পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ু

Submitted by avimanyu pramanik on Sat, 11/16/2013 - 22:16

পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ু : উত্তরে হিমালয় পর্বত থেকে দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের বিস্তার এবং ভূমিরূপের নানান বৈচিত্র্য এই রাজ্যের বিভিন্ন অংশের বায়ুর উষ্ণতা, বায়ু প্রবাহ ও বৃষ্টিপাতের পরিমাণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য তারতম্য ঘটিয়েছে । পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিক থেকে যতই উত্তর দিকে যাওয়া যায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ততই বাড়তে থাকে এবং তাপমাত্রা কমতে থাকে । পশ্চিমবঙ্গের উত্তরে দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি জেলার পার্বত্য অঞ্চল ছাড়া সমস্ত পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ু সাধারণভাবে উষ্ণ ও আর্দ্র এবং ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ুর দ্বারা প্রভাবিত । জলবায়ু অঞ্চল হিসাবে, পশ্চিমবঙ্গ গ্রীষ্মপ্রধান উষ্ণ মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলের অন্তর্গত ।

*****

Related Items

অধঃক্ষেপণ (Precipitation)

অধঃক্ষেপণ (Precipitation) : সূর্যের উত্তাপে ভূপৃষ্ঠের সমুদ্র, হ্রদ, নদী, পুকুর, খাল, বিল প্রভৃতি জলরাশি থেকে জল জলীয়বাষ্পে পরিণত হয় । জলীয়বাষ্পপূর্ণ বাতাস হাল্কা হওয়ার দরুন ঊর্ধগামী হয় । উপরের বায়ুমণ্ডলের প্রবল শৈত্যের সংস্পর্শে এলে ঘনিভবনের ফলে জলীয়বাষ

ঘনীভবন (Condensation)

ঘনীভবন (Condensation) : যে প্রক্রিয়ায় বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্প জলকণায় পরিণত হয়, তাকে ঘনীভবন বলে । আর্দ্র বায়ুর উষ্ণতা শিশিরাঙ্কের নীচে নেমে গেলে বায়ুমণ্ডলে অবস্থিত জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলকণায় পরিণত হয় । এই জলকণাসমূহ বিভিন্ন

বায়ুর আর্দ্রতা (Humidity)

বায়ুর আর্দ্রতা (Humidity) : বায়ুতে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতিকে বা জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাসকে বায়ুর আর্দ্রতা বলে । বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকলে তাকে আর্দ্র বায়ু এবং কম থাকলে তাকে শুষ্ক বায়ু বলে । বায়ুর জলীয় বাষ্প ধারণ ক্ষমতা প্রধানত বায়ুর উষ

বায়ুর আর্দ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (Humidity and Precipitation)

বায়ুর আর্দ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (Humidity and Precipitation):

বায়ুপ্রবাহের পরিমাপ

বায়ুপ্রবাহের পরিমাপ : বায়ু কোনদিক থেকে প্রবাহিত হচ্ছে, তা বাতপতাকার (Windvane)-এর সাহায্যে সহজেই নির্ণয় করা যায় । অ্যানিমোমিটার (Anemometer) নামক যন্ত্রের সাহায্যে বায়ুপ্রবাহের গতিবেগ পরিমাপ করা হয় । বায়ুপ্রবাহের গতিবেগ মাপার একক হল নট (১ নট = ১.৮ ক