কেঁচোর গমন

Submitted by arpita pramanik on Thu, 05/23/2013 - 20:54

কেঁচোর গমন (Locomotion of Earthworm) :

 

Locomotion of Earthwormপ্রাণীর নাম – কেঁচো

গমন অঙ্গের নাম – সিটি

গমনে সাহায্যকারী পেশীর নাম – অনুদৈর্ঘ্য, বৃত্তাকার পেশী ।

গমন পদ্ধতির নাম – ক্রিপিং

গমন পদ্ধতি

১৷ কেঁচোর দেহ খণ্ডতলের অঙ্গীয় তলে অবস্থিত আণুবীক্ষণিক এক আয়তন কণ্টক সদৃশ্য অঙ্গ হল সিটি ।

২৷ সিটির এক প্রান্ত দেহ অভ্যন্তরস্ত থলির মধ্যে থাকে ।

৩৷ গমন পদ্ধতির সময় কেঁচোর সামনের দিকের কয়েকটি দেহ খণ্ডকে বৃত্তাকার পেশীর সংকোচন ঘটে ।

৪৷ এর ফলে দেহের সামনের দিকের অংশটি সরু ও লম্বা হয় । এই সংকোচন প্রবাহক্রমে কেঁচোর দেহের পশ্চাৎ ভাগে প্রবাহিত হয় । 

৫৷ এই অবস্থায় কেঁচোর দেহের প্রসারিত অগ্রভাগ গমন ক্ষেত্রে সিটির সাহায্যে দৃঢ় ভাবে সুদৃঢ় লগ্ন হয় ।

৬৷ এর পর অনুদৈর্ঘ্য পেশীর সংকোচনের ফলে সম্মুখভাগের খণ্ড গুলি পুনরায় স্থুল ও ছোটো হতে থাকে ।

৭৷ এই ভাবে সিটি, অনুদৈর্ঘ্য পেশী ও বৃত্তাকার পেশীর সম্মিলিত ক্রিয়ায় কেঁচোর গমন সংগঠিত হয় ।

কেঁচো মিনিটে প্রায় 25 cm পথ অতিক্রম করতে পারে ।

*****

Related Items

আরশোলার গমন

চলা ফেরা বা হাঁটার জন্য আরশোলার তিন জোরা সন্ধিল পদ বর্তমান। আরশোলার পৃষ্ঠ দেশে দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ডকে মোট দু জোরা ডানা আছে। আরশোলার দু জোরা ডানার মধ্যে প্রথম ডানা জোরা শক্ত ও পুরু। তারা উড্ডয়নে সাহায্য করে না। দ্বিতীয় ডানা জোরা স্বচ্ছ ও পাতলা ...

অ্যামিবার গমন

প্রাণীর নাম - অ্যামিবা, গমন অঙ্গের নাম, গমন পদ্ধতির নাম, গমন পদ্ধতি - ক্ষনপদ হল অ্যামিবার কোষ পর্দা সমূহ দেহ প্রোটোপ্লাজমের অংশ বিশেষ যা নলাকারে প্রসারিত হয়। গমনের সময় ক্ষনপদ সামনের দিকে প্রসারিত হয় এবং কোনো কঠিন বস্তুর সঙ্গে ক্ষনপদটিকে দৃঢ় ভাবে আবদ্ধ করে।

উদ্ভিদ দেহে ন্যাস্টিক চলন

উদ্ভিদের স্থায়ী অঙ্গের চলন যখন উদ্দীপকের তীব্রতা বা ব্যাপ্তি অনুসারে হয় , তখন তাকে ন্যাস্টিক চলন বা ব্যাপ্তি চলন বলে। ন্যাস্টিক চলনের প্রকারভেদ , ফটোন্যাস্টি, থার্মোন্যাস্টি, নিকটিন্যাস্টি, কেমোন্যাস্টি, সিসমোন্যাস্টি। ...

উদ্ভিদ দেহে ট্রপিক চলন

উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন উদ্দীপকের গতিপথ অনুসরন করে হয় তখন তাকে ট্রপিক চলন বা দিকনির্ণীত চলন বা ট্রপিজম বলে। ট্রপিক চলনের প্রকারভেদ, ফটোট্রপিক চলন, ফটোট্রপিক চলনের পরীক্ষা, জিওট্রপিক চলন, জিওট্রপিক চলনের পরীক্ষা, হাইড্রোট্রপিক চলন ...

উদ্ভিদ দেহে ট্যাকটিক চলন

ট্যাকটিক চলন - বহিঃস্থ উদ্দীপকের প্রভাবে উদ্ভিদ বা উদ্ভিদ অঙ্গের স্থান পরিবর্তন কে আবিষ্ট চলন বা ট্যাকটিক চলন বলে। ট্যাকটিক চলনের প্রকারভেদ , ফটোট্যাকটিক, থার্মট্যাকটিক, কেমোট্যাকটিক, হাইড্রোট্যাকটিক।