীয় সভ্যতা প্রায় ৮৫০০ বছরের  প্রাচীন ।

৬) প্রশ্ন:-  ভারতের কোন কোন স্থানে প্রাচীন প্রস্তরযুগের নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে ?

উত্তর:- ভারতের পশ্চিম পাঞ্জাব ও দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু অঞ্চলে প্রাচীন প্রস্তরযুগের নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে ।

৭) প্রশ্ন:-  ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতার নাম কী ?

উত্তর:- ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতার নাম মেহেরগড় সভ্যতা

৮) প্রশ্ন:-  মেহেরগড় সভ্যতা কোন যুগের সভ্যতা ?

উত্তর:-  মেহেরগড় সভ্যতা নতুন প্রস্তর যুগের সভ্যতা ।

৯) প্রশ্ন:-  হরপ্পা সভ্যতা ভারতের কোন প্রাক ঐতিহাসিক যুগের সভ্যতার নিদর্শন ?

উত্তর:- হরপ্পা সভ্যতা ভারতের তাম্রপ্রস্তর যুগের সমসাময়িক যুগের সভ্যতার নিদর্শন ।

১০) প্রশ্ন:-  মেহেরগড় সভ্যতা কত দূর বিস্তৃত ছিল ?

উত্তর:-  বর্তমান পাকিস্তানের অন্তর্গত বালুচিস্তানের জোব নদী থেকে পশ্চিম ভারতের সিন্ধু নদ পর্যন্ত মেহেরগড় সভ্যতা  বিস্তৃত ছিল ।

১১) প্রশ্ন:- পশুপালনের ওপর ভিত্তি করে ভারতবর্ষের কোন সভ্যতা গড়ে উঠেছিল ?

উত্তর:- পশুপালনের ওপর ভিত্তি করে ভারতবর্ষের মেহেরগড় সভ্যতা গড়ে উঠেছিল ।

১২) প্রশ্ন:-  মেহেরগড় সভ্যতার প্রকৃতি কী ধরনের ছিল ?

উত্তর:- মেহেরগড় সভ্যতা ছিল কৃষিকেন্দ্রিক  ।

১৩) প্রশ্ন:-  বৈদিক সভ্যতা ভারতের কোন প্রাক ঐতিহাসিক যুগের সভ্যতার নিদর্শন ?

উত্তর:-  বৈদিক সভ্যতা ছিল লৌহযুগের সমসাময়িক যুগের সভ্যতার নিদর্শন ।

১৪) প্রশ্ন:-  মেহেরগড় সভ্যতার  ৫টি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রের নাম করো ?

উত্তর:- মেহেরগড় সভ্যতার  ৫টি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রের নাম হল —(ক) মেহেরগড়,  (খ) কিলে গুল মহম্মদ, (গ) কোটদিজি, (ঘ) গুমলা, (ঙ)  মুন্ডিগাক ।

১৫) প্রশ্ন:- সিন্ধু সভ্যতার নিদর্শন কে  আবিস্কার করেন ?

উত্তর:- বাঙালি প্রত্নতত্ত্ববিদ রাখালদাস বন্দোপাধ্যায় সিন্ধু সভ্যতা নিদর্শন আবিস্কার করেন ।

১৬) প্রশ্ন:-  হরপ্পা সভ্যতার যন্ত্রপাতি কোন ধাতুতে নির্মিত  ?

উত্তর:- হরপ্পা সভ্যতার যন্ত্রপাতি তামা ও টিন -এর সংমিশ্রণে প্রস্তুত ব্রোঞ্জ ধাতু দিয়ে নির্মিত ।

১৭) প্রশ্ন:-  হরপ্পা সভ্যতা কী ধরনের সভ্যতা ?

উত্তর:- হরপ্পা সভ্যতা ছিল একটি নগর কেন্দ্রিক সভ্যতা ।

১৮) প্রশ্ন:-  হরপ্পা সভ্যতার মূল ভিত্তি কী ছিল ?

উত্তর:- প্রকৃতিগত ভাবে হরপ্পা সভ্যতা একটি নগর কেন্দ্রিক সভ্যতা হলেও হরপ্পা সভ্যতার মূল ভিত্তি ছিল কৃষি ও পশুপালন

১৯) প্রশ্ন:- হরপ্পা সভ্যতার মানুষেরা কোন পশুর ব্যবহার জানত না ?

উত্তর:- হরপ্পা সভ্যতার মানুষেরা ঘোড়ার ব্যবহার জানত না ।

২০) প্রশ্ন:- হরপ্পা সভ্যতা কত দিন আগে গড়ে উঠেছিল ?

উত্তর:- খ্রিস্টপূর্ব প্রায় তিন হাজার বৎসর আগে হরপ্পা সভ্যতা গড়ে উঠেছিল ।

২১) প্রশ্ন:-  ভারতবর্ষে প্রাক আর্যযুগের প্রাচীনতম বন্দরের নিদর্শন কোথায় পাওয়া গেছে ?

উত্তর:- গুজরাটের লোথাল-এ প্রাক আর্যযুগের প্রাচীনতম বন্দরের নিদর্শন কোথায় পাওয়া গেছে ।

২২) প্রশ্ন:-  ভারতের প্রথম নগরায়নের চিহ্ন কোন অঞ্চলের ধ্বংসাবশেষ থেকে পাওয়া গেছে ?

উত্তর:- হরপ্পা-মহেঞ্জোদারো অঞ্চলের ধ্বংসাবশেষ থেকে ভারতের প্রথম নগরায়নের চিহ্ন পাওয়া গেছে ।

২৩) প্রশ্ন:-  ভারতের প্রথম নগরায়নের যুগের একটি শহরের নাম লেখো ?

উত্তর:-  ভারতের প্রথম নগরায়নের যুগের একটি শহরের নাম মহেঞ্জোদারো

২৪) প্রশ্ন:-  হরপ্পা সভ্যতা কবে আবিস্কৃত হয় ?

উত্তর:- হরপ্পা সভ্যতা ১৯২৪ সালে আবিস্কৃত হয় ।

২৫) প্রশ্ন:-  হরপ্পা সভ্যতার  কালসীমা লেখো ?

উত্তর:-  হরপ্পা সভ্যতার কালসীমা হল ৩,০০০ - ১,৫০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দ

২৬) প্রশ্ন:- সিন্ধু সভ্যতা আবিস্কারের সঙ্গে জড়িত একজন প্রত্নতাত্ত্বিকের নাম লেখো ?

উত্তর:- বাঙালি প্রত্নতত্ত্ববিদ রাখালদাস বন্দোপাধ্যায় সিন্ধু সভ্যতা আবিস্কার করেন ।

২৭) প্রশ্ন:- ভারতবর্ষের প্রাচীনতম বন্দর কোনটি ?

উত্তর:- ভারতবর্ষেরর প্রাচীনতম বন্দরের নাম গুজরাটের লোথাল

২৮) প্রশ্ন:- রাজস্থানের কোন অঞ্চলে সিন্ধু সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া গেছে ?

উত্তর:- রাজস্থানের কালিবঙ্গান অঞ্চলে সিন্ধু সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া গেছে ।

২৯) প্রশ্ন:- কোন বন্দরের মাধ্যমে হরপ্পা-সভ্যতার বৈদেশিক বাণিজ্য চলত ?

উত্তর:- লোথাল বন্দরের মাধ্যমে হরপ্পা-সভ্যতার বৈদেশিক বাণিজ্য চলত ।

৩০) প্রশ্ন:- হরপ্পা-সভ্যতার লিপির নাম কি ?

উত্তর:- হরপ্পা-সভ্যতার লিপির নাম সিন্ধুলিপি

৩১) প্রশ্ন:- হরপ্পা সভ্যতা কোন সভ্যতার সমসাময়িক ?

উত্তর:- হরপ্পা সভ্যতা মেসোপটেমিয়া এবং সুমেরীয় সভ্যতার সমসাময়িক ।

৩২) প্রশ্ন:- হরপ্পা কোথায় অবস্থিত ?

উত্তর:- হরপ্পা পাকিস্তানের পাঞ্জাব রাজ্যের মন্টগোমারি জেলায় অবস্থিত  ।

৩৩) প্রশ্ন:-  প্রাচীন ভারতে কারা আর্য নামে পরিচিত ?

উত্তর:- আর্যরা ছিল ভারতের বহিরগত দীর্ঘকায় গৌরবর্ণ ও সুদর্শন এক জাতি-- যাদের আদি বাসস্থান ছিল মধ্য এশিয়া অথবা রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চল কিংবা ইউরোপ মহাদেশের অস্ট্রিয়া , হাঙ্গেরী অথবা চেকোস্লোভাকিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ।

৩৪) প্রশ্ন:- আর্যরা প্রথম কবে ভারতে আসে ?

উত্তর:- আনুমানিক ১,৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে আর্যরা প্রথম ভারতে আসে।

৩৫) প্রশ্ন:- আর্যরা প্রথম ভারতে কোথায় বসতি স্থাপন করে ?

উত্তর:- উত্তর ভারতের সিন্ধু নদের পাঁচটি উপনদী, সরস্বতী এবং উচ্চ গাঙ্গেয় উপত্যকায় সপ্তসিন্ধু অঞ্চলে আর্যরা প্রথম ভারতে বসতি স্থাপন করে ।

৩৬) প্রশ্ন:- আর্যদের স্বর্ণমুদ্রার নাম কী ?

উত্তর:- আর্যদের স্বর্ণমুদ্রার নাম হল নিষ্ক

৩৭) প্রশ্ন:- আর্যদের প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম কী ?

উত্তর:- আর্যদের প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম বেদ

৩৮) প্রশ্ন:- ভারতের প্রাচীনতম সাহিত্য কোনটি ?

উত্তর:- ভারতের প্রাচীনতম সাহিত্য হল বেদ

৩৯) প্রশ্ন:- বিশ্বের দরবারে হরপ্পা সভ্যতার প্রথম অবদানটির নাম লেখো ?

উত্তর:- বিশ্বের দরবারে হরপ্পা সভ্যতার প্রথম অবদান হল উন্নত নগর পরিকল্পনা

৪০) প্রশ্ন:- কোন সভ্যতা হরপ্পা সংস্কৃতির পথিকৃত ছিল ?

উত্তর:- মেহেরগড় সভ্যতা হরপ্পা সংস্কৃতির পথিকৃত ছিল।

৪১) প্রশ্ন:-  মহেঞ্জোদরো কোথায় অবস্থিত ?

উত্তর:- বর্তমান পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের লারকানা জেলায় , সিন্ধু নদের পশ্চিম তীরে মহেঞ্জোদরো অবস্থিত ।

৪২) প্রশ্ন:- মহেন-জো-দরো শব্দের অর্থ কী ?

উত্তর:- মহেন-জো-দরো শব্দের অর্থ হল মৃতের স্তূপ

৪৩) প্রশ্ন:- প্রাচীন ভারতের দুটি নগরের নাম লেখো ?

উত্তর:- প্রাচীন ভারতের দুটি নগরের নাম হরপ্পা ও লোথাল

৪৪) প্রশ্ন:- বেদের অপর নাম কী ?

উত্তর:- বেদের অপর নাম শ্রুতি

৪৫) প্রশ্ন:- বৈদিকযুগের প্রাচীনতম গ্রন্থ কোনটি ?

উত্তর:- বৈদিকযুগের প্রাচীনতম গ্রন্থ নাম ঋকবেদ

৪৬) প্রশ্ন:- ঋকবৈদিক যুগের প্রধান দেবতার নাম কী ?

উত্তর:- ঋকবৈদিক যুগের প্রধান দেবতার নাম অগ্নি

৪৭) প্রশ্ন:-  বেদের শেষ ভাগের নাম কী ?

উত্তর:- বেদের শেষ ভাগের নাম  অথর্ব

৪৮) প্রশ্ন:-  বৈদিক সাহিত্যের কোন অংশকে বেদান্ত বলা হয় ?

উত্তর:- উপনিষদ কে বৈদিক সাহিত্যের বেদান্ত বলা হয় ।

৪৯) প্রশ্ন:-  বেদ কবে রচিত হয় ?

উত্তর:- খ্রিষ্টপূর্ব ১,৫০০ - ১০০০ অব্দের মধ্যে বেদ রচনা করা হয় বলে অনুমান করা হয়ে থাকে ।

৫০) প্রশ্ন:- বেদের কয়টি ভাগ আছে ও কী কী  ?

উত্তর:- বেদের চারটি ভাগ আছে - যথা ঋক,সাম,যজু, ও অথর্ব ।

৫১) প্রশ্ন:- প্রত্যেক বেদের কয়টি অংশ ও কী কী ?

উত্তর:- প্রত্যেক বেদের চারটি অংশ , যথা: সংহিতা , ব্রাহ্মণ, আরন্যক এবং উপনিষদ বা বেদান্ত ।

৫২) প্রশ্ন:-  কী ভাবে বেদ কথাটির উৎপত্তি হয় ?

উত্তর:- বিদ শব্দ থেকে বেদ কথাটির উৎপত্তি হয় , বিদ শব্দের অর্থ হল জ্ঞান ।

৫৩) প্রশ্ন:-  গৃহপতি বা কুলপা কাকে বলা হত ?

উত্তর:- বৈদিক যুগের কোনো পরিবারের কর্তাকে গৃহপতি বা কুলপা বলা হত ।

৫৪) প্রশ্ন:-  বৈদিক যুগের কয়েক জন বিদুষী নারীর নাম করো ?

উত্তর:- বৈদিক যুগের কয়েক জন বিদুষী নারীর নাম হল অন্ডালা, ঘোষ, মমতা, লোপামুদ্রা প্রভৃতি ।

৫৫) প্রশ্ন:- আর্যদের চতুরাশ্রমের প্রথম আশ্রমের নাম কী ?

উত্তর:- আর্যদের চতুরাশ্রমের প্রথম আশ্রমের নাম ব্রহ্মচর্য

৫৬) প্রশ্ন:- আর্যদের চতুরাশ্রমের সর্বশেষ আশ্রমের নাম কী ?

উত্তর:- আর্যদের চতুরাশ্রমের সর্বশেষ আশ্রমের নাম সন্ন্যাসাশ্রম

৫৭) প্রশ্ন:- বৈদিক যুগের প্রচলিত মুদ্রার নাম কী ?

উত্তর:- বৈদিক যুগের প্রচলিত মুদ্রার নাম 'নিষ্ক' ও 'মনা'

৫৮) প্রশ্ন:-  ঋকবৈদিক যুগের সমাজে কৃষক ছাড়াও অপর কয়েকটি বৃত্তিজীবি মানুষের নাম করো ?

উত্তর:- ঋকবৈদিক যুগের সমাজে কৃষক ছাড়াও অপর কয়েকটি বৃত্তিজীবি মানুষের নাম হল —সূত্রধর, চর্মকার, ছুতোর, তাঁতি, কুমোর, প্রভৃতি ।

৫৯) প্রশ্ন:- বৈদিক যুগে বিনিময়ের প্রধান মাধ্যম কী ছিল ?

উত্তর:- বৈদিক যুগে বিনিময়ের প্রধান মাধ্যম ছিল গোরু

৬০) প্রশ্ন:-  আর্যদের বিনিময় প্রথার প্রধান মাধ্যম কী ছিল ?

উত্তর:- আর্যদের বিনিময় প্রথার প্রধান মাধ্যম ছিল গোরু

৬১) প্রশ্ন:- বৈদিক সভ্যতা কী ?

উত্তর:- বেদকে ভিত্তি করে যে সভ্যতা গড়ে ওঠেছে তাই বৈদিক সভ্যতা ।

৬২) প্রশ্ন:- বৈদিক সভ্যতার স্রষ্টা কারা  ?

উত্তর:- বৈদিক সভ্যতার স্রষ্টা হল আর্যরা

৬৩) প্রশ্ন:- ঋকবেদে বলি শব্দটি কী অর্থে ব্যবহৃত হত ?

উত্তর:- ঋকবেদে বলি শব্দটি কর নেওয়া অর্থে ব্যবহৃত হত ।

৬৪) প্রশ্ন:- উপনিষদ কী ?

উত্তর:- উপনিষদ হল বেদের একটি অন্যতম দার্শনিক বিভাগ

৬৫) প্রশ্ন:-   চতুর্বেদ ছাড়াও অপর একটি বৈদিক সাহিত্যের নাম করো ?

উত্তর:- চতুর্বেদ ছাড়াও অপর একটি বৈদিক সাহিত্যের নাম বেদাঙ্গ

৬৬) প্রশ্ন:- বৈদিক যুগের দুটি জনসভার নাম করো যারা রাজশক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারত ?

উত্তর:- সভা ও সমিতি -নামে দুটি জনসভা রাজশক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারত ।

৬৭) প্রশ্ন:- বৈদিক আর্যদের প্রধান ভাষা কী ছিল ?

উত্তর:- বৈদিক আর্যদের প্রধান ভাষা ছিল সংস্কৃত

৬৮) প্রশ্ন:- দশরাজার যুদ্ধ কাহিনী কোথায় লিপিবদ্ধ আছে ?

উত্তর:-দশরাজার যুদ্ধ কাহিনী ঋকবেদে লিপিবদ্ধ আছে।

৬৯) প্রশ্ন:- বৈদিক যুগের প্রধান উপাস্য দেবতা কারা ছিলেন  ?

উত্তর:- বৈদিক যুগের প্রধান উপাস্য দেবতা ছিলেন পৃথিবী, মরুৎ, রুদ্র, অগ্নি, উষা, ইন্দ্র, সূর্য প্রভৃতি ।

৭০) প্রশ্ন:- পরবর্তী বৈদিকযুগের দু-জন বিদুষী নারীর নাম করো ?

উত্তর:- পরবর্তী বৈদিকযুগের দু-জন বিদুষী নারীর নাম হল মৈত্রেয়ী ও গার্গী

৭১) প্রশ্ন:- পরবর্তী বৈদিকযুগে উদ্ভুত দুটি নগরের নাম করো ?

উত্তর:- পরবর্তী বৈদিকযুগে উদ্ভুত দুটি নগরের নাম হস্তিনাপুর ও কৌশাম্বী

৭২) প্রশ্ন:- প্রাচীন ভারতের  কোন যুগে প্রথম গিল্ড বা ব্যবসায়ী সংঘ গড়ে ওঠে ?

উত্তর:- প্রাচীন ভারতের পরবর্তী বৈদিক যুগে প্রথম গিল্ড বা ব্যবসায়ী সংঘ গড়ে ওঠে ।

৭৩) প্রশ্ন:- বৈদিক যুগের শেষের দিকে ধনশালী বণিক শ্রেণীকে কী বলা হত ?

উত্তর:- বৈদিক যুগের শেষের দিকে ধনশালী বণিক শ্রেণীকে শ্রেষ্ঠী বা সেটঠি বলা হত ।

৭৪) প্রশ্ন:- গৃহপতি বলতে কী বোঝো  ?

উত্তর:- বৈদিক পরবর্তী যুগে গ্রামাঞ্চলে গৃহপতি নামে একটি অত্যন্ত বিত্তশালী কৃষক সম্প্রদায়ের উৎপত্তি হয়েছিল এবং এরা সাধারণত বৈশ্য শ্রেণীভুক্ত ছিল ।

৭৫) প্রশ্ন:- শ্রেষ্ঠী বা সেটঠি বলতে কী বোঝো  ?

উত্তর:- বৈদিক পরবর্তী যুগে বৈশ্য সম্প্রদায়ের মধ্যে অত্যন্ত বিত্তশালী বণিক শ্রেণীর উৎপত্তি হয়ে এবং এরা শ্রেষ্ঠী বা সেটঠি নামে পরিচিত ।

৭৬) প্রশ্ন:-  কার রাজত্বকালে দ্বিতীয় বৌদ্ধমহাসভা আহুত হয় ?

উত্তর:- কালাশোকের রাজত্বকালে দ্বিতীয় বৌদ্ধমহাসভা আহুত হয় ।

৭৭) প্রশ্ন:- কার রাজত্বকালে তৃতীয় বৌদ্ধমহাসভা আহুত হয় ?

উত্তর:- অশোকের রাজত্বকালে তৃতীয় বৌদ্ধমহাসভা আহুত হয় ।

৭৮) প্রশ্ন:- বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম কী ?

উত্তর:- বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম ত্রিপিটক ( বিনয় পিটক, সুত্ত পিটক, অভিধর্ম পিটক ) ।

৭৯) প্রশ্ন:-  বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ ত্রিপিটক কোন ভাষায় লেখা ?

উত্তর:- বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ ত্রিপিটক পালি ভাষায় লেখা ।

৮০) প্রশ্ন:- জাতক কী ?

উত্তর:- বৌদ্ধ সাহিত্যের একটি বিশিষ্ট গ্রন্থ , এতে গৌতম বুদ্ধের পূর্ব জন্মের কাহিনী লিপিবদ্ধ রয়েছে ।

৮১) প্রশ্ন:-  অষ্টাঙ্গিক মার্গের অপর নাম কী ?

উত্তর:- অষ্টাঙ্গিক মার্গের অপর নাম মঝঝিম বা মধ্যপন্থা

৮২) প্রশ্ন:- হরপ্পা সভ্যতার সঙ্গে বৈদিক সভ্যতার প্রধান পার্থক্য কী ?

উত্তর:- হরপ্পা সভ্যতা প্রধানত নগরকেন্দ্রিক ও বৈদিক সভ্যতা প্রধানত গ্রামকেন্দ্রিক

৮৩) প্রশ্ন:- প্রথম বৌদ্ধমহাসভা কোথায় আহুত হয় ?

উত্তর:- অজাতশত্রুর রাজত্বকালে রাজগৃহে প্রথম বৌদ্ধমহাসভা আহুত হয় ।

৮৪) প্রশ্ন:- দ্বিতীয় বৌদ্ধমহাসভা কোথায় আহুত হয়      ?

উত্তর:- কালাশোকের রাজত্বকালে বৈশালীতে দ্বিতীয় বৌদ্ধমহাসভা আহুত হয় ।

৮৫) প্রশ্ন:- তৃতীয় বৌদ্ধমহাসভা কোথায় আহুত হয়      ?

উত্তর:- অশোকের রাজত্বকালে পাটালিপুত্রে তৃতীয় বৌদ্ধমহাসভা আহুত হয় ।

৮৬) প্রশ্ন:-  কার রাজত্বকালে প্রথম বৌদ্ধমহাসভা আহুত হয় ?

উত্তর:- অজাতশত্রুর রাজত্বকালে প্রথম বৌদ্ধমহাসভা আহুত হয় ।

৮৭) প্রশ্ন:-  বৌদ্ধধর্মে জাগতিক কামনা-বাসনার অবসানের জন্য কোন পথের সন্ধান দেওয়া হয়েছে ?

উত্তর:- বৌদ্ধধর্মে জাগতিক কামনা-বাসনার অবসানের জন্য অষ্টাঙ্গিক মার্গের কথা বলা  হয়েছে ।

৮৮) প্রশ্ন:- কৈবল্যের অর্থ কী ?

উত্তর:- কৈবল্যের অর্থ হল পরম বা বিশুদ্ধ জ্ঞান, যা লাভ করলে সুখ-দুঃখ ও পঞ্চরিপুকে জয় করা যায় ।

৮৯) প্রশ্ন:- আর্যসত্য সম্বন্ধে কে বলেছিলেন ?

উত্তর:- বুদ্ধদেব আর্যসত্য সম্বন্ধে বলেছিলেন ।

৯০) প্রশ্ন:- জৈন ধর্মের মূলনীতি কী ?

উত্তর:- জৈন ধর্মের মূলনীতি হল অহিংসা ।

৯১) প্রশ্ন:- প্রথম জৈন গ্রন্থের নাম কী ?

উত্তর:- প্রথম জৈন গ্রন্থের নাম কল্পসূত্র

৯২) প্রশ্ন:- জৈনদের প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম কী ?

উত্তর:- জৈনদের প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম দ্বাদশ অঙ্গ

৯৩) প্রশ্ন:- প্রথম জৈন গ্রন্থ কল্পসূত্র কে রচনা করেন  ?

উত্তর:- প্রথম জৈন গ্রন্থ কল্পসূত্র রচনা করেন জৈন শ্রমন ভদ্রবাহু ।

৯৪) প্রশ্ন:- তীর্থঙ্কর শব্দের অর্থ কী ?

উত্তর:- জৈনদের প্রধান ধর্মগুরুর নাম তীর্থঙ্কর

৯৫) প্রশ্ন:- পার্শ্বনাথ কে ছিলেন ?

উত্তর:- পার্শ্বনাথ ছিলেন জৈনদের তেইশতম তীর্থঙ্কর

৯৬) প্রশ্ন:- সর্বপ্রথম তীর্থঙ্করের নাম কী ?

উত্তর:- সর্বপ্রথম তীর্থঙ্করের নাম ঋষভদেব বা আদিনাথ

৯৭) প্রশ্ন:- জৈনদের শেষ তীর্থঙ্করের নাম কী ?

উত্তর:- জৈনদের শেষ তীর্থঙ্করের নাম মহাবীর ( চব্বিশতম তীর্থঙ্কর ) ।

৯৮) প্রশ্ন:-  জৈন ধর্মের উৎপত্তির সময় কাল থেকে মহাবীর পর্যন্ত কতজন তীর্থঙ্কর ছিলেন ?

উত্তর:- জৈন ধর্মের উৎপত্তির সময় কাল থেকে মহাবীর পর্যন্ত সর্বমোট চব্বিশ জন তীর্থঙ্কর ছিলেন ।

৯৯) প্রশ্ন:- পার্শ্বনাথ প্রচারিত চতুর্যামের সাথে মহাবীর কোন নতুন আদর্শ যোগ করেন ?

উত্তর:- পার্শ্বনাথ প্রচারিত চতুর্যামের সাথে মহাবীর অন্যতম আদর্শ হিসাবে সূচিতা বা ব্রহ্মচর্য আদর্শ যোগ করেন ।

১০০) প্রশ্ন:- জৈনদের দুটি প্রধান সম্প্রদায়ের নাম কী ?

উত্তর:- জৈনদের দুটি প্রধান সম্প্রদায়ের নাম শ্বেতাম্বরদিগম্বর

১০১) প্রশ্ন:- নিগম কথার অর্থ কী ?

উত্তর:- নিগম কথার অর্থ বণিকসংঘ

*****

Related Items

মুঘল যুগে ওলন্দাজ বণিকদের কার্যকলাপ

সপ্তদশ শতকের গোড়া থেকেই ওলন্দাজ ও ইংরেজ বণিকেরা এশীয় বাণিজ্যে অংশগ্রহণ করতে থাকে । গোড়ার দিকে এরা পর্তুগিজদের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে ইন্দোনেশিয়া ও পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী ছিল । কিন্তু এরা অচিরেই বুঝতে পারে যে, মশলা ...

মুঘল যুগে পর্তুগিজ বণিকদের কার্যকলাপ

১৪৯৭-৯৮ খ্রীষ্টাব্দে যখন পর্তুগিজ নাবিক ভাস্কো-দা-গামা মালাবার উপকূলে কালিকট বন্দরে অবতরণ করেন, তখন সেই ঘটনার গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনুধাবন করার ক্ষমতা ভারতবাসীর ছিল না । ভাস্কো-দা-গামা মালাবার উপকূলে কালিকট বন্দরে অবতরণ করার পর থেকেই ইউরোপের সঙ্গে ...

মুঘল যুগে ভারতের বহির্বাণিজ্য

বহির্বিশ্বে ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের বাণিজ্যিক লেনদেন ছিল । বিদেশী বণিকরা যেমন ব্যবসার জন্য ভারতে আসত, তেমনই ভারতীয় বণিকেরা, বিশেষত গুজরাটিরা বহির্বাণিজ্যে অংশগ্রহণ করত । ভারত থেকে বস্ত্র, গোল মরিচ, নীল ও অন্যান্য দ্রব্যসামগ্রী রপ্তানি হত । ভারতে আমদানি হত ...

মুঘল যুগে ভারতের আভ্যন্তরীণ বাণিজ্য

মুঘল আমলে দেশে শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হওয়ায়, রাস্তাঘাট ও সরাইখানা নির্মাণ এবং পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে আভ্যন্তরীণ ব্যবসাবাণিজ্যের প্রসার ঘটেছিল । তা ছাড়া উন্নত মুদ্রানীতি এবং নগদে বেতন প্রদানের ফলে একদিকে যেমন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় টাকা ...

মুঘল যুগে ভারতের অকৃষি নির্ভর শিল্প

অকৃষি শিল্প উৎপাদনের একটা বড় অংশ ছিল বিলাসদ্রব্য । সাধারণ মানুষের চাহিদা কম ছিল । বিলাসদ্রব্য নির্মাণের জন্য সরকারি কারখানা বা কর্মশালা ছিল । তবু তার বেশির ভাগ তৈরি হত স্বাধীন কারিগর ও শিল্পীর বাড়িতে । রান্নাবান্না ও ঘর গেরস্থালীর কাজে লোহা ও তামার তৈরি জিনিসপত্র ...