এশিয়া মহাদেশের নদনদী

Submitted by avimanyu pramanik on Sat, 03/03/2012 - 18:15

এশিয়া মহাদেশের নদনদী (Rivers of the Asia) : এশিয়া মহাদেশের মধ্যভাগের উচ্চ পার্বত্যভূমি শুধুমাত্র এশিয়া মহাদেশেরই নয়, পৃথিবীর সর্বপ্রধান জলবিভাজিকা । কারণ মধ্য এশিয়ার এই অঞ্চল থেকেই পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি নদী উৎপন্ন হয়ে ভূমির ঢাল অনুসারে বিভিন্ন দিকে বয়ে গিয়ে বিভিন্ন মহাসাগর, সাগর, উপসাগর বা হ্রদে পড়েছে । দক্ষিণের মালভূমি অঞ্চলে অনেক নদী উৎপন্ন হয়েছে, তবে এরা অপেক্ষাকৃত ছোটো নদী । উৎপত্তি স্থল থেকে নির্গত হয়ে কোনো নদী যে দিকে বয়ে গিয়ে সাগর, উপসাগর বা হ্রদে এসে পড়ে, প্রবাহের সেই দিক অনুসারে সেই নদীটির নামকরণ করা হয় । উৎপত্তির স্থল থেকে কোন নদী উত্তর দিকে বয়ে গেলে তাকে উত্তরবাহিনী নদী বলা হয় । আবার উৎপত্তি স্থল থেকে কোন নদী দক্ষিণ দিকে বয়ে গেলে তাকে দক্ষিণবাহিনী নদী বলা হয় । উৎপত্তিস্থল থেকে কোন নদী পূর্ব দিকে বয়ে গেলে তাকে পূর্ববাহিনী নদী বলা হয় । উৎপত্তি স্থল থেকে কোন নদী পশ্চিম দিকে বয়ে গেলে তাকে পশ্চিমবাহিনী নদী বলা হয় । প্রবাহের দিক অনুসারে এশিয়ার নদীগুলিকে প্রধানত ৫টি ভাগে ভাগ কার যায়; যথা— (১) উত্তরবাহিনী নদী বা উত্তর সাগরে পতিত নদী,  (২) দক্ষিণবাহিনী নদী বা ভারত মহাসাগরে পতিত নদী, (৩) পূর্ববাহিনী নদী, (৪) পশ্চিমবাহিনী নদী, এবং (৫) অন্তর্বাহিনী নদী ।

*****

Related Items

মেসোস্ফিয়ার (Mesosphere)

মেসোস্ফিয়ার (Mesosphere) : স্ট্র্যাটোপজের ওপর থেকে বায়ুমণ্ডলের যতদূর উচ্চতা পর্যন্ত উষ্ণতা কমতে থাকে, সেই অংশটিকে মেসোস্ফিয়ার বলে । মেসোস্ফিয়ার স্তরটি স্ট্র্যাটোপজের ওপরে স্ট্র্যাটেস্ফিয়ার ও আয়নোস্ফিয়ারের মধ্যে ৮০ কিমি.

স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার বা শান্তমন্ডল (Stratosphere)

স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার বা শান্তমন্ডল (Stratosphere) : ট্রপোপজের ওপরে নিরক্ষীয় অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৮০ কিমি. উচ্চতা পর্যন্ত এবং মেরু অঞ্চলে প্রায় ৫০ কিমি.

ট্রপোস্ফিয়ার বা ক্ষুব্ধমন্ডল (Troposphere)

ট্রপোস্ফিয়ার বা ক্ষুব্ধমন্ডল (Troposphere) : গ্রিক শব্দ ট্রপো (Tropo) কথার অর্থ হল পরিবর্তন (Change) এবং দৈনন্দিন আবহাওয়ায় আমরা যেরকম বিভিন্ন পরিবর্তন অনুভব করি, এই বায়ুস্তরেও সে ধরনের পরিবর্তন দেখা যায় । বায়ুমণ্ডলের একেবারে নীচের স্তরে অবাধে তাপীয় ম

উষ্ণতার তারতম্যের ভিত্তিতে বায়ুমণ্ডলের স্তরবিন্যাস

উষ্ণতার তারতম্যের ভিত্তিতে বায়ুমণ্ডলের স্তরবিন্যাস (Layers of Atmosphere based on variation in temperature) : বিভিন্ন স্তরে উষ্ণতার তারতম্য অনুসারে বায়ুমণ্ডল আবার ৬টি স্তরে বিভক্ত । যেমন— (i) ট্রপোস্ফিয়ার বা ক্ষুব্ধমন্ডল, (ii) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার বা শ

বিষমমন্ডল বা হেটেরোস্ফিয়ার (Heterosphere)

বিষমমন্ডল বা হেটেরোস্ফিয়ার (Heterosphere) : সমমণ্ডলের ওপরে ৮০ কিমি. থেকে ১০,০০০ কিমি.