মাছের গমন (Locomotion of Fish)

Submitted by arpita pramanik on Thu, 05/23/2013 - 23:39

মাছের গমন (Locomotion of fish) :

প্রাণীর নাম – মাছ

গমন অঙ্গের নাম – পাখনা

গমন পদ্ধতির নাম - সন্তরণ

 

গমন পদ্ধতি

১৷ মাছের সাতটি পাখনা আছে । একটি পৃষ্ঠপাখনা, একটি পায়ুপাখনা, একটি পুচ্ছপাখনা এবং একজোড়া করে বক্ষ ও শ্রোণী পাখনা ।

২৷ বক্ষপাখনার সাহায্যে মাছ জলের গভীরে যেতে পারে এবং শ্রোণীপাখনার সাহায্যে মাছ জলে ভাসতে পারে । পুচ্ছপাখনার সাহায্যে মাছ জলের দিক পরিবর্তন করতে পারে । পৃষ্ঠ ও পায়ু পাখনা সন্তরণের সময় মাছের ভারসাম্য রক্ষা করে ।

৩৷ মাছের দেহটি মাকুরের মত হওয়ায় এরা সহজেই জলের বাধা অতিক্রম করতে পারে ।

৪৷ মাছের মেরুদণ্ডটি নমনীয় এবং মেরুদণ্ডের দু পাশে  'V' আকৃতি বিশিষ্ট মায়োটোম পেশী থাকায় এরা ওই পেশীর সংকোচন ঘটিয়ে দেহটিকে তরঙ্গের মত একবার ডানপাশে, একবার বামপাশে এবং পর্যায়ক্রমে আন্দোলিত করে সামনের দিকে দ্রুত অগ্রসর হয় ।

*****

Related Items

কেঁচোর গমন

প্রাণীর নাম – কেঁচো, গমন অঙ্গের নাম, গমনে সাহায্যকারী পেশীর নাম, গমন পদ্ধতির নাম, গমন পদ্ধতি - কেঁচোর দেহ খণ্ডতলের অঙ্গীয় তলে অবস্থিত আণুবীক্ষণিক এক আয়তন কণ্টক সদৃশ্য অঙ্গ হল সিটি । সিটির এক প্রান্ত দেহ অভ্যন্তরস্ত থলির মধ্যে থাকে। ...

অ্যামিবার গমন

প্রাণীর নাম - অ্যামিবা, গমন অঙ্গের নাম, গমন পদ্ধতির নাম, গমন পদ্ধতি - ক্ষনপদ হল অ্যামিবার কোষ পর্দা সমূহ দেহ প্রোটোপ্লাজমের অংশ বিশেষ যা নলাকারে প্রসারিত হয়। গমনের সময় ক্ষনপদ সামনের দিকে প্রসারিত হয় এবং কোনো কঠিন বস্তুর সঙ্গে ক্ষনপদটিকে দৃঢ় ভাবে আবদ্ধ করে।

উদ্ভিদ দেহে ন্যাস্টিক চলন

উদ্ভিদের স্থায়ী অঙ্গের চলন যখন উদ্দীপকের তীব্রতা বা ব্যাপ্তি অনুসারে হয় , তখন তাকে ন্যাস্টিক চলন বা ব্যাপ্তি চলন বলে। ন্যাস্টিক চলনের প্রকারভেদ , ফটোন্যাস্টি, থার্মোন্যাস্টি, নিকটিন্যাস্টি, কেমোন্যাস্টি, সিসমোন্যাস্টি। ...

উদ্ভিদ দেহে ট্রপিক চলন

উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন উদ্দীপকের গতিপথ অনুসরন করে হয় তখন তাকে ট্রপিক চলন বা দিকনির্ণীত চলন বা ট্রপিজম বলে। ট্রপিক চলনের প্রকারভেদ, ফটোট্রপিক চলন, ফটোট্রপিক চলনের পরীক্ষা, জিওট্রপিক চলন, জিওট্রপিক চলনের পরীক্ষা, হাইড্রোট্রপিক চলন ...

উদ্ভিদ দেহে ট্যাকটিক চলন

ট্যাকটিক চলন - বহিঃস্থ উদ্দীপকের প্রভাবে উদ্ভিদ বা উদ্ভিদ অঙ্গের স্থান পরিবর্তন কে আবিষ্ট চলন বা ট্যাকটিক চলন বলে। ট্যাকটিক চলনের প্রকারভেদ , ফটোট্যাকটিক, থার্মট্যাকটিক, কেমোট্যাকটিক, হাইড্রোট্যাকটিক।