এশিয়ার অন্তর্বাহিনী নদীগুলি

Submitted by avimanyu pramanik on Tue, 12/16/2014 - 13:08

এশিয়ার অন্তর্বাহিনী নদীগুলির গতিপথ : যেসব নদীর প্রবাহ পথ কোন দেশ বা মহাদেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ অর্থাৎ যেসব নদী কোন দেশ বা মহাদেশের স্থলভাগের বাহিরে কোনো সাগর বা জলভাগে না পড়ে সেই দেশ বা মহাদেশের স্থলভাগের মধ্যেই কোনো হ্রদ বা জলাশয়ে পতিত হয়, অথবা স্থলভাগেই বিলীন হয়ে যায়, সেইসব নদীকে অন্তর্বাহিনী নদী বলে । এশিয়া মহাদেশের কয়েকটি নদী মূল ভূভাগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ, এরা কোনো কোনো ক্ষেত্রে মধ্যভাগের কোনো কোনো হ্রদে গিয়ে পড়েছে, কখনও বা আবার মাঝপথেই শুকিয়ে গিয়েছে । তাই এদের অন্তর্বাহিনী নদী বলা হয় ।

(১) আমুদরিয়া : আমুদরিয়া নদীটি হিন্দুকুশ পর্বতের কাছ থেকে উৎপন্ন হয়ে উত্তর-পশ্চিমে প্রবাহিত হয়ে আরল সাগরে (হ্রদ) পতিত হয়েছে । এর দৈর্ঘ্য ২,৪০০ কিলোমিটার ।

(২) সিরদরিয়া : সিরদরিয়া নদীটি টিয়েনসান পর্বত থেকে উৎপন্ন হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে আরল সাগরে (হ্রদে) পতিত হয়েছে । এর দৈর্ঘ্য ২,৪৩০ কিলোমিটার ।

(৩) ইউরাল : ইউরাল নদীটি ইউরাল পর্বত থেকে উৎপন্ন হয়ে কিছুদূর পর্যন্ত এশিয়া ও ইউরোপের সীমা নির্দেশ করে পরে দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে কাস্পিয়ান সাগরে (হ্রদে) পতিত হয়েছে । এর দৈর্ঘ্য ২,২৪০ কিলোমিটার ।

(৪) টারিম : টারিম নদীটি তিব্বতের পশ্চিম দিক থেকে উৎপন্ন হয়ে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে লপনর হ্রদে পতিত হয়েছে । এর দৈর্ঘ্য ২,৭২০ কিলোমিটার ।

(৫) হেলমন্দ : হেলমন্দ নদীটি হিন্দুকুশ পর্বত থেকে উৎপন্ন হয়ে আফগানিস্তান ও ইরানের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে হেলমন্দ হ্রদে পতিত হয়েছে ।

*****

Related Items

মেসোস্ফিয়ার (Mesosphere)

মেসোস্ফিয়ার (Mesosphere) : স্ট্র্যাটোপজের ওপর থেকে বায়ুমণ্ডলের যতদূর উচ্চতা পর্যন্ত উষ্ণতা কমতে থাকে, সেই অংশটিকে মেসোস্ফিয়ার বলে । মেসোস্ফিয়ার স্তরটি স্ট্র্যাটোপজের ওপরে স্ট্র্যাটেস্ফিয়ার ও আয়নোস্ফিয়ারের মধ্যে ৮০ কিমি.

স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার বা শান্তমন্ডল (Stratosphere)

স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার বা শান্তমন্ডল (Stratosphere) : ট্রপোপজের ওপরে নিরক্ষীয় অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৮০ কিমি. উচ্চতা পর্যন্ত এবং মেরু অঞ্চলে প্রায় ৫০ কিমি.

ট্রপোস্ফিয়ার বা ক্ষুব্ধমন্ডল (Troposphere)

ট্রপোস্ফিয়ার বা ক্ষুব্ধমন্ডল (Troposphere) : গ্রিক শব্দ ট্রপো (Tropo) কথার অর্থ হল পরিবর্তন (Change) এবং দৈনন্দিন আবহাওয়ায় আমরা যেরকম বিভিন্ন পরিবর্তন অনুভব করি, এই বায়ুস্তরেও সে ধরনের পরিবর্তন দেখা যায় । বায়ুমণ্ডলের একেবারে নীচের স্তরে অবাধে তাপীয় ম

উষ্ণতার তারতম্যের ভিত্তিতে বায়ুমণ্ডলের স্তরবিন্যাস

উষ্ণতার তারতম্যের ভিত্তিতে বায়ুমণ্ডলের স্তরবিন্যাস (Layers of Atmosphere based on variation in temperature) : বিভিন্ন স্তরে উষ্ণতার তারতম্য অনুসারে বায়ুমণ্ডল আবার ৬টি স্তরে বিভক্ত । যেমন— (i) ট্রপোস্ফিয়ার বা ক্ষুব্ধমন্ডল, (ii) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার বা শ

বিষমমন্ডল বা হেটেরোস্ফিয়ার (Heterosphere)

বিষমমন্ডল বা হেটেরোস্ফিয়ার (Heterosphere) : সমমণ্ডলের ওপরে ৮০ কিমি. থেকে ১০,০০০ কিমি.