এশিয়া মহাদেশের দ্বীপপুঞ্জ

Submitted by avimanyu pramanik on Tue, 12/16/2014 - 11:59

এশিয়া মহাদেশের দ্বীপপুঞ্জ : এশিয়া মহাদেশের চারিদিকে পর্বত ও আগ্নেয়গিরিপূর্ণ ছোটো বড় বহু দ্বীপ এবং দ্বীপপুঞ্জ আছে, এগুলির মধ্যে বেশির ভাগ মহাদেশীয় দ্বীপ এবং কয়েকটি পর্বতময় দ্বীপ । বেশির ভাগ পর্বতময় দ্বীপই আসলে এশিয়ার সমুদ্রে নিমজ্জিত পর্বতের শীর্ষদেশ । এশিয়ার বেশির ভাগ দ্বীপ ও দ্বীপপুঞ্জই প্রশান্ত মহাসাগর ও ভারত মহাসাগরে অবস্থিত । অবস্থানগত ভাবে এই সমস্ত দ্বীপগুলিকে চারভাগে ভাগ করা যায়, যেমন— (ক) এশিয়া মহাদেশের পূর্বদিকে অবস্থিত দ্বীপ ও দ্বীপপুঞ্জ, (খ) এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণ-পূর্বদিকে অবস্থিত দ্বীপ ও দ্বীপপুঞ্জ, (গ) এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত দ্বীপ ও দ্বীপপুঞ্জ এবং (ঘ) এশিয়া মহাদেশের উত্তরে অবস্থিত দ্বীপ সমূহ ।

(ক) এশিয়া মহাদেশের পূর্বদিকে অবস্থিত দ্বীপ ও দ্বীপপুঞ্জ : এই অঞ্চলে অবস্থিত দ্বীপ সমুহের মধ্যে  (১) কিউরাইল, (২) সাখালিন, (৩) জাপান, (৪) রিউকিউ বা লুচু, (৫) ফর্মোসা বা তাইওয়ান, (৬) হংকং এবং (৭) হাইনান দ্বীপ উল্লেখযোগ্য ।

(খ) এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণ-পূর্বদিকে অবস্থিত দ্বীপ ও দ্বীপপুঞ্জ : এই অঞ্চলে অবস্থিত দ্বীপ ও দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে (১) কালিমান্টান বা বোর্ণিও দ্বীপ, (২) ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জ, এবং (৩) সুমাত্রা, জাভা প্রভৃতিকে নিয়ে গঠিত ইন্দোনেশিয়া দ্বীপপুঞ্জ উল্লেখযোগ্য ।

(গ) এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত দ্বীপ ও দ্বীপপুঞ্জ : এই অঞ্চলে অবস্থিত দ্বীপ সমূহের মধ্যে (১) আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, (২) শ্রীলঙ্কা দ্বীপ, (৩) লাক্ষা দ্বীপপুঞ্জ ও (৪) মাল দ্বীপপুঞ্জ উল্লেখযোগ্য ।

(ঘ) এশিয়া মহাদেশের উত্তরে অবস্থিত দ্বীপ সমূহ : এই অঞ্চলে অবস্থিত দ্বীপ সমূহের মধ্যে (১) নর্থল্যান্ড ও (২) নিউসাইবেরিয়া দ্বীপপুঞ্জ উল্লেখযোগ্য ।

*****

Related Items

নর্মদা নদী (The Narmada)

নর্মদা নদী (The Narmada) : মহাকাল পর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ অমরকন্টক থেকে উৎপন্ন হয়ে নর্মদা নদী উত্তর-পশ্চিমে বেঁকে মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্র হয়ে গুজরাটের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বিন্ধ্য ও সাতপুরার সংকীর্ণ গিরিখাত অতিক্রম করে

ব্রহ্মপুত্র নদ (The Brahmaputra)

ব্রহ্মপুত্র নদ : তিব্বতের মানস সরোবরের নিকটবর্তী চেমায়ুং-দুং হিমবাহ থেকে সাংপো নামে উৎপন্ন হয়ে নামচাবারওয়া শৃঙ্গের কাছে চুলের কাটার মত বেঁকে অরুণাচল প্রদেশের মধ্য দিয়ে ডিহং নামে ভারতে প্রবেশ করেছে । এর মোট দৈর্ঘ্য ২,৯০০ কিমি, এর মধ্

সিন্ধু নদ (The Indus)

সিন্ধু নদ : সিন্ধু নদ তিব্বতের মানস সরোবরের উত্তরে অবস্থিত সিন-কা-বাব জলধারা থেকে উৎপন্ন হয়ে উত্তর-পশ্চিমে প্রথমে তিব্বতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পরে লাদাখ অঞ্চল দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে । সিন্ধু নদের মোট দৈর্ঘ্য ৩,১৮০ কিমি এবং এর মধ

গঙ্গা নদী (The Ganges)

গঙ্গা নদী : গঙ্গা ভারতের শ্রেষ্ঠ নদী এবং ভারতের দীর্ঘতম নদী । গঙ্গানদীর মোট দৈর্ঘ্য ২৫১০ কিমি এবং এর মধ্যে ২০১৭ কিমি ভারতে প্রবাহিত । কুমায়ুন হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ তুষার গুহা থেকে ভাগীরথী নামে উৎপন্ন হয়ে সংকীর্ণ গিরিখাতের

ভারতের নদনদী (Rivers of India)

ভারতের নদনদী : ভারতে অসংখ্য নদনদী বিভিন্ন দিকে প্রবাহিত হয়েছে । উৎস, প্রবাহের অঞ্চল, এবং মোহানা অনুসারে ভারতের নদনদীকে প্রধানত দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় । যেমন— (১) উত্তর ভারতের নদী এবং (২) দক্ষিণ ভারতের নদী ।